প্যালেস্টাইন: গাজা আর পশ্চিম তীরে কর্মশালা ব্লগারদের উদ্বুদ্ধ করেছে

সম্প্রতি গ্লোবাল ভয়েসেস এডভোকেসির পরিচালক সামি বেন ঘার্বিয়া, গাজা আর পশ্চিম তীরে বেশ কয়েকটি ব্লগিং বিষয়ে কর্মশালা পরিচালনা করেছেন। এই কর্মশালার আয়োজন করে আরবি মিডিয়া ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক (আমিন) যাদের লক্ষ্য হচ্ছে ফিলিস্তিনি সমাজে ব্লগারের সংখ্যা বৃদ্ধি করা।

কয়েক ডজন ফিলিস্তিনি ব্লগার আর ব্লগিং এর বিষয়ে আকর্ষিত অন্যান্য মানুষ প্রতিদিন মিলিত হয়েছেন গাজাতে এক সপ্তাহের জন্য, আর অন্য এক সপ্তাহের জন্য পশ্চিম তীরে। তারা চেষ্টা করেছেন যতটা পারা যায় শেখার জন্য যে নতুন ওয়েব প্রযুক্তি তাদের কণ্ঠ মানুষকে শোনাতে কতটা সাহায্য করতে পারে।

কর্মশালায় যে সব বিষয়ে কথা হয়েছে তার মধ্যে ছিল: অ্যাডভোকেসি আর মুক্ত ভাষ্যের জন্য ইন্টারনেট প্রযুক্তি ব্যবহার। এছাড়াও ছিল সারা বিশ্ব থেকে উদাহরণ, ব্লগিং এর সময়ে নিরাপত্তা, প্রাইভেসি আর ইন্টারনেটের ব্যবহার আর ক্রস পোস্টিং ইত্যাদি বিষয়।

গাজাতে সামির একটা কর্মশালা নিয়ে ব্লগার নুর এল খুদারি আর নাজেক আবুরাহমা একত্রে একটি পোস্ট লিখেছেন আলজাজিরা টকে:

تواجدنا في إحدى هذه الدورات التي كانت بعنوان : “معاً نحو خلق ثقافة تدوين تسعى للتغيير” واستمرت لمدة يومين في مدينة غزة، أثرى خلالها بن غريبة عقول المدونين بكثيرٍ من المعلومات والإرشادات والنصائح والتجارب الغنية التي سردها، فحفز هممهم نحو تدوينٍ فعالٍ ومؤثر .
আমরা নিজেদেরকে এমন একটা কর্মশালাতে পেয়েছি যার নাম ‘সামাজিক পরিবর্তনের জন্য ব্লগিং আর নাগরিক মিডিয়াকে তুলে ধরা’ যা গাজা শহরে দুই দিন চলেছে। এই আয়োজনে বেন ঘার্বিয়া অনেক তথ্য, নীতিমালা আর পরামর্শ দিয়ে ব্লগারদের জ্ঞান বৃদ্ধি করেন, আর তার সাথে ছিল তিনি যেসব অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন তার বর্ণনা। ব্লগারদের উৎসাহ দেয়া হয় কার্যকর আর জীবন্ত ভাবে ব্লগিং করার জন্য।
সামি বেন ঘার্বিয়ার কর্মশালা

সামি বেন ঘার্বিয়ার কর্মশালা

গাজার আর একজন ব্লগার আবু এল শারিফ তার ব্লগে লিখেছেন:

من أكم من يوم، كنت محظوظ كفاية إنو اخد دورة في مجال التدوين و هي ” استخدام التدوين من اجل المناصرة” مع المدون التونسي سامي بن غريبة، و كان اشي قوي انو اللاقي الاثبات الحي انو انتا قادر على التغيير عن طريق كتباتك، يعني لو انتا بتستخدم الادوات اللي عندك بطريقة صح، ممكن جدا يكون الك ضلع بتغيير اشي بتشوفوا كل يوم و ما بعجبك، و بشوفوا غيرك و ما بعمل اشي عشان يغيروا !
و زي ما حكى سامي و اللي بلخص الوضع بغزة كالتالي :
” خلاصة تجربتي و حواراتي مع نيرة أهل غزة: الحصار الأكثر ضررا هو الحصار العقلي، غزة لا تحتاج أغذية و شكلاطة وأدوية بل تحتاج عقولا و كوادر و كتب”
কয়েক দিন আগে, আমি তিউনিশিয়ার ব্লগার সামি বেন ঘার্বিয়ার একটি ব্লগিং কর্মশালাতে ভাগ্যক্রমে অংশগ্রহণ করি যার নাম ছিল ‘ব্লগিং ফর অ্যাডভোকেসি’। এটি শক্তিশালি ছিল বোঝার জন্য যে আসল প্রমাণ আছে যে লেখার মাধ্যমে সত্যিই পরিবর্তন আনা যায়। যার মানে যে প্রযুক্তি সহজলভ্য সেটি সঠিকভাবে ব্যবহার করলে তাহলে অনেক সম্ভাবনা আছে যে আপনি প্রতিদিন যা দেখেন আর পছন্দ করেন না তা পরিবর্তন করতে পারবেন, যা অন্যরা দেখেন কিন্তু কিছু করেন না এ নিয়ে!

সামি যেমন বলেছিলেন, গাজার পরিস্থিতিতে বর্ণনা করতে গিয়ে:”গাজার আলোকিত মানুষের সাথে আমার অভিজ্ঞতা আর আলোচনা সংক্ষেপে বলতে গেলে, সব থেকে ক্ষতিকর অবরোধ হচ্ছে বুদ্ধিজীবীদের প্রতি অবরোধ। গাজার খাদ্য, চকোলেট বা ঔষধের দরকার নেই, এদের জ্ঞান, যোগ্য লোক আর বই দরকার।“

কর্মশালা শেষ হওয়ার পরে, একটা ভিডিও কনফারেন্স শুরু করা হয় গাজার আর পশ্চিম তীরের ব্লগারদের মধ্যে। ওলা আনান একজন ব্লগার ছিলেন যিনি গাজা থেকে অংশগ্রহন করেন আর পরে তিনি লিখেছিলেন:

الحوار كان ثريا وممتعا.. اختلفنا احيانا واتفقنا احيانا اخرى

تحدثنا عن تجاربنا مع التدوين.. وقارنا بيننا وبين من سبقونا في المدونين العرب

কর্মশালার কথপোকথন উৎকৃষ্ট আর মজার ছিল। মাঝে মাঝে আমাদের মত মেলেনি, আর অন্য সময়ে আমরা একমত হয়েছি।

আমরা ব্লগিং নিয়ে আমাদের অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলেছি…আর আরব ব্লগারদের মধ্যে যারা আমাদের আগে ব্লগ করেছে তাদের সাথে নিজেদের তুলনা করেছি।

ওলা শেষ করেছে এই বলে:

لكم أن تتخيلوا شعوري وسعادتي بهذا اليوم … سيصبح عمر مدونتي تقريبا اربع سنوات .. ولأول مرة اشعر ان ما افعله له قيمة أو من الممكن ان يكون له قيمة على ارض الواقع
এই দিন নিয়ে আপনারা আমার ভাবনা আর খুশি সম্পর্কে বুঝতে পারবেন…আমার ব্লগ প্রায় চার বছর পুরানো, আর এই প্রথমবার আমার মনে হচ্ছে যে আমি যা করছি তার কোন মূল্য আছে বা মূল্য থাকার সম্ভাবনা আছে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .