কঙ্গো ডে. রিপাবলিক: স্বাধীনতা উদযাপন

কঙ্গো ডে. রিপাবলিক (কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র) বেলজিয়ামের শাসন থেকে তাদের স্বাধীনতার ৫০তম দিবস পালন করছে। এই দেশ যখন গর্বের সাথে মূল্যবান কিছু সেনা সরঞ্জাম প্রদর্শনে ব্যস্ত হয়েছে স্বাধীনতা উৎসবে আসা গণ্যমান্য লোকের জন্য, তখন ব্লগার কাকালুগি আর কঙ্গো মিলিকি [ফরাসী ভাষায়] কিনশাসা আর লুবুম্বাসির সেই শান শওকতের প্যারেডের কথা বলেছেন আর অন্যান্য কঙ্গোর ব্লগাররা স্বাধীনতার সময়কালের কথা স্মরণ করেন আর লেখেন সেইসব সুসময়ের কথা।

এমবোকা মোসিকা সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ‘কঙ্গোর স্বাধীনতার পিতা’ হিসেবে অভিহিত আলবার্ট কালোন্জির। তবে তিনি এক সময়কার লুবা বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং প্যাট্রিশ লুমুম্বার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ছিলেন। তিনি বলেছেন, ” আমরা আমাদের স্বাধীনতা নিয়ে কেবল আনন্দ করতে পারি, যদিও আমরা কিছু সুযোগ হারিয়েছি … যেমন গৃহযুদ্ধ হয়েছে এর পরে আর জনগণকে সামলাবার প্রক্রিয়ায় দৃঢ় নেতৃত্বের অভাব আর আনাড়িপনা দেখানো হয়েছে, যার জন্য রাজনৈতিক নেতারা দায়ী।”

আমরা কিভাবে কিনশাসাকে পরিষ্কার রাখব? বেলজিয়ামের রাজাকে ক্রমাগত আমন্ত্রণ করে!

আমরা কিভাবে কিনশাসাকে পরিষ্কার রাখব? বেলজিয়ার রাজাকে ক্রমাগত আমন্ত্রণ করে! (কার্টুন কঙ্গোব্লগের; অনুমতি নিয়ে প্রকাশিত)।

বানাকঙ্গো ১৯৬০ এ অনুষ্ঠিত মূল স্বাধীনতা উদযাপন অনুষ্ঠানের বেলজিয়ামের রাজা জোসেফ কাসা ভুবুর আর লুমুম্বার দেয়া ভাষণ পুন:প্রকাশ করেছেন [ফরাসী ভাষায়]।

ভিয়ুভ্যান মনে করেন কঙ্গো ডে. রিপাবলিক এর ‘গ্রামবাসী’রা আসল যে অগ্রগতি করেছে এই পর্যন্ত তার কারণ হল মোবাইল ফোন। টেক্সাস ইন আফ্রিকা গোমাতে অগ্রগতি দেখেছেন, যদিও উক্ত স্থান সম্পর্কে মিডিয়া বিপরীত ভবিষ্যদ্বাণী করেছে যে যেখানে “প্রত্যেক কঙ্গো নারী ধর্ষণের শিকার আর প্রত্যেক পুরুষ একজন অপরাধী”:

আমি বেশ কয়েকজন বন্ধুর সাথে গল্প করেছি আর অনেক নতুনের সাথে দেখা করেছি এই সপ্তাহে, আর কথাবার্তার মিলের একটা বিষয় হচ্ছে গোমার কথা সঠিকভাবে না বলার কারনে হতাশা। একজন যেমন বলেছেন, মিডিয়ার কথা যদি মেনে নেয়া হয়, তাহলে মনে হবে সকল কঙ্গোর নারী ধর্ষণের শিকার আর প্রত্যেক পুরুষ একজন অপরাধী। এটা এখানে বাস্তবতা না।

কোনটা? প্রচুর নতুন ব্যবসা চালু হচ্ছে, চোখে লাগে এমন জিনিষ আর নেই আর তাদের জায়গায় নতুন বাড়ি উঠেছে আর কারখানা তৈরি হয়েছে। আর আমি যতটা ভেবেছিলাম তার থেকে কাঠামো বেশী উন্নত হয়েছে। কেন্দ্রীয় শহরের প্রধান সড়কগুলো ঢালাই করা হয়েছে।

প্যারেডের পরের দিন কঙ্গোব্লগের সেড্রিক কালোঞ্জি ‘৫০তম বার্ষিকী উদযাপনের বীরদের জন্য’ একটি প্রাপ্য ছুটির দিনের কথা বলেন। বিভিন্ন চিত্রশিল্পী, পরিচ্ছন্নকর্মী আর অন্যান্য কর্মী যারা কিনশাসার ভাবমূর্তি তুলে ধরতে এতো কঠোর পরিশ্রম করেছে তারা একটু শ্রান্তি পাবে এদিনে এবং রাস্তার শিশু আর বিক্রেতারা অবশেষে নিশ্বাস নিতে পারবে আর শহরের কেন্দ্রে ফিরতে পারবে। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে ফিরবে ট্রাফিক পুলিশ, যাদেরকে গাড়ি চালকদের হয়রানি করতে নিষেধ করা হয়েছিল: “আমি জানি কেউ কেউ হাত কচলাচ্ছে,” লিখেছেন সেড্রিক, ”গাড়ি চালকদের জন্য পরিস্থিতি আবার উত্তপ্ত হবে।“

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .