ভিডিওঃ কিভাবে সবুজ গিরগিটি পুয়ের্টোরিকোর মানব জনসংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেল

Image taken by Bernard DUPONT and uploaded to Wikimedia Commons. Used under a Creative Commons Attribution-Share Alike 2.0 Generic Licence.

ছবি তুলেছেন বার্নাড ডুপো এবং আপলোড করা হয়েছে উইকিমিডিয়া কমন্সে। ক্রিয়েটিভ কমন্স এ্যাট্রিবিউটশন শেয়ার এ্যালাইক ২.০ জেনেরিক লাইসেন্স (সিসি বাই –এস) এর অধীনে ব্যবহার করা হয়েছে।

যদিও পুয়ের্টোরিকায় তারা মহামারির মত ছড়িয়ে পড়েনি, তারপরেও এখনো প্রাকৃতিক ঘাতকের অভাবে সবুজ গিরিগিটি (গ্রীন ইগুয়ানা) সংখ্যায় প্রচুর পরিমাণে বেড়ে গেছে। আকর্ষণীয় পোষা প্রাণী বাণিজ্যের মাধ্যমে এগুলোকে পুয়ের্টোরিকোতে নিয়ে আসা হয় আর আজ তাদের সংখ্যা এখানে বেড়ে যাওয়ার কারণে পরিবেশের জন্য হুমকি সৃষ্টিকারী এক প্রাণী হিসেবে অভিহিত করা হয়। এখন তাদের গাছে, ম্যানগ্রোভ বা উপকূলীয় জলাভূমি এলাকা এবং রাস্তার পাশের দেখা যাচ্ছে।

পুয়ের্টোরিকোর স্থানীয় ভাষায় একে গালিনো ডে পালো নামে ডাকা হয়, যার খুব সাধারণ অনুবাদ হচ্ছে “গেছো মুরগী” উদ্ভিদভোজী এই প্রাণীটা ১.৫ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়, যদি তারা ২ মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে এবং বন্য পরিবেশে তাদের আয়ু ১০ থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত হতে পারে।

মধ্য এবং দক্ষিণ আমেরিকার কয়েকটি দেশে সবুজ এই সবুজ গিরগিটি স্থানীয় রান্নার এক উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়, আর এ কারণে তাদের শিকারের বিরুদ্ধে আইন জারি করে তাদের রক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। যেহেতু তারা কোন কোন এলাকার রান্নার এক জনপ্রিয় উপাদান এবং পোষা প্রাণী হিসেবে তাদের ধরা হয়ে থাকে, তাই সিটেজ-এর দ্বিতীয় তালিকা সূচিতে তাদের তালিকাভুক্ত করা হয়েছে ( বিপন্ন প্রায় বন্য প্রাণী এবং উদ্ভিদের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের প্রতিবন্ধকতা বিষয়ক চুক্তি), যার মানে হচ্ছে যদিও তাদের এখন বিপন্ন প্রায় প্রাণী হিসেবে ঠিক বিবেচনা করা হচ্ছে না, তবে এর বানিজ্য নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে, যাতে তাদের সংখ্যা এরা একেবারে কমে না যায়।

পুয়ের্টোরিকোতে, কেউ কেউ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে যে তারা বিনে পয়সায় সবুজ গিরগিটি শিকার করবে যাতে কৃষকের ফসল রক্ষায় তারা তাদের সাহায্য করতে পারে। লস ইগুয়ানারোস ডে আগুয়াদা নামের একটি দল কেবল এগুলোকে শিকার করছে, তারা নাগরিকদের উৎসাহ প্রদান করছে যাতে তারা খাবার হিসেবে এই প্রাণীটিকে গ্রহণ করা চেষ্টা করে, তারা সবুজ গিরগিট রান্নার প্রস্তুত প্রণালী এবং নিরাপদে রান্নার উপায় প্রদর্শন করছে।

প্রাকৃতিক সংরক্ষিত বনাঞ্চলে সবুজ গিরগিটির জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় তা নিয়ে কয়েকজন পরিবেশ সংরক্ষণবাদী একটি দল গঠন করেছে। কারণ একটি নারী সবুজ ৭৫টির মত ডিম পারতে পারে-যার ৯০ শতাংশ ডিম থেকে বাচ্চা ফুটে বের হতে পারে- সবুজ গিরগিটির জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের সবচেয়ে সেরা উপায় হচ্ছে বাসা থেকে ডিম তুলে আনা যাতে একসাথে তাদের সংখ্যা নির্মূল করা যায়।

ন্যাশনাল জিওগ্রাফি নির্মিত এই তিন মিনিট চার সেকেন্ডের এই ভিডিও দেখা যাচ্ছে জীববিজ্ঞানী রাফায়েল জোগলার এবং পরিবেশবিদ ব্যাখ্যা প্রদানকারী কার্লোস রড্রিগুয়েজ লস কাবেজাস ডে সান জুয়ান সংরক্ষিত বনাঞ্চলে এই প্রাণীর জনসংখ্যা সফল ভাবে নিয়ন্ত্রণের জন্য কি ধরনের কাজের সুযোগ রয়েছে তার ব্যাখ্যা প্রদান করছে:

২০০৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত আমরা এই প্রাণীর প্রায় ১৩,০০০ ডিম নষ্ট করেছি। এটা সংখ্যায় অনেক বেশী, কিন্তু এটা হচ্ছে এমন একটা কাজ যা আমাদের আগামী ১৫, সম্ভবত ২০ বছর ধরে করে যেতে হবে

আপনি এখানে পুরো ভিডিওটি দেখতে পাবেনঃ :

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .