মিসরে অনুষ্ঠিত ভবিষ্যৎ কনফারেন্সে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ওয়েবসাইট সাময়িকভাবে বন্ধ

A screenshot shows that Human Rights Watch website is blocked in Egypt for wifi users at the "Egypt of the Future" Conference held in Sharm El Sheikh. Photograph shared by @S_Elwardany on Twitter

শারম এল শেখে অনুষ্ঠিত “ভবিষ্যতে মিসর” কনফারেন্সের ওয়াইফাই ব্যবহারকারীদের জন্য মিসরে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ওয়েবসাইটটি এই স্ক্রিনশটে বন্ধ দেখানো হচ্ছে। ছবিটি টুইটারে শেয়ার করেছেন @এস_এলওয়ারদানি

একজন সাংবাদিক টুইটারে জোরালো আবেদন তোলার পর মিসরে অনুষ্ঠিত একটি অর্থনৈতিক কনফারেন্সের ক্ষেত্রে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ওয়েবসাইটের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়।

মিসরীয় সাংবাদিক সালমা এলওয়ারদানি তাঁর ৮০০০ জন টুইটার অনুসারীর উদ্দেশ্যে টুইট করেছেন, মিসর অর্থনৈতিক উন্নয়ন কনফারেন্সে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ওয়েবসাইটটি বন্ধ ছিল। কনফারেন্সটি ভবিষ্যতে মিসর নামেও পরিচিত। শারম এল শেখে অনুষ্ঠিত কনফারেন্সটি গতকাল শেষ হয়েছেঃ

ভবিষ্যতে মিসর শিরোনামের কনফারেন্সটিতে ওয়াইফাই ব্যবহারকারীদের জন্য হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ওয়েবসাইট বন্ধ ছিল।

তিনি উল্লেখ করেছেনঃ

বলা হচ্ছে, “ইইডিসি নীতি অনুযায়ী ইউআরএলটি বন্ধ রাখা হয়েছে” #পিটি

তিন দিনের কনফারেন্স চলাকালীন মিসরের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে কয়েক বিলিয়ন ডলার প্রদানের অঙ্গীকার করা হয়। তবে অনেকেই উদ্বিগ্ন যে মিসরের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাতেও হয়তোবা বিভিন্ন ওয়েবসাইট বন্ধ করে দেয়া এবং সেন্সর করার মতো পদক্ষেপ ভালভাবেই চলবে।

এলওয়ারদানি পরে আবার টুইট করেছেন যে সাইটটি আবার খুলে দেয়া হয়েছেঃ

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ওয়েবসাইটটি বর্তমানে ইইডিসি ওয়াইফাইয়ে কাজ করছে।

তিনি আরও বলেছেনঃ

যেহেতু এইচআরডব্লিউ ওয়েবসাইটটি এখন ইইডিসি ওয়াইফাইয়ে কাজ করছে এবং আয়োজকেরা বলেছেন, এটি একটি প্রযুক্তিগত ত্রুটিজনিত ইস্যু, আর এটি এখন আবার চালু হয়েছে, তাই আমি আগের টুইটগুলো মুছে ফেলব।

আহরাম অনলাইন প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতি মিসর ঘোষণা দিয়েছে যে “সন্ত্রাসের” সাথে সম্পর্কিত ওয়েবসাইটগুলো বন্ধ করে দিতে বিভিন্ন উপায় অনুসন্ধানের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।  

তাঁরা বলেছেঃ

মন্ত্রীসভার মুখপাত্র হোসাম কাউইশ আহরাম অনলাইনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, সন্ত্রাসের সাথে যুক্ত বিভিন্ন ওয়েবসাইট সরিয়ে ফেলতে মিসরের প্রধানমন্ত্রী ইবরাহিম মাহলাব জাতীয় নিরাপত্তা আইনে সম্ভাব্য সংশোধনী সম্পর্কে জানতে একটি কমিটি গঠন করেছেন।

কাউইশ ব্যাখ্যা করেছেন, ইন্টারনেটে প্রকাশিত “সন্ত্রাস” সম্পর্কিত যেকোন প্রচারসূচী সরিয়ে ফেলা সহ আদালতের কার্যকর রায় ঘোষণা করতে এই কমিটির বিভিন্ন সুপারিশ সাহায্য করবে।  

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছেঃ

“যেসব চরমপন্থি ওয়েবসাইট সহিংসতা এবং সন্ত্রাসকে ইন্ধন যোগায়, সেসব ওয়েবসাইটের উপর নজরদারি করতে এবং মুসলিম ব্রাদারহুডের সাথে যুক্ত সম্প্রচার চ্যানেলগুলোর সম্প্রচার বন্ধ করতে” ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে মিসর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .