মেক্সিকোতে অনলাইনে বাক স্বাধীনতা ও মুক্তির জন্য সংগ্রাম

Spoof image tweeted by Chavo del Toro (@chavodeltoro)

প্রতারণার এই ছবিটি টুইট করেছেন ছাভো ডেল টোরো (@chavodeltoro)

লিখেছেন আলবার্তো আর লেওন এবং জাকোবো নাজেরা।  

মেক্সিকান নাগরিকরা রাষ্ট্রপতি এনরিখ পেনা নিয়েতোর প্রস্তাবিত এবং বর্তমানে সিনেটে তোলা একটি টেলিযোগাযোগ আইনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করছে। খসড়া আইনটি অনলাইনে মানবাধিকারের উপর একটি গুরুতর হুমকি হতে পারে: এটা নেট নিরপেক্ষতাকে লঙ্ঘন, সেন্সরশিপ এবং কন্টেন্ট ব্লক করার সুযোগ করে দিবে এবং ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারীদের বিস্তৃত পর্যায়ে ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ এবং রক্ষা করার প্রয়োজন হবে।

মেক্সিকোর স্থানীয় নাগরিক দল লাইবার ইন্টারনেট পারা টোডো (সবার জন্য মুক্ত ইন্টারনেট) বলেছে, বিধানিক উদ্যোগ গত জুলাই মাস থেকে “বন্ধ” আছে। এটি ঘটেছে কারণ, আইনটি পর্যালোচনা করার ব্যাপারে কমিটির মধ্যে মতৈকের অভাব।

এই প্রস্তাবের আলোকে এবং মেক্সিকান সংবিধানে তা একত্রীকরণের সম্ভাবনায়, মেক্সিকান নাগরিকরা ওয়েবে এবং রাস্তায় বিভিন্ন ধরণের প্রতিবাদ সমাবেশ চালিয়ে আসছে। গত এপ্রিল মাসে মেক্সিকো সিটিতে একটি প্রতীকী মানববন্ধন (#NoMásPoderAlPoder) অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনটি রাষ্ট্রপতির বাসা থেকে শুরু হয়ে মেক্সিকোর বৃহত্তম টেলিভিশন স্টেশন টেলেভিসা চাপুল্টেক পর্যন্ত পরিচালিত হয়। সম্প্রতি, টেলিযোগাযোগ আইনে ভোটের সেনেটের সিদ্ধান্তকে বিরোধিতা করার একটি প্রচেষ্টা হিসেবে #CascaritaXlaPatria সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্রাজিলে ২০১৪ সালের বিশ্বকাপ ফটবল চলার সময়ই কাকতালীয়ভাবে এটি ঘটে যায়।

সক্রিয় কর্মীদের গ্রুপগুলো প্রযুক্তিগত প্রস্তাব ও একটি আন্তর্জাতিক সমর্থন পত্র উপস্থাপন করেছে – এই জোটের মধ্যে ভিয়া লিবার, ইএফএফ, রিচার্ড স্টলম্যান, করি ডক্টরো, নাঘাত ডাড এবং রিচার্ড সিনেট অন্তর্ভুক্ত।  

এই আইন লেখার একটি বিকল্প প্রযুক্তিগত প্রস্তাব উপস্থাপন করেছে কন্টিনজেন্টিএমএক্স। সেখানে মানবাধিকার রক্ষার উপর জোর দেয়া হয়েছে, যেখান প্রধান লক্ষ্য হবে একজন ব্যক্তির মানবাধিকার নিশ্চিত করা এবং ইন্টারনেট নিরপেক্ষতা, গোপনীয়তা এবং ব্যক্তিগত তথ্যের বিষয়গুলো নিশ্চিত করা থাকবে – এগুলো আসলে ইলেক্ট্রনিক ফ্রন্টিয়ার ফাউন্ডেশনের মতো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের কাছে গৃহীত হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় বিষয় এবং এই আইনের উদ্যোগ সংশোধনীর ক্ষেত্রে হিউম্যান ডিজিটাল রাইটস নেটওয়ার্কের করা মন্তব্য।

টেলিযোগাযোগ আইন প্রতিষ্ঠার জন্য নির্ধারিত তারিখ এখনও অনিশ্চিত এবং বিধানিক প্রক্রিয়ার অচলবস্থার কারণে এটি সত্যি এখনও ঝুঁকিতে রয়েছে। এই কাজের জন্য প্রস্তাবিত নাগরিক উদ্যোগকে প্রতিষ্ঠিত করার পাশাপাশি বিধানিক অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য জনগণ, নাগরিক ও নাগরিক সংগঠন সচেতন রয়েছে, উদাহরণস্বরূপ, লাইবার ইন্টারনেট পারা টোডোসকে ১২৭,০০০ মানুষ সমর্থন জানিয়েছে।  

লাইবার ইন্টারনেট পারা টোডোস, কন্টিনজেন্টিএমএক্স, লাইবার ইন্টারনেট এমএক্স, ডিফেন্ডার ইন্টারনেটে চলা আলোচনা এবং ঘটনা অনুসরণ করুন। 

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .