বিমান দুর্ঘটনায় ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী এডুয়ার্ডো ক্যাম্পোস নিহত

Official campaign banner for the presidential election.

“আমরা আমাদের নেতার আকস্মিক মৃত্যুতে শোকাহত ও মর্মাহত, যিনি হয়তো ব্রাজিলকে বদলে দিতে পারতেন।” সাউ পাউলোর ফ্রাঙ্কার পিএসবি শাখার ফেসবুক থেকে ব্যানারটি সংগৃহীত।  

৪৯ বছর বয়সী এডুয়ার্ডো ক্যাম্পোস আজ সকাল ১০ টা ১৫ মিনিটে ব্রাজিলের সাউ পাউলোর শহর সান্তোসে একটি বিমান দুর্ঘটনায় নিহিত হয়েছেন। পারনাম্বুচো রাজ্যের সাবেক গভর্নর আগামী অক্টোবর মাসে অনুষ্ঠিতব্য ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থী ছিলেন।

খারাপ আবহাওয়ার কারণে তাঁর ব্যক্তিগত জেট বিমানটি জরুরী অবতরণ করতে গেলে তা ক্র্যাশ করে। দুর্ঘটনায় ক্যাম্পোস এবং আরও ছয় জন ক্রু এবং যাত্রী নিহত হন।

ব্রাজিলিয়ান সমাজতান্ত্রিক দলের (পিএসবি) চলমান নির্বাচনে ক্যাম্পোস তৃতীয় স্থান অর্জন করেন। ক্যাম্পোস সেই একই দিন ১৩ আগস্টে মারা গেলেন, যেদিন তার পিতামহ মিগুয়েল আরেসও মারা যান। মিগুয়েল আরেস ছিলেন বিশ শতকের ব্রাজিলিয়ান রাজনীতির বিশিষ্ট সমাজতান্ত্রিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।

তিনি তাঁর স্ত্রী, চার ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।

তাঁর মৃত্যুতে দেশটির অনেকেই চরমভাবে ব্যাথিত হয়েছেন, বিশেষ করে, যারা গত বছর জুড়ে সরকার বিরোধী বিক্ষোভে যুক্ত ছিলেন। এ দুর্ঘটনায় মানুষ তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে এবং টুইটারে সমবেদনা জানিয়েছে:

উত্তর থেকে দক্ষিণে, ব্রাজিল এডুয়ার্ডো ক্যাম্পোসের মৃত্যুতে মর্মাহত। 

এডুয়ার্ডো ক্যাম্পোসের যা হয়েছে তা আমি বিশ্বাস করতে পারছি না, ব্রাজিলের জন্য এটি একটি বড় ধরনের ধাক্কা, আমার ঈশ্বর! কি দুর্ঘটনাই না ঘটেছে!  

এডুয়ার্ডো ক্যাম্পোসের মৃত্যুতে আমি শোকাহত। অপূরণীয় ক্ষতি। আমি ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। 

এডুয়ার্ডো ক্যাম্পোস গণতন্ত্রের একজন বড় মাপের যোদ্ধা ছিলেন। আমি শোকাহত। আজ সত্যি খুব দুঃখের দিন। 

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .