ইন্দোনেশিয়ার যুগান্তকারী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ১৮৬ মিলিয়নেরও বেশি সংখ্যক যোগ্য ভোটারের এক তৃতীয়াংশেরও বেশি ৯ জুলাই তারিখে তাদের জীবনে প্রথমবারের মতো ভোট দিতে যাচ্ছেন। এই নতুন প্রজন্মের ভোটাররা ভোটের ফলাফলে বেশ গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারেন।
এদের মাঝে কেউ কেউ এতোটাই নবীন যে তারা নতুন সরকার পদ্ধতির নৃশংসতা সম্পর্কে একেবারেই অজ্ঞ। কর্তৃত্বপরায়ণ সুহার্তো এই শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করেছিলেন। তিনি ১৯৯৮ সালে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগ পর্যন্ত দীর্ঘ ৩২ বছর দেশ শাসন করেছেন। তবুও তাঁর সময়কার সেসব নেতারা এবার সারা দেশ জুড়ে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আবার ফিরে আসার চেষ্টা করছেন। এটি দেশটির ইতিহাসে তৃতীয় সরাসরি প্রেসিডেন্ট নির্বাচন।
এটা কোন অবাক করা বিষয় নয় যে দুইজন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী সৃজনশীল অনলাইন প্রচারাভিযানের মাধ্যমে তাদের প্রচার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। কারন তারা দুইজনই তরুণ প্রজন্মের ভোটারদের সমর্থন লাভের চেষ্টা করছেন। ফেসবুক এবং টুইটারে প্রচারাভিযান কাজে যতোটা জোর দেয়া হচ্ছে তাতে করে এটিকে “সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নির্বাচন” হিসেবে আখ্যায়িত করা যেতে পারে। আর এই প্রচারাভিযানে ইন্দোনেশিয়ার তরুণ প্রজন্মকে তাদের পছন্দ অনুযায়ী দুইটি মেরুতে ভাগ হয়ে যেতে দেখা যাচ্ছে।
এ ভাবনা মাথায় রেখে এঙ্গেজমিডিয়া “সুয়ারা বারু” নামে একটি ওয়েবসাইট শুরু করেছে। যার অর্থ নতুন কণ্ঠস্বর। এটির মাধ্যমে তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতা, সক্রিয় কর্মী, নাগরিক সাংবাদিকদের নতুন নতুন গল্পের ভিডিও তৈরি করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। নির্বাচন, এই নির্বাচনের প্রার্থী এবং পরিশেষে দেশকে নিয়ে তাদের আশা এবং আকাঙ্ক্ষা ঘিরে তরুণ প্রজন্মের বিভিন্ন ধ্যান ধারণা বুঝতে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
তরুণদের ক্ষমতায়নের জন্য ইংরেজী সাবটাইটেল সম্বলিত এই ভিডিওগুলো অনলাইন এবং অফলাইন বিভিন্ন চ্যানেলে প্রদর্শন করা হচ্ছে। নির্বাচনের সময় উঠে আসা বিভিন্ন ইস্যু এবং কার্যক্রম সম্পর্কে আলোচনা করতে উদ্বুদ্ধ করতে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। এঙ্গেজমিডিয়ার ওয়াবসাইটটিতে নিয়ে বিদ্যমান বিভিন্ন স্ক্রিনগ্র্যাবে ক্লিক করে এই ভিডিওগুলো দেখা যাবে।