ভেনেজুয়েলাঃ প্রতিবাদের সংবাদ প্রচার করা হলে জরিমানার হুমকি দিল কর্তৃপক্ষ

[অন্য কোনভাবে উল্লেখিত না হওয়া পর্যন্ত সবগুলো লিংকই স্প্যানিশ ভাষার ওয়েবসাইটে নির্দেশ করে]

এক দল বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীকে বিতর্কিতভাবে আটক করা নিয়ে গণবিক্ষোভের আকস্মিক প্রবাহ সম্পর্কে যেসব প্রচার মাধ্যম খবর সংগ্রহ করতে গিয়েছে, তাদেরকে গতকাল ভেনেজুয়েলান কর্তৃপক্ষ হুমকি দিয়েছে।

A poster depicting the conflict between free expression and media regulation in Venezuela, at a 2007 student demonstration. Photo by Luis Carlos Diaz via Flickr (CC BY-NC-ND 2.0)

একটি শিক্ষার্থী প্রতিবাদ সমাবেশে ভেনেজুয়েলায় মুক্ত ভাবনা এবং মিডিয়া নিয়ন্ত্রণের দ্বন্দ্বকে পোস্টারটি তুলে ধরেছে। ছবিঃ ফ্লিকারের মাধ্যমে লুইস কার্লোস দিয়াস। (CC BY-NC-ND 2.0)

ভেনেজুয়েলান টেলিকমিউনিকেশন্স কমিশন, কোনাটেলের প্রধান উইলিয়াম ক্যাস্টিলো গত ১১ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবারে ঘোষণা করেছেন, “দেশের কিছু কিছু স্থানে যেসব সহিংসতা ঘটছে, সে সব দুঃখজনক আচরণের খবর প্রচার মাধ্যমগুলোতে প্রচার করা হলে, তা রেডিও, টেলিভিশন এবং ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমের [ইংরেজী] সামাজিক দায়িত্ব আইনের ২৭ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন হিসেবে ধরে নেয়া হবে। বিশেষ করে, তাদের প্রচার সূচীর মধ্যে যদি এমন কিছু থাকে যা কর্তৃপক্ষকে উপেক্ষা করতে আহ্বান জানায় এবং জনগনের শান্তি শৃঙ্খলায় বিঘ্ন ঘটায় তবে তাও সামাজিক দায়িত্ব আইনের ২৭ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন হিসেবে ধরা হবে।”

রাজনৈতিক সংস্কার থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বসবাসের করুণ অবস্থা ইত্যাদি বিভিন্ন ইস্যুতে কয়েক সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ প্রদর্শন চলছে। কিন্তু “অপরাধ সংঘটনে সহযোগীতা” করার অভিযোগে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে কারাদণ্ড প্রদান করার পর গত সপ্তাহে আন্দোলন আরও তীব্রতর হয়ে উঠে। সান ক্রিস্টোবাল শহরে একটি বিক্ষোভ চলাকালীন তাদের কয়েকজনের বিরুদ্ধে অন্যান্য অনেক অভিযোগের সাথে সাথে এই অভিযোগটিও আনা হয়। শিক্ষার্থীরা কয়েকজন এখনো কারাগারে বন্দী। সাম্প্রতি এই প্রতিবাদ কর্মসূচীর কিছু ধারাবাহিক ছবি আল্টিমাস নোটিসিয়াসে পাওয়া যাবে।  

ইতোমধ্যে নিউজ প্রিন্ট কাগজের সংকট দেখা দেয়ায় নয়টি পত্রিকার প্রকাশনা বন্ধ হয়ে গেছে এবং আরও বিশটিরও বেশি পত্রিকা তাদের পাতা সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছে। এই অবস্থায় জাতীয় টেলিভিশন চ্যানেলগুলোকেও তাদের প্রচার সূচীর নিয়মাবলী কড়াকড়ি ভাবে মানতে বলা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো এবং তাঁর তথাকথিত “উত্তেজনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ” এমনকি এই সপ্তাহটিকে আরও কঠিন করে তুলেছে। যেখানে প্রচলিত ধারার প্রচার মাধ্যমগুলো আর যেভাবে খবরাখবর সংগ্রহ করে না, সেখানে ডিজিটাল প্রচার মাধ্যমগুলো খবর সংগ্রহের ক্ষেত্রে তাদের কৃতিত্ব প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। সারা দেশ জুড়ে বিরোধীদলীয় নেতাদের আজ র‍্যালী করার কথা রয়েছে বলে স্বভাবতই আশা করা যায় এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠানের গতি প্রকৃতি সম্পর্কে জানতে জনগণ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর দিকে দৃষ্টি রাখবে। যদিও ধারনা করা যাচ্ছে, কোন সরকারি প্রচার মাধ্যম অথবা মূল ধারার সংবাদ প্রচারকারী মাধ্যমই এ বিষয়ে কোন সংবাদ প্রচার করবে না।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .