ভোট দেয়ার পাপে বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর আক্রমণ

ঢাকায় বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক প্লাটফর্মের লোকেরা ১০ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের প্রতিবাদ করছে। ছবি রাহাত খানের।

ঢাকায় বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক প্লাটফর্মের লোকেরা ১০ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের প্রতিবাদ করছে। ছবি রাহাত খানের। সর্ব স্বত্ব ডেমোটিক্স (৮/১/২০১৪)

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে পুড়ে গেছে কয়েকশ’ ঘরবাড়ি। তারা সর্বস্ব হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন।

উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি বাংলাদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান বিরোধীদল বিএনপি'র নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট নির্বাচন বয়কট করে।

ভোট দেয়ার অপরাধে তাদের ওপর আক্রমণ করা হয়েছে বলে আক্রান্তরা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে। টুইটারে শাহ আলী ফরহাদও (@shah_farhad) বলছেন সে কথা:

অনিতার একমাত্র অপরাধ, সে ভোট দিয়েছে। বিএনপি-জামায়াত তার বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে, লুটপাট চালিয়েছে।

শাহবাগ ওয়ার্ল্ডওয়াইড (@Projonmo13) সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার একটি ইনফোগ্রাফ তুলে ধরেছেন:

[পরিসংখ্যান] জামায়াতের ক্যাডাররা যশোরে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা করেছে।

মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারায় সরকারের সমালোচনা হচ্ছে অনেক। তবে প্রধানমন্ত্রী পুত্র সজীব ওয়াজেদ তার ফেসবুক পোস্টে হামলাকারীদের বিচারের মুখোমুখি করার আশ্বাস দিয়েছেন:

গতকালের নির্বাচনে ভোট দেয়ার কারণে বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডাররা যশোর ও দিনাজপুরে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলা চালিয়েছে। যশোরে ১৫০ জন হিন্দুর বাড়ি জামায়াতের সন্ত্রাসীরা সম্পূর্ণ তছনছ করেছে, লুট করেছে এবং জ্বালিয়ে দিয়েছে। দিনাজপুরে ১০০ এর উপর হিন্দু বাড়ি এবং দোকান বিএনপি জামায়াতের ক্যাডাররা ভাংচুর করেছে এবং পুড়িয়ে দিয়েছে। আমাদের সরকারের স্থানীয় কর্মকর্তারা ভুক্তভোগীদের সহায়তা করছেন। এই ঘটনায় দায়ীদের আমরা চিহ্নিত করার চেস্টা করছি এবং তাদের অবশ্যই আমরা বিচারের মুখোমুখি করবো।

তবে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকারকে উল্টো দোষারোপ করেছেন সংখ্যালঘুদের উপর হামলার জন্যে। তিনি বলেছেন:

The planned attacks on minorities are an attempt to divert attention from the voters’ absence and enthusiastic boycott of the farcical elections amid criticism from national-international organisations.

জনগণ কর্তৃক প্রহসনের নির্বাচন বর্জন, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক মহলের সমালোচনা এবং ভোটারদের কম সংখ্যায় অংশগ্রহণের দিক থেকে দৃষ্টি ফেরানোর জন্যেই সংখ্যালঘুদের উপর এই পরিকল্পিত আক্রমণ।

বাংলাদেশে নির্বাচনের পর প্রতিবারই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। গল্পকার জয়দীপ দে শাপলু ফেসবুকে ভোট প্রদানের দায়িত্ব থেকে মুক্তি চেয়েছেন:

২০০১ এ প্রথম আলোয় লিখেছিলাম ভোট দেয়ার পাপ থেকে আমাদের মুক্তি দিন। আজ তাই মনে হচ্ছে আবার।

অদিতি ফাল্গুনীও হিন্দুদের ভোটদানের সুযোগ রহিত করার কথা বলেছেন:

নির্বাচনে মানুষ ভোট দেয় নি, তবে হিন্দুদের উপর নির্যাতন করা হচ্ছে কেন? নাকি খালি হিন্দুরাই দিছে? তাহলে কি নিজের ইচ্ছামত কিছু করার অধিকার হিন্দুদের নাই? যদি তাই হয়ে থাকে, তবে আইন করে হিন্দুদের ভোট দেয়ার অধিকার রহিত করা উচিত: Ruma Modak.

রিপন চক্রবর্তী ফেসবুকে আক্রান্ত হওয়ার অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখেছেন:

2001 সালে নিজে #আক্রান্ত হয়ে বুঝেছি #সাম্প্রদায়িক নির্যাতনের #জ্বালা কি। #রাজগঞ্জে দেখেছি- নির্যাতিত #হিন্দুদের সহায়- সম্বল হারিয়ে খোলা আকাশের নীচে রাত্রী যাপন। কী যে কষ্টের এই দুঃসহ যন্ত্রনা– নির্যাতিত ছাড়া কেউ কোনদিন বুঝতেই পারবেনা। সহ্য করতে না পেরে বাপ দাদার ভিটে মাটি ফেলে কেউ কেউ দেশত্যাগী হয়। হয়তো তারা ভালোই থাকে- হয়তো গিয়ে বেঁচে যায়। কিন্তু আমি যে পারিনা- আমি যে এই দেশটা ছেড়ে যেতে চাইনা— আমার কি হবে- আমার “ছোট বাপী”টার কি হবে— কেউ বলতে পারেন???

এদিকে দেশের প্রথম সারির একটি পত্রিকার বিরুদ্ধে হিন্দুদের ওপর আক্রমণ উস্কে দেয়ার অভিযোগ উঠেছেকুলদা রায় লিখেছেন:

ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসের মধ্যে দিয়ে নির্বাচন হয়েছে। ভোট বর্জনের ডাক দিয়েছিল বিএনপি-জামায়াত। নির্বাচনের খবর হিসেবে প্রথম আলো প্রথম পাতায় একটি ছবি ছেপেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে– হিন্দুরা ভোট দেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছে। প্রথম আলো এই ছবিটির মাধ্যমে প্রমাণের চেষ্টা করছে যে দশম নির্বাচনে কেবল হিন্দুরা ভোট দিতে এসেছে। আর কেউ নয়।

প্রথম আলো এই ছবির মাধ্যমে সারা দেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর বিএনপি-জামায়াতের আক্রমণের উস্কানী দিচ্ছে। এই খবর প্রকাশের পরপরই যশোরের অভয়নগরে, দিনাজপুরে, ঠাকুরগাঁয়ে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। […]

তবে এই সংবাদপত্র বিবৃতি দিয়েছে যে কোন প্রকাশিত ছবি পরিবর্তন করা হয়নি। তবে নেটিজেনরা তবুও সমালোচনায় মুখর রয়েছেন সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে পত্রিকাটির এইরুপ পক্ষপাতিত্বমূলক ছবি প্রকাশ এবং কমেন্ট অংশে সাম্প্রদায়ক ঘৃণা ভরা কমেন্ট প্রকাশের জন্যে।

সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের কারণে বিগত কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেকেই দেশত্যাগ করেছেন। সেই পরিসংখ্যান তুলে ধরেছেন ব্লগার অভিজিৎ রায়:

বাংলাদেশে ১৯৪১ সালে হিন্দু জনসংখ্যা ছিল শতকরা ২৮ ভাগ। ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের অব্যবহিত পরে তা শতকরা ২২ ভাগে এসে দাঁড়ায়। এরপর থেকেই সংখ্যালঘুদের উপর ক্রমাগত অত্যাচার এবং নিপীড়নের ধারাবাহিকতায় দেশটিতে ক্রমশ হিন্দুদের সংখ্যা কমতে থাকে। ১৯৬১ সালে ১৮.৫%, ১৯৭৪ সালে কমে দাঁড়ায় ১৩.৫%, ১৯৮১ সালে ১২.১%, এবং ১৯৯১ সালে ১০% এ এসে দাঁড়ায়। সাম্প্রতিক সময়গুলোতে হিন্দুদের শতকরা হার কমে ৮ ভগের নিচে নেমে এসেছে বলে অনুমিত হয়।

এভাবে বারবার সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ করে জাতি হিসেবে আমরা কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছি সেটাই জানিয়েছেন জাহিদ নেওয়াজ খান (@znewaz):

এদিকে সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে প্রতিবাদ কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়েছে এবং একটি লংমার্চের আয়োজন করা হয়েছে।

2 টি মন্তব্য

  • […] by ????? ????? ???? (Pantha) · Translated by Rezwan · View original post [bn] · comments (0) Donate · Share: facebook · twitter · googleplus […]

  • ডা.উজ্জ্বল চক্রবর্তী

    আসুন,পাশে দাঁড়াই

    উত্তর ঢেমশা,সাতকানিয়া থেকে এসে

    আজ রোববার,১৯ শে জানুয়ারী ২০১৪,রাত নটা য় এই নিবন্ধটি লেখার সময়ও ৭টি পরিবারের অন্তত ৩০ জন মানুষ খোলা আকাশের নীচে শীতের রাতে বসে আছে।সাতকানিয়া উপজেলার উত্তর ঢেমশা গ্রামে গত ১৬ ই জানুয়ারী রাত আনুমানিক ১.৩০ ঘটিকায় সংগঠিত অগ্নিকান্ডের ফলশ্রুতিতে ৭ টি পরিবার গৃহহীন হয়ে পরে।আমরা চেস্টা করেছি ক্ষতিগ্রস্ত ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে একটি রেখাচিত্র দাঁড় করাতে।খুব সামান্য তথ্যই আমরা পেয়েছি আতংকগ্রস্ত মানুষগুলোর কাছ থেকে।

    আলোরাণী দাশ—রাত ১০ টার দিকে একবার মোবাইল এসেছে,কিন্তু কথা স্পস্ঠ না-তাই ঘুমিয়ে পরি।এর পর ঘুম ভাঙ্গে বাঁশ ফাঁটার শব্দে।খালিহাতে বের হই,ঘর থেকে বের হয়ে দেখি চারদিকে আগুন।চীৎকার শুরু করি,প্রায় সংজ্ঞাহারা হয়ে যাই।প্রায় ৫৫ মিনিট পর ফায়ার বিগ্রেড আসে কেরাণীহাট থেকে।
    হারাধন দাশ—বৃহস্পতিবার দিনের ২ টায় পৌষ-সংঙ্ক্রান্তির মোয়া মুড়ি নিয়ে যাই মেয়ের শশুর বাড়ী পদুয়ায়।খবর পেয়ে রাত ৩টায় এসে দেখি সবকিছু পুড়ে শেষ।
    যুঁথী দাশ-(কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তিনি।কিছু বলতে পারেননি)
    কন্কন দাশ-আমাদের সাথে কারো রাজনৈতিক দন্দ্ধ ছিলোনা।হঠাৎ করে নির্বাচন এর পরে এই ঘটনা।আপনারাই অনুমান করতে পারেন কি হতে পারে।
    নারায়ন দাশ-বাঁচবো কিনা সন্দেহ।আতংক নিয়ে বসে আছি।বাজারে কিভাবে যাব।পরিবার-পরিজন নিয়ে আতংকে বসে আছি।কোন সময় আবার এসে আগুন ধরিয়ে দেয়।যদি ঘুম থেকে জেগে না উঠতাম তাহলে তো ঘুমের ঘোরেই মরে যেতাম।
    সাতকানিয়া থানার ওসি খালেক সাহেব-গতকাল রাতে মামলা নেয়া হয়েছে।আমরা চেস্টা চালিয়ে যাচ্ছি।suspect কে নাম বলা যাচ্ছে না।আশা করছি খুব শিগগীরই আমরা একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছব।
    সাতকানিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রমজান আলী সাহেব-যখন ঘটনা ঘটে আমি তখন কক্সবাজার ছিলাম।রাত চারটায় রিং এসেছিল।রিংটোন অফ্ থাকায় শুনতে পারিনি।পরদিন সকালে তড়িঘড়ি করে গ্রামে যাই।ওসি সাহেবের সাথে কথা হয়েছে।ইউ.এন.ও সাহেবের সাথে কথা হয়েছে।গতকাল ঢেমশা স্কুলের মাঠে আমরা একটা সভা করেছি।তাছাড়া ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ উল্লেখপুর্বক ১৬ লক্ষ টাকার ক্ষতিপুরণ দাবী করে সরকারের কাছে লিখেছি।আমি আসলে ঘটনাটা কে করেছে জানিনা।কারো লাগিয়ে দেয়া আগুন হতে পারে।কারন যেখানে আগুনের সুত্রপাত সেখানে কোন চুলা নাই।কিন্তু কে লাগিয়ে দিছে আমরা হুবহু কোন মন্তব্য করতে পারবনা।

    এই ঘটনাটি ঘটে গত ১৬ই জানুয়ারী।এটা হয়তো নির্বাচন পরবর্তি সহিংসতার ধারাবাহিকতা অথবা বিচ্ছিন্ন কোন ঘটনা,যাই হোক সেটা বিচারের ভার প্রশাসনের কাছে।কিন্তু আজ এই মুহুর্তে ,আমরা একবার অন্তত মনে মনে হলেও এই ৭ টি পরিবারের ৩০জন গৃহহীন এবং আতংকগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াই।

    ————————–

    হিন্দু ডক্টরস এসোসিয়েশন
    চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
    বাংলাদেশ।
    1973uzzal@gmail.com
    Let’s stand beside the affected

    Coming from North Demsha, Satkania,Ctg,Bangladesh

    Today, the Sunday,19th January,2014 at 9 pm, while preparing this manuscript at least 30 people of 7 families remain under open sky in this chilly night. They become homeless as a result of planned firesetting in the village north Demsha of Satkania Upazilla on 16th January at around 1.30 pm. We have made an attempt to prepare a sketch on the information obtained from the affected &administration.

    Alo Rani Das: I received a phone call once at about 10 pm but felt sleep because the conversion was indistinct. Then my sleep was interrupted with the cracking sound of bamboos. Came out of the house barehanded & found fire all around. I started shouting loudly to become faint soon after. Fire brigade from Keranihat came about 55 minutes later.

    Haradhon Das: I went to Padua, Satkania to my daughter’s father in laws house with puffed rice with molasses mixed puffed rice on the occasion of “Poush Festival”. Having the news I came back and saw everything is finished.

    Juthika Das: Busted into tears, could not tell anything.

    Kancheon Das: There was no political conflict of anybody with us. This firing happened all at once after the election. You can guess, what may be the cause?

    Naryan Das: I doubt about my survival. How to go to the market? we are living in panic with the family members. When they will set fire again? If we would not wake up we would die in sleep.
    Officer in charge, Police station, Satkania Mr. Khaleque: The case was filled last night. We keep on trying. The suspect cannot be mentioned. Hopefully we will reach a decision soon.

    Mr. Ramjan Ali, Chairman of Satkania union: I was at Coxs Bazar when the incidence took place. There was a phone call at 4.00 pm. I could not hear because the ring tone was left silent. I rushed to village next morning. I had a talk with O.C. I also talked to UNO. We arranged a meeting at Demsha school field yesterday. We applied to government describing the loss of wealth taka 16 Lucks. I really do not know the culprit. Fire may be set by somebody. Because there was no burner at the source of fire. But I cannot comment exactly who set it.
    The incidence happened on 16th January. It may be the continuation of post election violence or it maybe a separate event. Whatever it is, the judgment lies with the administration. But today at this moment, we at least feel to stand by the side of this homeless & horrified 30 people of 7 families.

    ———————————————————————————————–
    HINDU DOCTORS ASSOCIATION
    CHITTAGONG MEDICAL COLLEGE & HOSPITAL
    BANGLADESH.

    1973uzzal@gmail.com

    Please circulate this to your beloved

আলোচনায় যোগ দিন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .