ভিডিওঃ সিরিয়াতে “আর নয়ঃ বিপ্লবের গল্প”

ম্যাথু ভ্যানডাইক একজন আমেরিকান সাংবাদিক এবং প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতা। গাদ্দাফি বাহিনীর বিরুদ্ধে সংঘটিত লিবিয়ার গৃহযুদ্ধে একজন বিদেশী যোদ্ধা হিসেবে তিনি অংশগ্রহণ করেছিলেন। জনসাধারণের কাছ থেকে সংগৃহীত তহবিলের ওপর অবলম্বন করে তিনি “আর নয়ঃ বিপ্লবের গল্প” নামে একটি স্বল্প দৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন। সিরিয়ার বিপ্লব এবং এর তাৎপর্য এই চলচ্চিত্রটিতে তুলে ধরা হয়েছে।

২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই চলচ্চিত্রটি [সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ সংবেদনশীল দৃশ্য] বিনামূল্যে দেখার জন্য ইউটিউবে পোস্ট করা হয়। চলচ্চিত্রটিতে আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে বেসামরিক সাধারণ জনগণকে প্রতিবাদ করতে দেখা যায়। বোমা বিস্ফোরণ হওয়ার সাথে সাথে সেখানে সক্রিয় কর্মীদেরকে গান গাইতেও দেখা যায়। ফুটেজগুলো আমাদেরকে ধ্বংসপ্রাপ্ত আলেপ্পো (হোমস) শহরে নিয়ে যায়। যারা এক সময় সাধারণ মানুষ ছিলেন, তাদেরকেও এই ফুটেজগুলোতে অস্ত্র হাতে দেখা যায়। তারা এখন তাদের দেশের মুক্তির জন্য বিদ্রোহী যোদ্ধায় পরিনত হয়েছে। পরিচালক সক্রিয় কর্মীদের সাথে ইংরেজীতে কথা বলেছেন। তবে মূল দৃশ্যের পেছনে কিছু কিছু গান এবং স্থানীয় কথোপকথন আরবি ভাষায় শোনা যাবে।

এই ইউটিউব চলচ্চিত্রটি তার নিজের ভাষায়,              

 [……] এটি এক ডজনেরও বেশী পুরষ্কার জিতেছে এবং সারা বিশ্ব জুড়ে ৭৫ টির চেয়েও বেশী চলচ্চিত্র উৎসবে এটিকে দাপ্তরিকভাবে নির্বাচন করা হয়। পরিচালক ম্যাথু ভ্যানডাইক বিনামূল্যে চলচ্চিত্রটিকে অনলাইনে মুক্তি দিয়েছেন। ইউটিউবে কোন রকম বিজ্ঞাপন প্রচার করা ছাড়াই চলচ্চিত্রটিকে নির্ধারিত সময়ের কয়েক সপ্তাহ আগেই মুক্তি দেয়া হয়। কারন সিরিয়ার সমর্থনে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হলে এখনই আপনার জন্য সবচেয়ে সংকটপূর্ণ সময়। এটি আপনার চলচ্চিত্র।

সিরিয়ার যুদ্ধ নিয়ে নির্মিত ১৫ মিনিট দীর্ঘ একটি প্রামাণ্য চলচ্চিত্র হচ্ছে “আর নয়ঃ বিপ্লবের গল্প”। আমেরিকার নাগরিক ম্যাথু ভ্যানডাইক এবং নূর কেলজে (একজন সিরিয় সাংবাদিক। তিনি এই চলচ্চিত্রের একজন তারকাও বটে) এই চলচ্চিত্রটি পরিচালনা ও প্রযোজনা করেছেন।

এই চলচ্চিত্রটি স্বাধীনতার জন্য সিরিয়ার সংগ্রামের গল্প বলে। সিরিয়ার আলেপ্পোতে ৩২ বছর বয়সী একজন বিদ্রোহী সেনাপতি এবং ২৪ বছর বয়সী একজন নারী সাংবাদিক নূর কেলজের অভিজ্ঞতা থেকে এই সংগ্রামের গল্প বলা হয়েছে।

চলচ্চিত্রটি পরিষ্কারভাবে এবং অল্প কথায় বেশী তথ্য প্রদানের মাধ্যমে দেখিয়েছে, কেন সিরিয়ার জনগণ তাদের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছে। দু’টি শক্তিশালী চরিত্র, যারা এই যুদ্ধের কারনে নানা চড়াই উৎরাই পার করছে এবং এই যুদ্ধ যাদের জীবনকে ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছে তাদেরই আবেগপ্রবণ কথার মধ্য দিয়ে এই সংগ্রামের গল্প বলা হয়েছে।

সিরিয়াতে চলচ্চিত্র নির্মাণ করা অত্যন্ত বিপদজনক এবং কঠিন। ভ্যানডাইক এবং কেলজেকে বিমান থেকে বোমা নিক্ষেপ, বড় কামান, মর্টার, স্নাইপারস এবং তাদের অনড় অবস্থানের কারণে বার বার অপহরণের হুমকির মুখোমুখি হতে হয়েছে। তার পাশাপাশি সিরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন চ্যানেলে আসাদ সরকার ভ্যানডাইককে একজন সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।

এখানে আপনি এই স্বল্প দৈর্ঘ্যচলচ্চিত্রটি দেখতে পাবেনঃ

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .