পশতু সঙ্গীত শিল্পী ঘাযালা জাভেদকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদন্ড পেলেন তাঁর সাবেক স্বামী

Ghazala Javed (1988-2012). Image courtesy Wikipedia

ঘাজালা জাভেদ (১৯৮৮-২০১২)। 

পশতু শিল্পী এবং তালেবান বিরোধী সক্রিয় কর্মী ঘাযালা জাভেদের সাবেক স্বামীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে। পাকিস্তানের উত্তর পশ্চিমের জেলা সোয়াতের একটি আদালত ২০১২ সালে ঘাযালা জাভেদের এবং তাঁর বাবাকে হত্যার দায়ে এই আদেশ দিয়েছে।     

ঘাযালা জাভেদ তাঁর জীবদ্দশায় তালেবানদের চাপের বিরুদ্ধে সাহসিকতার সাথে প্রকাশ্যে বিরোধীতা করেছেন। তাকে গান গাওয়া বন্ধ করতে এবং তাঁর জন্মস্থান সোয়াতে তালেবানদের আধিপত্য স্থাপন সম্পর্কে জনগণের মাঝে ঘৃণার উদ্রেক করানোর জন্য প্রতিবাদ জানানো বন্ধ করতে এই চাপ দেয়া হয়েছিল। তালেবানরা সোয়াতের আংশিক দখল করে নিয়েছিল। ২০০৯ সালে পাকিস্তানি সেনা বাহিনী এক ব্যাপক অপারেশন চালিয়ে এই এলাকা থেকে তাঁদেরকে তাড়িয়ে দেয়।  

ঘাযালার সাবেক স্বামী, জাহাঙ্গীর খানকে দু’টি হত্যা মামলায়ই মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে। তাঁর সাথে সাথে ৭০ মিলিয়ন রুপী (০.৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের) জরিমানা করা হয়েছে। তিনি এই রায়ের বিরুদ্ধে আপীল করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন।

বেশ কিছু পাকিস্তানি আদালতের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এবং তারা টুইটারে এই হেঁয়ালিপূর্ণ শিল্পীকে স্মরণ করেছেন।

রায়ের খবরটি শুনে এসএ বাসিন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেনঃ 

শুনে খুব ভালো লাগলো যে আমাদের প্রিয় মরহুম #ঘাযালাজাভেদ অবশেষে ন্যায়বিচার পেয়েছেন – যদিও কিছুটা দেরীতে…তথাপি কখনো না হওয়ার চেয়ে দেরীতে হওয়া ভালো, আহ। 

ঘাযালা একজন নৃতাত্ত্বিক পশতুন জনগোষ্ঠীর লোক। তিনি পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের স্থানীয় পশতু ভাষায় গান গেয়েছেন। তাঁর একজন ভক্ত একজন পশতুন টুইটার ব্যবহারকারী শাজাদ বাংগাশ এই রায়ের প্রশংসা করেছেনঃ

#ঘাযালাজাভেদকে খুন করেছে যে লোকটি আমি সত্যিই তাকে রক্তাক্ত ছিন্নভিন্ন অবস্থায় ফাঁসিতে ঝুলতে দেখতে চাই। ভালো সিদ্ধান্ত। 

আরেকজন পশতুন টুইটার ব্যবহারকারী নাজরানা ইউসুফজাই এই বিচার নিয়ে মন্তব্য করে বলেছেনঃ

ঘাযালাজাভেদকে #সমবেদনা – আপনার খুনীকে তাঁর প্রাপ্য শাস্তিই দেয়া হয়েছে  

পশতুন রাজ পরিবারের সদস্যরা আইন ও বিচার ব্যবস্থার উপর তাদের অনাস্থা প্রকাশ করে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেঃ 

@নাজরানাইউসুফজাই আপনারা জানেন সর্বোচ্চ আদালতের রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী মামলা চালিয়ে যাওয়া পর্যন্ত এই দণ্ডাদেশটি ৬ বছরের কারাদন্ডে কমিয়ে আনা হবে। 

সাংবাদিক জাভেদ আজিজ খান শিল্পীর হাতে আঁকা একটি ছবি পোস্ট করেছেনঃ 

শিল্পী #ঘাযালাজাভেদকে ২০১২ সালে পেশোয়ারে হত্যা করা হয়েছে। তাকে হত্যার দায়ে তাঁর সাবেক জীবনসঙ্গীকে আদালত তাঁর হত্যা মামলার অধীনে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি দিয়েছে। 

পশতু ভাষায় গাওয়া ঘাযালার গানগুলো আফগানিস্তানেও বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। পশতু ভাষাটি আফগানিস্তানের দাপ্তরিক ভাষাগুলোর মধ্যে একটি। কাবুলে অনুষ্ঠিত ঘাযালার শেষ গানের আসর থেকে হাইপ্রগি একটি ভিডিও পোস্ট করেছেনঃ 

২০১৩ সালে কাবুলে অনুষ্ঠিত ঘাযালা জাভেদের শেষ গানের আসরের পশতু গান, পার্ট ৫ ইউটিউবঃ @ইউটিউব থেকে http://t.co/YrFMCSVMF1

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .