জামিনে মুক্তি পেলেন ইরানী ছাত্রনেতা মাজিদ টাভাকলি

 Majid Tavakoli hugging his mother after being released from jail has circulated on Iranian social media.

জামিনে মুক্তির পর মায়ের সাথে আলিঙ্গন রত অবস্থায় মজিদ টাভাকলি।

বিশিষ্ট ইরানি ছাত্রনেতা মাজিদ টাভাকলি গত চার বছরে এই প্রথমবারের মত সোমবার জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। তাঁর পরিবারের সদস্যরা বলেছেন, মজিদ হয়ত কয়েক দিনের মধ্যেই আবার কারাগারে ফেরত যাবে।

২০০৯ সালের ডিসেম্বরে ইরান সরকারের সমালোচনা করলে টাভাকলি গ্রেফতার হোন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, একটি শিক্ষার্থী দিবসে বক্তৃতা প্রদানের পর মহিলার পোষাক পড়ে কর্তৃপক্ষ থেকে সে পালিয়ে ছিল। তাকে অপদস্থ করার সরকারি প্রয়াসের পালটা আক্রমণ হিসেবে আমির কবির বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি একটি শক্তিশালী অনলাইন প্রতিবাদ প্রচারণা তৈরি করেন।

টাভাকলির সমর্থনে শত শত ইরানী পুরুষ তাদের ফেসবুক প্রোফাইলে নারীদের মত করে পোশাক পরিহিত ছবি আপলোড করে মহিলাদের সঙ্গে তাদের সংহতি প্রকাশ করেছেন।

মুক্তির জন্য সামাজিক চাপ?

টাভাকলির অস্থায়ী মুক্তির ক্ষেত্রে কি ধরনের চাপের প্রভাব থাকতে পারে, সে বিষয়ে ব্লগার কেরমেকি আলোচনা করেছেন। অগ্রগামী মানবাধিকারের নির্বাহী পরিচালক ডেভিড কেয়েস ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী জাভেদ জারিফকে প্রকাশ্যে জিজ্ঞাসা করেছেন, মাজিদ টাভাকলি কবে মুক্তি পাবেন? এর জবাবে মন্ত্রী বলেছেন, মজিদের নাম তিনি আগে কখনও শোনেননি। কেরমেকি বিশ্বাস করেন, এই ব্যাপারটির পাশাপাশি সামাজিক মিডিয়ার প্রচারণা তার মুক্তির ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করেছে। ফেসবুকে জারিফের উপস্থিতি আছে (ইরানে যা নিষিদ্ধ) এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা সেখানে টাভাকলির সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করেছেন।

প্রতিরোধ উদযাপন

ইউটিউবে একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে যেখানে দেখা গেছে, আমির কবির বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অবিলম্বে গান এবং ব্যানার সহ একটি সমাবেশ করে তার মুক্তি উদযাপন করেছেঃ

ব্লগার হারিফ রিশে বলেছেন [ফার্সী ভাষায়]:

মাজিদ টাভাকলি মানে হচ্ছে, সবুজ আন্দোলন চলমান।

মাজিদ টাভাকলি মানে হচ্ছে, প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে এক ব্যক্তির [সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ] চার বছর পার করা।
(…)

মাজিদ টাভাকলি মানে হচ্ছে, সবুজ আন্দোলন একটি অরাজনৈতিক দল, যার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে খামেনির অনুমতির প্রয়োজন নাই।

ব্লগার আরও বলেছেন, যদি আমরা সত্যিই এতে বিশ্বাস করি তবে আমরা সবুজ আন্দোলনের হৃদয় হতে পারব। ২০০৯ সালের বিতর্কিত রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পর ব্যাপক প্রতিবাদের ফলস্বরূপ সবুজ আন্দোলনের নেতারা বর্তমানে গৃহবন্দী রয়েছেন।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .