বাংলাদেশঃ যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি রাজপথ ও অনলাইনে

এই পোস্টটি আমাদের শাহবাগ প্রতিবাদ সংক্রান্ত বিশেষ কাভারেজের অংশ।

জামাত-শিবির ও সমমনা ইসলামী দলগুলো যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবীতে আন্দোলনরত শাহবাগের প্রতিবাদকারীদের ‘নাস্তিক’ ও ‘অমুসলিম’ উল্লেখ করে যে সহিংস আন্দোলন শুরু করেছে তার বিরুদ্ধে ঘুরে দাড়ানো শুরু হয়েছে।

গত ২২শে ফেব্রুয়ারী, ২০১৩, পুলিশ ও জামাত শিবিরের সমর্থকদের সহিংশ সংঘর্ষে ৪ জন নিহত, ১০০০ জন আহত হয় ও ১৪ জন সাংবাদিক আহত হন। জামাতে ইসলাম ও সমমনা ১২ টি ইসলামী দল ফেসবুক ও ব্লগে ইসলামহযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর নামে কটূক্তি করা হয়েছে দাবি করে রাজধানীর প্রধান মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের অন্যান্য মসজিদগুলো থেকে জুম্মার নামাজ শেষে একযোগে সহিংস বিক্ষোভ মিছিল বের করে। তারা এ সময় পুলিশ, সাধারণ মুসল্লী, মিডিয়া এবং পত্রিকা সাংবাদিকদের উপর চড়াও হয়, সিলেটে ২১ শে ফেব্রুয়ারির স্মারক শহীদ মিনার ভেঙ্গে ফেলে ও চাঁদপুরে জাতীয় পতাকা ছিড়ে, পূড়িয়ে ফেলে।

গত ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ তারিখে বাংলাদেশ জামাতে ইসলামীর সেক্রেটারী জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে  ১৯৭১ সালে ৩৪৪ জনকে হত্যা, ধর্ষন, অগ্নিসংযোগ ও মানবতা বিরোধী অপরাধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের বিচারক  যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন।

রাজধানী ঢাকার শাহবাগ চত্তরে জমায়েত হয়েছেন হাজারো প্রতিবাদী। ছবি ফিরোজ আহমেদের। সর্বস্বত্ব ডেমোটিক্ম (২১/২/২০১৩)

রাজধানী ঢাকার শাহবাগ চত্তরে জমায়েত হয়েছেন লাখো প্রতিবাদী। ছবি ফিরোজ আহমেদের। সর্বস্বত্ব ডেমোটিক্ম (২১/২/২০১৩)

এ্কই দিন জনগণ বিচারের এ রায়কে প্রত্যাখ্যান করে ব্লগার্স এন্ড অনলাইন এক্টিভিস্ট নেটওয়ার্ক (বোয়ান) এর আহবানে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে শাহবাগ চত্বরে সমবেত হয়। চলমান এ আন্দোলন ইতোমধ্যেই দেশের বড় বড় শহরগুলোতে ব্যাপ্তি লাভ করেছে। ব্লগারদের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠন, বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন, নাহরিক সমাজ প্রমুখ এ আন্দোলনে সমর্থন জানিয়েছে।

তবে এই আন্দোলনের বিরুদ্ধে ইসলামপন্থীদের চরম অবস্থান ৮৯% মুসলমানদের এই দেশটিকে ধর্মীয় উত্তেজনার দিকে ঠেলে দিচ্ছে

জামাতপন্থী প্রতিবাদকারীরা বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে পুলিশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন। ছবি জাকির হোসেইন চৌধুরীর। সর্বস্বত্ব ডেমোটিক্স। (২২/২/২০১৩)

জামাতপন্থী প্রতিবাদকারীরা বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে পুলিশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন। ছবি জাকির হোসেইন চৌধুরীর। সর্বস্বত্ব ডেমোটিক্স। (২২/২/২০১৩)

শাহবাগের প্রতিবাদকারীরা তাদের বিরুদ্ধে ‘নাস্তিকতা’ ও ‘ধর্মবিদ্বেষ’ এর অভিযোগের প্রতিবাদ করে যাচ্ছে অনলাইনে।

ফেসবুকে নিঝুম মজুমদার একটি আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত ছবি প্রকাশ করেছেন যেখানে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়া লক্ষ লক্ষ শরণার্থীদের কষ্ট ফুটে উঠেছে। তিনি বলছেন কেন এই প্রতিবাদ দরকারী:

আমার মা'কে, আমার বাবাকে, আমার বোনকে, আমার ভাইকে এত তীব্র কষ্ট যারা দিয়েছিলো তাদের বিচার চাইতে গেলেই আমি নাস্তিক? তাদের বিচার চাইতে গেলেই আমি আওয়ামীলীগের দালাল? বিচার চাইতে গেলেই কি আমাকে এইসব অসভ্য প্রোপাগান্ডার মুখে পড়তে হবে?

ফেসবুক ব্যবহারকারী দিপু তার ফেসবুকে শাহবাগ আন্দোলন নিয়ে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেনঃ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ও ফেসবুক ব্যবহারকারী সৈকত শুভ্র আইচ পতাকা পোড়ানো ও শহীদ মিনার তছনছ করার প্রতিক্রিয়ায় তাঁর ফেসবুকে লিখেনঃ

বিএনপি নাকি একটি ‘জাতীয়তাবাদী’ দল! অথচ আমাদের জাতীয়তার সর্বোচ্চ দুই আইকন জাতীয় পতাকা আর শহীদ মিনার লাঞ্ছিত করাকে ওরা সমর্থন করলো, লাঞ্ছনাকারীদের ডাকা আজকের হরতালে জোরালো সমর্থন দিলো, শাহবাগ আন্দোলন শুরু হওয়ার পর তব্দা খেয়ে মুখে কুলুপ এঁটে থাকলো, তারপর থেকে দিকদিশাহীন মন্তব্য করা শুরু করলো- একবার বললো শাহবাগকে তারা স্যালুট জানায়, আবার বলে শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের সাথে তারা নাই, কাউন্টার হিসেবে তারা গণতন্ত্র মঞ্চ বানাবে জাতীয় পতাকা ও শহীদ মিনার লাঞ্ছনাকারীদের নিয়ে!

রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব বলে একটা কথা শুনে আসছি ছোটবেলা থেকে। এবার বিএনপিকে দেখে বুঝলাম কাকে বলে রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব। একাত্তর প্রশ্নে কারো সাথে কোনও আপোষ নাই। টাটা বিএনপি, বাইবাই।

শশাঙ্ক বরণ রায় এ গণ জাগরণের বিষয়ে আশাবাদী। তিনি ফেসবুকে লিখেনঃ

ওরা জাতীয় পতাকায় আগুন দিয়েছে, ওরা শহীদ মিনারে হামলা করেছে। এ লড়াই এদেশের রাজাকার-আলবদর ছাড়া প্রতিটি মানুষের প্রাণের লড়াই। এ লড়াইয়ে বিজয় ছাড়া কোন অপশন নেই।

ব্লগার, অনলাইন এক্টিভিস্ট ও ফেসবুক ব্যবহারকারী বিজয় মজুমদার ফেসবুকে বলেনঃ

নাস্তিক ব্লগারদের ফাঁসির দাবীর সাথে শহীদ মিনার এবং জাতীয় পতাকা পোড়ানোর মধ্যে সম্পর্ক কি?

কামরাঙ্গীর চরের একটি মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক ঢালাও ভাবে শাহবাগের ব্লগারদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছে নবী মোহাম্মদ (সা:) এর বিরুদ্ধে লেখার অভিযোগে। ছবি জাহিদুল সেলিমের। সর্বস্বত্ব ডেমোটিক্স (২৪/২/২০১৩)

কামরাঙ্গীর চরের একটি মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক ঢালাও ভাবে শাহবাগের ব্লগারদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছে নবী মোহাম্মদ (সা:) এর বিরুদ্ধে লেখার অভিযোগে। ছবি জাহিদুল সেলিমের। সর্বস্বত্ব ডেমোটিক্স (২৪/২/২০১৩)

ফেসবুক ছাড়াও এ আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে টুইটারে। মূলতঃ বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের বাইরে বসবাসকারীরাই প্রজন্ম চত্বরের পক্ষে- বিপক্ষে টুইটারে ঝড় তুলেছেন। কিছু টুইট তুলে ধরা হলঃ

তারেক ফাত্তাহ টুইটে বলেনঃ

@ফাত্তাহতারেক: বাংলাদেশের ইসলামপন্থীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হুমকী দিয়েছেনঃ” #শাহবাগের ব্লগারদের গ্রেফতার করুন নইলে আমরা একে একে তাঁদের হত্যা করবো”। http://youtu.be/ngtkv6UWE1k 

অন্যদিকে যুদ্ধাপরাধের মূল হোতা গোলাম আজম সম্পর্কে শাহেদ হক টুইট করেনঃ

@ব্রাদারশাহেদ: #শাহবাগ#৬: গোলাম আজম ছিলেন ভাষা আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা http://tinyurl.com/afxomkx

তার এ টুইটের প্রতিবাদে পিনাকী বলেনঃ

@পিম৮৬৩: @ব্রাদারশাহেদ আপনি রাতে কি করে ঘুমান? দেখুন গোলাম আযম কি বলেছেন pic.twitter.com/I8vf6CtddI  #শাহবাগ #জামাতীরা মিথ্যাবাদী।

ইসতিয়াক ওপাল টুইট করেনঃ

@ওপালইসতিয়াক: জামাতীরা আমাদের বিরুদ্ধে পাকিদের ভাড়া করেছে। তারা কিভাবে এ দেশে বাস করতে পারে? জামাত শেষ না হওয়া পর্যন্ত #শাহবাগ থামবে না pic.twitter.com/uNwXjJWMKp

টুইটার ব্যবহারকারী ইফতেখার চৌধুরী বলেনঃ

@ইফতেখার_চৌ: মুহাম্মদ (সাঃ)- এর পদাংক অনুসরণ কর। এ বার্তাটিই এখানে নুমান আলি দিয়েছেন http://goo.gl/0VDz #জামাতকে অনুসরণ করো না। #শাহবাগ

 বাংলাদেশ ফ্যান বলেনঃ

@ব্যান_ফ্যান: মুসলমান হওয়া আর জামাতকে সমর্থন করা দুটি ভিন্ন জিনিস। জামাতকে বর্জন করেও আপনি একজন ভাল মুসলিম হতে পারেন #শাহবাগ

অনু লিখন টুইট করেনঃ

@অনুলিখন: প্রিয় #জামাত, আপনারা আপনাদের সর্বোচ্চটা দেখিয়েছেন, আপনারা পারেন খালি জনগণকে আতংকিত করতে এর বেশি কিছু না।#বাংলাদেশ আপনাদের প্রত্যাখ্যান করেছে।#শাহবাগ

#শাহবাগ এর সমর্থনে প্রতিবাদকারীরা বুদ্ধিজীবি গোরস্থানে একত্রিত হয়েছেন তাদের দাবী নিয়ে। ছবি জাহিদুল সেলিম। সর্বস্বদ্ব ডেমোটিক্স (২৩/২/২০১৩)

#শাহবাগ এর সমর্থনে প্রতিবাদকারীরা বুদ্ধিজীবি গোরস্থানে একত্রিত হয়েছেন তাদের দাবী নিয়ে। ছবি জাহিদুল সেলিম। সর্বস্বদ্ব ডেমোটিক্স (২৩/২/২০১৩)

শাহবাগ আন্দোলন নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে নানা ধরণের প্রচারনা- অপপ্রচারনায় বাংলাদেশের ব্লগীয় পরিমণ্ডল ও অনলাইন পরিমণ্ডল সক্রিয়। যুদ্ধাপরাধীরা ইতোমধ্যে দেশের প্রধান ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার হ্যাক করেছে। অপরদিকে মানবতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধের দাবিতে আন্দোলনরত সাইবার যোদ্ধারা বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবির এর সাইট হ্যাক করেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ডেইলি স্টারের ওয়েবপেইজ হ্যাকারমুক্ত হয়েছে। বিটিআরসি ইতোমধ্যেই জামাত শিবির পরিচালিত আপত্তিকর ১২ টি ব্লগ ও ফেসবুক পাতা বন্ধ করে দিয়েছে।

উল্লেখ্য যে, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ লুটপাট ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত বাংলাদেশ জামাতে ইসলামী , বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) কয়েকজন নেতা এবং ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের একজন নেতার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনালে বিচার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। ট্রাইবুনাল ইতোমধ্যেই দুজন যুদ্ধাপরাধীর বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করেছে।

২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ বিকেল ৫টায় রাজধানীর শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ থেকে একটি ঘোষণা দেওয়া হয়। ঘোষণাপত্র পাঠ করেন ব্লগার অ্যান্ড অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট নেটওয়ার্ক (বোয়ান)-এর পক্ষে সংগঠনটির আহ্বায়ক ডা. ইমরান এইচ সরকার। এ ঘোষণাপত্রে ৬ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়।

৬ দফা দাবিঃ

১. ঘাতক জামাত শিবিরের সন্ত্রাসী হামলায় শহীদ রাজীব হায়দার, জাফর মুন্সী, বাহাদুর মিয়া, কিশোর রাসেল মাহমুদ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের আগামী সাতদিনের মধ্যে গ্রেফতার করতে হবে।

২. ছাব্বিশে মার্চের পূর্বে পূর্বে স্বাধীনতা বিরোধী ঘাতক সন্ত্রাসী জামাত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার লক্ষ্যে যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যায় নেতৃত্বদানকারী জামায়াতে ইসলামের বিরুদ্ধে সংশোধিত আইনের অধীনে অভিযোগ গঠন এবং নিষিদ্ধের আইনি প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।

৩. অবিলম্বে সংগঠনগুলোর আর্থিক উৎস, যেসব উৎস থেকে সকল প্রকার জঙ্গিবাদী এবং দেশবিরোধী তৎপরতার আর্থিক যোগান দেয়া হয়, সেগুলো চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করতে হবে।

৪. যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া গতিশীল ও অব্যাহত রাখতে অবিলম্বে আন্তজার্তিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে স্থায়ী রূপ দিতে হবে।

৫. গণমানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাস ও তাণ্ডবে বন্ধে অবিলম্বে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে সকল সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারসহ গোপন আস্তানাসমূহ উ-খাত করতে হবে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এদের ভয়ঙ্কর রূপ প্রকাশ করে দিতে হবে।

৬. যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষক এবং হত্যা ও সাম্প্রদায়িক উস্কানিদাতা গণমাধ্যমগুলোর বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে।

প্রজন্ম চত্বরের আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

1 টি মন্তব্য

আলোচনায় যোগ দিন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .