মধ্যপ্রাচ্যের এলাকা সিরিয়া, লেবানন, জর্ডানের বেশির ভাগ জায়গায় এই সপ্তাহের আবহাওয়া ছিল বৈরী আর সপ্তাহ জুড়ে ছিল ঘুর্ণি বাতাস, যা বৃষ্টিপাত এবং বিস্ময়করভাবে এই এলাকাকে বরফের চাদরে ঢেকে দেয়। সিরিয়ার রাজধানী শহরের রাস্তাগুলো বছরের এই প্রথম বরফপাতে ঢেকে যায়। যদিও দামেস্কের আকাশ মাঝে মাঝে বরফ ঝরায়, কিন্তু খুব কম সময়ই তা রাস্তাকে বরফে ঢেকে দিতে পারে। এই ভাবে রাস্তা বরফে ঢেকে যাবার ঘটনায় ৫০%সিরিয়ান নামক ব্লগার বেশ রোমাঞ্চিত:
দামেস্কের বেশীর ভাগ তরুণ (যাদের বয়স ২০ বা ৩০ বছর) জীবনে এই প্রথম দামেস্কের মাটিতে বরফ পড়ে থাকতে দেখল। এক সংবাদে আমি পড়লাম, সুন্দর চেতনা এবং আত্মার এই শহরে ২৫ বছর পর বরফের দেখা মিলল। কিন্তু আমার শ্বশুর জানাচ্ছেন, তিনি ৫০ বছর আগে এই শহরে শেষবারের মত বরফ দেখেছেন.. এমনকি তারপর আর কখনো তিনি সিরিয়ার রাজধানী শহরের রাস্তায় বরফ পড়ে থাকার কথা মনে করতে পারেন না।
যে শহরটিকে আমি আমার হৃদয়ে লালন করি এবং ভালোবাসি সেখানে স্থায়ী বসতি গড়ার আগে অনেক মৌসুম, দামেস্কের থেকে আমি বের হয়ে অন্য শহরে গিয়েছি, আবার ফিরে এসেছি। কিন্তু আমি আমার ৩০ বছর-বা এরকম বয়সের জীবনে এই প্রথমবার আমি এ রকম এতটা প্রশান্ত এবং সুন্দরভাবে তুলতুলে বরফ পড়তে দেখলাম। এটি আমাকে যে কোন কিছুর চেয়ে, আশা আর ভালোবাসায় পরিপূর্ণ করে তুলল।
হোয়াই সো সিরিয়া? নামক ব্লগার ভদ্রমহিলা, নিজেকে দামেস্কে-এ বাস করা একজন মেক্সিকান-আমেরিকান হিসেবে বর্ণনা করেন। যিনি বোস্টন থেকে এখানে এসেছেন, এ কারণে তিনি বরফ ঝরে পড়া দেখে বিশেষ ভাবে বিস্মিত হয়েছেন। ব্লগার লিখেছেন:
ঠিক আছে. বড়দিন আসতে আরো কয়েকদিন বাকী, কিন্তু দামেস্কের আজকের সকালে আমরা বিশেষ বরফপাতের মধ্যে দিয়ে জেগে উঠলাম। কি এক অনাকাঙ্খিত এবং আনন্দদায়ক বিস্ময়! এক অলস আমেজে আমি আমার চোখ মেললাম এবং জানালা দিয়ে বাইরে তাকালাম, কিছুক্ষণের জন্য মনে হল আমি যেন এখন বোস্টনে রয়েছি……
… এই শহরটি বহুবিধ বিস্ময়ে পরিপূর্ণ, যখন আপনি ভাবলেন যে, এই এলাকাটিকে আপনি বুঝে ফেলেছেন.. তখন ধাম করে..বরফ পড়তে শুরু করেছে! এটা আমার মনে এক ধাক্কা দিয়েছে।
.
সিরিয়ার ব্লগার আইমান আশহোর দুর্ভাগ্যজনকভাবে বরফ পড়ার দৃশ্য দেখতে পারেনি। সে রসিকতার সাথে এক মন্তব্য করেছে:
সিরিয়ার স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল এক সুন্দর ভিডিও ইউটিউবে প্রদর্শন করছে, এই ভিডিও দামেস্কের বরফপাতের সুন্দর দৃশ্য তুলে ধরছে:
প্রথম ছবিটির কৃতিত্ব: আলেপ্পস প্রজেক্টে-এর মোস্তাফা হামিদোর