সার্বিয়া: তদন্ত সংবাদ প্রচার মাধ্যমে ফাঁস হয়ে যাওয়ায়, এয়ার ইন্ডিয়ার বৈমানিকের পরিবারের প্রতিক্রিয়া

নাতির সাথে জিলাটকো গ্লুসিকা। ছবি মারিমা গ্লুসিকার সৌজন্যে পাওয়া

২২ মে তারিখে ভারতের ম্যাঙ্গালোর বিমান বন্দরে এক বিমান দুর্ঘটনায় পতিত হয়। সেই ঘটনায় ১৫৮ জন আরোহী মারা যায়। এরপর ছয় মাস অতিক্রান্ত হয়ে গেছে। এক তদন্তে সেই বিমানের সার্বিয়ান চালক জিলাটকো গ্লুসিকাকে ভারতে গত দশকের সবচেয়ে ভয়াবহ এই বিমান দুর্ঘটনার জন্য দায়ী করা হয়। প্রচার মাধ্যমে এই তদন্ত ফাঁস হয়ে গেছে

হিন্দুস্তান টাইমস পত্রিকা অনুসারে তিন ঘন্টার এই বিমান যাত্রার সময় চালক গ্লুসিকা ১ ঘন্টা ৪০ মিনিট সময় ঘুমিয়েছিলেন এবং যখন বিমান অবতরণ করতে শুরু করে সে সময় তিনি “পারিপার্শ্বিকতা থেকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ছিলেন’।

অজ্ঞাতনামা এক ভারতীয় সূত্র জানাচ্ছে যে গ্লুসাকো সে সময় “স্লিপ ইনার্শিয়া”, বা তন্দ্রাচ্ছন্নতায় আক্রান্ত ছিলেন। এর সাথে তিনি যোগ করেন যে “ব্লাক বক্স” পাইলটের কক্ষে ভারী নাক ডাকার শব্দ এবং গভীর ঘুমে থাকা ব্যক্তির নিঃশ্বাসের শব্দ ধারণ করেছে।

ভয়েস রেকর্ডার অনুসারে সহকারী বিমান চালক এইচ.এস আহলুয়ালিয়া বার বার চালককে “অসফল অবতরণের” শঙ্কায় বিমান অবতরণে বাঁধা প্রদান করেন। তিনি বলেছিলেন যে, সেখানে আর অবতরণের জন্য যথেষ্ট পরিমাণ জায়গা অবশিষ্ট নেই এবং চালক গ্লুসিকোকে তিন বার “ফিরে যাবার” জন্য বলেন।

সার্বিয়ার প্রচার মাধ্যমে এই বেদনাদায়ক ঘটনার চূড়ান্ত দায় “ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কাজ করা বিমান চালকের” বলে যে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে, সেটি মেনে নিয়েছে, এবং বলা হচ্ছে যে অনেক অভিজ্ঞ বিমান চালকদের ক্ষেত্রেও ম্যাঙ্গালোর বিমান বন্দর বিশ্বের অন্যতম এক বিপজ্জনক বিমান বন্দর। এমনকি এই বাস্তবতা সত্ত্বেও বিপর্যয়ের পেছনে প্রকৃত ঘটনা কি তার তদন্তের ব্যাপারে সার্বিয়ার প্রচার মাধ্যম সামান্যই আগ্রহ দেখাচ্ছে।

এই অভিযোগ সার্বিয়া বিমান চালকের পরিবার, বন্ধু এবং সহকর্মীদের মাঝ ভয়াবহ প্রভাব তৈরি করেছে।

মি: গ্লুসিকার কন্যা মেরিমা গ্লুসিকা গ্লোবাল ভয়েসেসকে বলছে:

সার্বিয়ার প্রচার মাধ্যমসমূহে এক বীভৎস শিরোনাম প্রকাশ করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে-“জিলাটকো গ্লুসিকা ১৫৮ জন ব্যক্তিকে হত্যা করেছে”- এই সংবাদে আমি পুরোপুরি ভেঙ্গে পড়ি। এরপর, আমার ছোট্ট ছেলেটি জিজ্ঞেস করেছে যে মামা আলেকজান্ডার যদি এভাবে আকাশে বিমান চালাতে থাকে তাহলে সে একদিন হারিয়ে যাবে।

মি: গ্লুসিকার পুত্র আলেকজান্ডার এক বিমান উড্ডয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ছাত্র। তার এই বিমান চালনা প্রশিক্ষণ হচ্ছে মূল কারণ, যার জন্য গ্লুসিকা এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান চালানোর জন্য চুক্তি বন্ধ হন, যেখানে একজন বিমান চালকের মাসিক বেতন ৯৫০০ মার্কিন ডলার, তুলনামূলকভাবে সার্বিয়ার জাতীয় বিমান সংস্থা জেএটির একজন বিমান চালক মাসে ২৪০০ ইউরো বেতন পান।

এই সংবাদে আলেকজান্ডার গ্লুসিকা গভীর ভাবে আহত হয়েছেন এবং সার্বিয়ার দৈনিক পত্রিকা বিলিচ-এ, নীচের এক অনুরোধ জানিয়ে একটি প্রতিবাদলিপি পাঠান:

আমার পিতার ত্রুটির গুজব নিয়ে সংবাদ ছাপানো এক অমানবিক বিষয়। আনুষ্ঠানিক তদন্তের ফলাফল এখনো অপ্রকাশিত রয়েছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমার পিতাকে অভিযুক্ত করবেন না।

গ্লোবাল ভয়েসেসের কাছে তিনি ব্যাখ্যা করেন:

আমি বুঝতে পারি, ভারতের মত একটি দেশ এই দুর্ঘটনার জন্য নিজেদের এবং নিজ দেশের বৈমানিকদের ত্রুটি স্বীকার করে নেবার বদলে এই ঘটনায় একজন বিদেশীকে অভিযুক্ত করবে। কিন্তু আমি বুঝতে পারি না, কেন আমার পিতার দেশের নাগরিকরা তাদের এই মিথ্যা প্রচারণায় তাদের সমর্থন করবে।

বিলিচ-এর জন্য তিনি যোগ করেন:

৯০ মিনিট ধরে আমার বাবার নাক ডাকার কাহিনী একেবারে মিথ্য, কারণ ব্লাক বাক্স কেবল শেষ [৩০ মিনিটের তথ্য ধারণ করেছে।]

আলেকজান্ডার গ্লুসিকা সিএনএন-আইবিএন-এর গুরুত্বপূর্ণ এক প্রমাণের কথা উল্লেখ করে জানাচ্ছেন যে, বিমান অবতরণের মূহূর্তে তার পিতা সম্পূর্ণরূপে সজাগ ছিলেন।

সিএনএন-আইবিএন বিমান চালক গ্লুসিকা এবং উড্ডয়ন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের মধ্যে চালিয়ে যাওয়া আলাপচারিতা সম্প্রচার করেছে। তা শোনা সম্ভব হলে দেখা যাবে যে সে সময় তিনি সম্পূর্ণভাবে স্বাভাবিক ছিলেন। এছাড়াও, বিমান চালানোর ক্ষেত্রে এক অতি পরিচিত নিয়ম হচ্ছে, যখন একজন উড্ডয়ন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের সাথে আলাপ করবে তখন অন্যজন বিমান অবতরণের ভার গ্রহণ করবে। এই ঘটনার ক্ষেত্রে, যেহেতু আমার পিতা নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের সাথে কথা বলছিল, কাজে যৌক্তিকভাবে বলা যায় বিমান অবতরণের কাজটি সহযোগী বিমান চালক ছাড়া আর অন্য কারো করার কথা নয়।

সার্বিয়ান বিমান পরিচালনা সংঘের (স্পা) মি: গ্লুসিকার সহকর্মীরা সার্বিয়ার সংবাদিকদের সবার কাছে এক অনুরোধ জানিয়েছেন, যেন তারা সার্বিয়ার বিমান চালকদের খারাপ চিত্র তুলে ধরার বিষয়টির প্রতিবাদ করে।

সার্বিয়ার বিমান চালক সংঘের সভাপতি প্রিদ্রাগ রাদোসাভ্লাজেভিচ। তিনি পাঠকদের ভারতীয় প্রচার মাধ্যমের এই সংবাদের কথা স্মরণ করিয়ে দেন যে, দুর্ঘটনার সময় ম্যাঙ্গালোর বিমান বন্দরে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছিল:

যে সমস্ত আরোহী এই দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে গেছে তারা বিমানের অবয়বের নীচে এক বিস্ফোরণের শব্দ শোনার কথা বলেছে। এটি নির্দেশ করে যে সম্ভবত বিমানের চাকা বিস্ফোরিত হয়েছিল। এ রকম এক গতিতে চলা বিমানের ক্ষেত্রে, এক ভেজা রানওয়েতে এ রকম ভাবে চাকা বিস্ফোরণের ফলে বিমানটিকে থামানোর কোন সুযোগ ছিল না…

ব্রাঙ্কো হাবুস জেএটির টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রাক্তন প্রধান এবং এয়ারক্রাফট এক্সিডেন্ট ইন সিভিল এভিয়েশন (বেসামরিক বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে দুর্ঘটনা) নামক বইয়ের লেখক। তিন জানাচ্ছেন যে যখন বিমানটি অবতরণ করতে যাচ্ছিল সে সময় বিমান চালানোর ভার সহযোগী চালকের হাতে ছিল। হাবুস তার এক বিমান চালক বন্ধুর কাছ থেকে এই তথ্যটি পেয়েছেন যে কিনা এই দুর্ঘটনার পর সেই এলাকা পরিদর্শন করে এবং দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে প্রাথমিক যে তদন্ত তৈরি করা হয় তা দেখার সুযোগ পেয়েছিলেন।

সহযোগী ভারতীয় বিমান চালকটি জোর করে বিমান অবতরণ করায়। সে প্রায় ৬০০ মিটার দুরের এক নির্দিষ্ট অবতরণ চিহ্নকে এড়িয়ে যায়। সে হঠাৎ করে এবং এত জোর বিমান অবতরণ করায় যে বিমানটি টুকরো টুকরো হয়ে ভেঙ্গে পড়ে। সহযোগী চালক রানওয়ের কাছে থাকা এক “স্থানীয়র” নির্দেশ অনুসরণ করছিল, সম্ভবত যে ভুল তথ্য প্রদান করেছিল।

মেরিমা গ্লুসিকা স্মরণ করেন যে তার পিতা এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান চালকদের সম্পর্কে ভালো ধারণা পোষণ করতেন না:

তিনি বলতেন, তারা তাদের কাজে অত্যন্ত খারাপ। কয়েকটি নাম বলার সময়, তিনি তাদের “খুনী” বলে অভিহিত করতেন। তারা কোন ধরনের ঘোষনা প্রদান না করেই কমান্ড স্টিক (পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত উপাদান) এবং ফ্লাপস (বিমানের ডানার যে অংশ উড্ডয়নকালে ঊর্ধ্বগতি এবং গতিবেগ পরিবর্তনের জন্য উত্তোলন করা যায়) নিয়ে খেলা করত। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তিনি যাত্রী এবং নিজের জীবন রক্ষার জন্য আক্ষরিক অর্থে তাদের হাত থেকে কমান্ড স্টিক নিয়ে নিতেন। এছাড়াও তাদের ইংরেজী ছিল জঘন্য। আপনি কি ভাবতে পারেন, যখন তিনি একই সাথে একজন খারাপ সহকর্মী চালক এবং বিমানের উপর নিয়ন্ত্রণ নেবার চেষ্টা করছেন, সে সময় তার মনের অনুভূতি কেমন হয়েছিল?

কিছু ভারতীয় প্রচার মাধ্যম “ঘুমন্ত বিমান চালক” তত্ত্বে বিশ্বাস করে না, তারা এটিকে ভারতীয় কর্মকর্তাদের নিজস্ব ত্রুটি ঢাকার প্রচেষ্টা বলে বিবেচনা করে, বিশেষ করে যারা ম্যাঙ্গালোর নতুন রানওয়ের কাজ করছে তাদের ক্রুটি ঢাকার চেষ্টা।

বিপর্যয়ের ঠিক পরে, পরিবেশ রক্ষা দল একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই বিবৃতি প্রদান করে:

বেশ কিছু জনস্বার্থের কার ম্যাঙ্গালোর ভিত্তিক পরিবেশ রক্ষা আন্দোলন গ্রুপ (এনভায়রনমেন্ট সাপোর্ট গ্রুপ বা ইএসজি) ম্যাঙ্গালোর বিমান বন্দরে চলতে দ্বিতীয় রানওয়ের নির্মাণের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে, এর নকশা কোন জাতীয় বা আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের আদর্শ অনুসরণ করে করা হয়নি, এই বাস্তবতার ভিত্তিতে তারা তা বন্ধ করার দাবী জানায়। পিআইএলএস এছাড়াও উল্লেখ করে যে জরুরী পরিস্থিতে যে সর্বনিম্ন নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন, এই বিমান বন্দরে তা নিশ্চিত করা হয়নি-বিশেষ করে বিমান অবতরণ এবং উড্ডয়নের সময়, এবং যেমনটা দরকার অনুসারে বিমান বন্দরে চারদিকের এক কিলোমিটারের ভেতরে জরুরী প্রয়োজন যে রাস্তা থাকা উচিত, তা নেই।

ম্যাঙ্গালোর টুডে লিখেছে যে, বিমান পরিচালনা বিশেষজ্ঞরা উঁচুতে অবস্থানের জন্য এই বিমান বন্দরটির প্রচণ্ড সমালোচনা করেন। তারা দেখান, এই বিমান বন্দর বিমান চালকের ভুল করে ফেললে তা শোধরানোর জন্য কোন জায়গা রাখেনি এবং তারা এর সাথে যোগ করেন যে ভারতের বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষ (এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া এএআই) অবশ্যই ২২ মে বিপর্যয়ের পর এর রানওয়ের পরিধি বাড়ানোর বিষয়টি নিয়ে অবশ্যই বিবেচনা করা উচিত:

বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয় নির্দেশ করছে যে এএআই এই বিমান বন্দরে রানওয়ের পরিধি ১০০০ ফুট বাড়াবে, এর ফলে তা বর্তমান ৮০০০ ফুট থেকে বেড়ে ৯০০০ ফুট হবে। তৃতীয় পর্যায়ে রানওয়ের উন্নয়ন প্রকল্পে যুক্ত হবে এরেস্টার সিস্টেম (রানওয়ের শেষ প্রান্তে তৈরি করা হালকা কনক্রিটের কাঠামো- নিয়ন্ত্রণহীন বিমান যাতে এর সাথে হালকা ভাবে বাড়ি খেয়ে থেমে যায়) তৈরি করা হবে এবং রানওয়ের শেষ প্রান্তে ৯০ মিটার একটি বাফার জোন বা বাড়তি বিশেষ এলাকার সৃষ্টি করা হবে।

ম্যাঙ্গালোর টুডে চমকে দেবার মত এক তথ্য উন্মোচ্চন করেছে। বিমান বন্দরের উড্ডয়ন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র এক্সপ্রেস ইন্ডিয়া ফ্লাইট ৮১২র আগমনের বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেনি, কারণ সে সময় বিমান বন্দরের রাডার কাজ করছিল না

বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রী প্রফুল প্যাটেল দুর্ঘটনার পরপরই টিভির সংবাদে উক্ত সার্বিয়ান বিমান চালকের পেশাদারিত্বের ব্যাপারে বক্তব্য রাখেন।

উক্ত বিমান চালকের ১০,২০০ ঘন্টা উড়ার অভিজ্ঞতা ছিল। এর মধ্যে মূল বিমান চালক হিসেবে ৭,০০০ ঘন্টা এবং বোয়িং বিমানচালক হিসেবে ২,০০০ ঘন্টার অভিজ্ঞতা ছিল। সে ম্যাঙ্গালোর বিমান ঘাঁটির সঙ্গেও পরিচিত ছিল এবং এই বিমান বন্দরে সে বিমান অবতরণ করেছে এবং এখান থেকে সে বিমান নিয়ে উড্ডয়ন করেছে।

মি. গ্লুসিকার ফেসবুকের পাতা শোকবার্তা. স্মৃতিচারণ, ছবি, গান, এবং সাম্প্রতি প্রকাশিত নানা প্রবন্ধের লিঙ্কে উপচে পড়েছে। ১৭ মে তারিখে তার তিনি তার শেষ পোস্টটি প্রকাশ করেন। এটি সেদিন প্রকাশ করা হয় যেদিন তার জন্মদিন উদযাপন করা হয়েছিল। দুর্ঘটনার ঠিক পাঁচ দিন আগের কথা। তার ফেসবুকের ওয়াল একজন সুখী এবং স্নেহময় মানুষকে প্রদর্শন করে, একই সাথে তিন সন্তানের এক গর্বিত পিতা এবং তার চেয়ে গর্বিত তিন নাতির এক দাদাকে তুলে ধরে। তিনি, তার পরিবার এবং আকাশের জন্য বেঁচে ছিলেন।

গ্লুসিকার কন্যা মেরিমা, তার বেদনায় এই কথা গুলো ফেসবুকে লিখেছে:

যখন শীতকাল তার সুন্দর বরফ ঝরা দিন নিয়ে হাজির হবে তখন আমরা কি করব?
নি:সঙ্গভাবে, আমরা রাস্তায় হেটে বেড়াব, তোমাদের জানালায় তাকাব….
আলো নিভে আসবে।
আমরা জানি অনেক দিন ধরে সেখানে কেউ থাকে না। কেবল অন্ধকার…..
আমার চোখের অশ্রুবিন্দু, এটাই কেবল অবশিষ্ট রয়েছে…..
হয়ত তখন তোমার পাখায় আলো পড়বে, হে আমার দেবদূত।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .