জাপান: সরকারী চাকুরী ব্যবস্থার ভাঙ্গন সম্পর্কে

জাপানের মন্ত্রীসভার একটি একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান অর্থনৈতিক আর সামাজিক গবেষনা ইন্সটিটিউট (内閣府 経済社会総合研究所) (ইএসআরআই) একটি গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করেছে যেখানে দীর্ঘমেয়াদী শ্রম আর বয়স ভিত্তিক বেতনের বর্তমান অবস্থা পরিমাপ করা হয়েছে (অর্থাৎ সনাতন জাপানী চাকুরী ব্যবস্থাকে)। তারা স্বাস্থ্য, শ্রম আর কল্যান মন্ত্রনালয়ের বেতন কাঠামোর মূল জরিপ (賃金構造基本統計調査) (বিএসডাব্লুএস) (১৯৮৯-২০০৮) ব্যবহার করেছেন। এই প্রাপ্ত ফলাফল আর মন্তব্য নির্দেশ করছে সনাতন চাকুরী ব্যবস্থার প্রতি সরকারের দুর্লভ উপেক্ষা প্রদর্শন।

গবেষণাটি এখানে প্রকাশিত হয়েছে

একটা ফলাফল যেটা তারা পরিমাপ করেছেন তা হল ’বেতনের বক্ররেখা'। এটা আসলে শ্রমিকদের বয়স অনুসারে তাদের মধ্যম মানের বেতন। ইএসআরআই দেখিয়েছে যে বেতনের বক্ররেখা সময়ের সাথে ‘চ্যাপ্টা হয়ে যায়’। এটা নির্দেশ করে যে তরুণ কর্মীরা যখন কিছু বেতন ত্যাগ করে ভবিষ্যৎের স্থায়ী জীবনের আশায়, তারা বর্তমান ব্যবস্থায় তার খুব বেশী মূল্য পায়না। নীচে একটা গ্রাফ রয়েছে: (দয়া করে ক্লিক করুন বড় করার জন্য!)

ফলাফলের অন্য দিককার তথ্য এসেছে একটি প্রতিষ্ঠানে সারা জীবন কাজ করা কর্মীদের কাছ থেকে। এই তথ্য তরুণ কর্মীদের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ এক নিম্নমুখী পরিবর্তন দেখাচ্ছে। এটা দেখাচ্ছে তরুণ কর্মীরা একই প্রতিষ্ঠানে বেশিদিন থাকছেন না আর বৃদ্ধ কর্মীরা তাদের কাজে থেকে যাচ্ছেন যেহেতু নতুন চাকুরী পাওয়া তাদের জন্য কঠিন। বিশেষ করে ২০০৪ সালে বড় ফার্মের জন্য বড় সমস্যা আমরা দেখতে পাই, যেহেতু ওই বছর সরকার সম্ভব করেছিল উৎপাদন শিল্পে অস্থায়ী কর্মী ব্যবহার করা। এটা নির্দেশ করে যে এরকম প্রচেষ্টা হয়ত দীর্ঘস্থায়ী না। নীচে এর গ্রাফ (দয়া করে ক্লিক করুন বড় করার জন্য)!

ব্লগার, লেখক আর বাণিজ্যিক পরামর্শক জো শিগেইউকি মনে করেন যে এটা গুরুত্বপূর্ণ যে সরকার যেন অবশেষে স্বীকার করেন জাপানের চাকুরি ব্যবস্থার ভেঙ্গে পড়ছে। কিন্তু তিনি এই ব্যবস্থাকে ঠিক করার প্রচেষ্টায় দায় সারা আর জোড়াতালি দেয়া সমাধান নিয়েও বিরক্ত (যেমন অস্থায়ী কর্মীদের উপরে কোটা)। নীচে তিনি ইএসআরআই এর ফলাফল নিয়ে ভুল বোঝার সম্ভাবনা নিয়ে সাবধান করেছেন:

賃金カーブの低下を指して「中高年も賃下げされている」と屁理屈を述べる労働組合関係者がたまにいるが、中高年は賃下げされたのではなく逃げ切ったというのが正しい。90年頃、「若い間は辛抱辛抱」と言い聞かせて頑張った元若者は、20年近く経って、かつての上司・先輩より 3割以上も給料が安い結果に終わったということだ。

バブル崩壊後に、年功ではなく働きに応じて支給する仕組みにシフトしておけば、彼の生涯賃金はもう少し多かったろうが、そういう努力を怠ったということで自己責任というしかない。

さて、このように身をもって日本型雇用の破綻ぶりを演じてくれている世代がいるのだから、20代は同じ轍を踏まないように気をつけないといけない。というわけで、働きを基準としている組織に自分で移るか、それが出来るよう準備しておくことをおススメする

বেতনের বক্ররেখাচিত্র দেখে আমি মাঝে মাঝে শ্রমিক সংঘের মানুষকে বলতে শুনি ‘মধ্যবয়সী থেকে বৃদ্ধ কর্মীদের বেতন কাটা হয়েছে,” কিন্তু আরো সঠিকভাবে তাদেরকে বর্ণনা করা যায় যদি বলা হয় যে তারা সময় মতো সরে গিয়েছে। ৯০ এর দশকে, এই সব কর্মীরা তরুণ ছিলেন এবং কঠোর পরিশ্রম করেছেন ২০ বছর পরে কেবলমাত্র তাদের থেকে বয়স্কদের তুলনায় ৩০% বেতন কম দেখতে। [তার মানে, এটি কেবল মাত্র বেতন কমানো ছিল, কোন চাকরি না থাকার পরিবর্তে]।

বুদবুদ ফেটে যাওয়ার পরে, আগের তরুণ কর্মীরা যদি নিজেদের একটা ব্যবস্থার সাথে মিল করাতে পারেন যেটা কাজের উপরে বেশী নির্ভরশীল, তাদের সারা জীবনের বেতন ভালো হতে পারতো। কিন্তু এটা কেবল তাদের দায়িত্ব যারা নিজেদের জন্য ভালো একটা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চান।

এখন যখন পুরো এক প্রজন্মের শ্রমিক আছেন যারা জাপানের চাকুরি ব্যবস্থার অধ:পতন দেখেছেন, বর্তমানের ২০ বছর বয়সীদের কিছুটা সাবধান হওয়া উচিত যাতে তারা এই ফাঁদে না পড়ে। তাই আমি মানুষকে পরামর্শ দেব পরিবর্তিত হতে বা তাদের চাকুরি এমন এক প্রতিষ্ঠানের জন্য পরিবর্তন করা যারা কাজের মূল্য দেয়।

কেন জাপানের মানুষ সাধারণভাবে মুখোমুখি হওয়ার বদলে কেবল বিপদ এড়িয়ে যাওয়ার প্রবনতা দেখান এর কারণ ব্যাখা করেছেন ব্লগার ও অর্থনীতিবিদ ইকেদা নোবুও । জাপানী চাকুরি ব্যবস্থা কেবলমাত্র কর্পোরেশনের পণ্য ছিল যারা স্থায়িত্বের মূল্যায়ন করে:

[…]私の仮説は17世紀以降の株式会社のような有限責任の制度が日本になかったことが一つの原因ではないか、というものです。近代資本主義の成功をもたらした最大の要因が株式会社制度だったのではないか[…]

西欧圏でも株式は投機の手段として批判され、また現実にバブルや恐慌の原因となってきました。しかし資本主義を批判したマルクスは、株式会社制度を「生産の社会化」を進める制度として高く評価しました。これによってリスクが社会全体に分散されたことが、西欧圏の比類ない成長をもたらしたのです。

ところが日本では、株式を「銘柄」と呼ぶことでもわかるように、商品相場のような投機の対象として扱われ、戦前にはその9割が先物で、リスクは非常に高かった。株式が企業のリスクを分散する有限責任制度として活用されず、経営者は会社に無限責任を負い、会社がつぶれたらしばしば自殺します。他方、家計にとっては超ハイリスクの株式とリスクゼロの預金しかないため、ほとんどの人は危ない株には手を出さず、リスクを分散するという考え方も知らない。

[জাপানের বিপদ-এড়ানোর প্রবণতার জন্য] আমার ব্যাখ্যা হচ্ছে যে ১৭ শতকের পরে, জাপানে জয়েন্ট-স্টক কর্পোরেশনের মতো কোন দায় কমানোর ব্যবস্থা ছিল না। আমি বিশ্বাস করি বর্তমানের পুঁজিবাদের সফলতার পিছনে সব থেকে বড় কারন হল জয়েন্ট-স্টক কর্পোরেশন।

পশ্চিমে, স্টকের শেয়ারকে সমালোচনা করা হতো অনুমানের উপায় হিসাবে, আর বুদবুদ আর অর্থনৈতিক আতঙ্কের কারন হিসাবে। কিন্তু কার্ল মাক্স যখন পুঁজিবাদের সমালোচনা করেন, স্টক কর্পোরেশনকে অনেক প্রশংসা করা হয় উৎপাদন প্রক্রিয়াকে সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়া অনুসারে। যার জন্য পুরো সমাজে বিপদ ছড়িয়ে পড়ে পশ্চিমের অগ্রগমন হীন বৃদ্ধির চাবি হিসাবে।

তবে জাপানে, জয়েন্ট-স্টক কর্পোরেশনকে ব্রান্ড হিসাবে দেখা হয় আর পণ্যের মূল্যকে অনুমানের হাতিয়ার হিসাবে দেখা হয়; যুদ্ধে আগে, ৯০% পণ্যের ভবিষ্যত ছিল আর ঝুঁকি অনেক বেশী ছিল। কর্পোরেশনের শেয়ারকে ঝুঁকি অন্যদিকে ফেরানোর হাতিয়ার হিসাবে দেখা হতো না আর কোম্পানিগুলোর অনেক দায়িত্ব ছিল কারন তারা নিজেদের হত্যা করতো যদি কিছু ভুল হয়ে যেত। বাড়ির জন্য, একমাত্র উপায় ছিল অনেক উচ্চ ঝুঁকির স্টক ধরে রাখা বা কোন সঞ্চয়ে ঝুঁকি না নেয়া, তাই বেশীরভাগ পরেরটা বেছে নেন।

ব্লগার আর এমাইটি এমবিএর ছাত্র, লিলিক আমাদের কয়েক দশক আগের আমেরিকার কথা মনে করিয়ে দেন যেখানে একই ধরনের সমস্যা হয়েছিল কিছু প্রতিষ্ঠানের কম প্রতিযোগিতার ব্যাপারে (কোডাক, মটোরোলা, আরসিএ)। তিনি ভাবছেন যে বড় ফার্মের জন্য কি ভালো হবে – নিজেকে সংস্কার করা নাকি ভেঙ্গে গিয়ে প্রথম থেকে আবার শুরু করা:

決して経営陣が技術を知らないバカなわけでも、技術者がツカえないわけでもないのだ。経営の舵取りを間違えただけで、これだけの技術と、研究者の努力が無駄になってしまう。大企業の組織を改変し、新しい技術に対応するように全体を変えていくのは、かくも難しいことなのだ。

「技術が優れてるから勝てる」わけではない、ということは、こうしてアメリカの企業たちは、日本企業やヨーロッパの企業に追いやられながら学んできていているのだ。

日本企業が、これらのアメリカ企業のように崩壊の一途をたどるか、IBMやGEがそうであったように再生するかは、今の経営の舵取りにかかっている。

[কোডাক ইত্যাদির ধ্বসে পড়া নিয়ে] এমন না যে পরিচালকবর্গ প্রযুক্তি বোঝেনি বা প্রকৌশলীরা কোন কাজের না। ফার্মকে কোন দিকে একটা ভুল পরিচালনার ফলে বড় ক্ষতি হয় প্রকৌশলি আর গবেষকদের চেষ্টার। বড় ফার্মকে পরিবর্তন আর সংস্কার করে নতুন প্রযুক্তির সাথে একাত্ম হওয়া খুবই কঠিন।

এমন অবশ্য না যে ভালো ধারণা আর প্রযুক্তি জিততে পারে। আমেরিকান ফার্মরা সংগ্রামরত জাপানি আর ইউরোপীয় ফার্ম থেকে কষ্টকর শিক্ষা গ্রহন করেছে।

জাপানী ফার্মগুলোর উচিৎ কোডাক ইত্যাদির বা যে সকল কোম্পানি এই পরিস্থিতির সাথে ঠিকভাবে মিল করতে পেরেছে (জিই, আইবিএম) – তাদের পথ অনুসরণ করা। সব কিছু উপরের কয়েকটা সিদ্ধান্তের উপরে নির্ভর করে যা একটা ফার্মকে এগুতে বা বন্ধ করাতে পারে।

ব্লগার ও আইটি কর্মী এল্ম২০০ প্রস্তাব করেছেন (ইয়ার্কি করে) একটি সমাধান যা স্বার্থান্বেষীদের বাধা দেবে না যা জাপানে হিসাব ঠিক রাখে- একটি স্বাধীন নগর তৈরি করা যা জাপানের চাকুরি পরিস্থিতির তথ্যের বিপরীত:

結局のところ、この国は現状維持を望む人が多いのだ。現状維持を望んでいる人々が多数派であるなら、どうして制度をいじる必要があるだろうか。一部の若者が騒いだところで、それより数が多い中高年や老人は現状に満足しているのだから、ガラパゴスだろうが鎖国だろうが、好きにさせてあげるのが一番だ。

好きにさせてあげるのだから、こちらにも一つくらいわがままを許してくれてもいいだろう。既得権益には何一つ接触しないので、疑り深い老人たちも何もいわないだろうし。

日本にシンガポールを作るのだ。

আসলে, এই দেশে লাখো মানুষ আছেন যারা সঠিক হিসাব পছন্দ করবেন। তারা যদি সংখ্যাগুরু হন, তাহলে ব্যবস্থার সংস্কারের প্রয়োজন কি? যদি তরুণদের একটি অংশ এই ব্যবস্থায় বাধা সৃষ্টি করতে চায়, সংখ্যাগুরুরা (মধ্যবয়স্ক আর বৃদ্ধ কর্মীরা) বর্তমান অবস্থাতে সন্তুষ্ট, তাই সব থেকে ভালো ব্যবস্থা হচ্ছে এটাকে এমনি রেখে দেয়া।

যেহেতু তাদেরকে আমরা ছেড়ে দিয়েছি, তাই এটা খুব সমস্যা হতে পারে না আমাদের জন্য একটা মাত্র স্বার্থপর অনুরোধ করায়। এটা স্বার্থান্বেষীদের স্বার্থে লাগবে না তাই নৈরাশ্যবাদী বৃদ্ধদের কিছু বলার থাকবে না।

জাপানে আসুন একটি সিঙ্গাপুর গঠন করি।

জাপান একটি বদ্ধ পরিস্থিতিতে আছে। চাকুরির প্রক্রিয়ার সংস্কারের জন্য অনেক লোক বেশী পরিমান চাকুরী পরিবর্তনের কথা বলেন, যা উদ্যোক্তাদের অনুপ্রাণিত করে। পক্ষান্তরে, উদ্যোক্তাদের সংখ্যায় বৃদ্ধি চাকুরির সচলতার একটি ভালো ইঙ্গিত। আমি সম্প্রতি জাপানে উদ্যোক্তা বৃদ্ধির হারের উপরে একটি প্রতিবেদন লিখেছি আর দেখেছি যে অন্যান্য দেশের তুলনায় এর হার খুব কম।

দুইটা জনপ্রিয় সিরিজ যারা বর্তমানে মিডিয়াতে চাকুরির বিপদের কথা আলোচনা করছে তা হল:

১। নিক্কেই বানিজ্য: বাতিল করা চাকুরির প্রস্তাব- “আমি এই কারনে প্রতারিত হয়েছি” (「内定取消」-だから私は騙された)

২। জে-কাস্ট: ”আপনার প্রতি যিনি ২৯ বছর বয়সে কাজ করছেন। এখনো খুব দেরি হয়নি!” (29歳の働く君へ〜いまからでも遅くない!)

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .