সিঙ্গাপুরে টুয়েস্টিভালএসজি ২০১০

ব্রিউয়ারকেজেড রিভারসাইড পয়েন্টে টুয়েস্টিভালএসজি চলছে পুরোদমে

ব্রিউয়ারকেজেড রিভারসাইড পয়েন্টে টুয়েস্টিভালএসজি চলছে পুরোদমে

প্রতি বছর ২৫শে মার্চ বিশ্বের শত শত শহরে মানুষ স্থানীয়ভাবে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে একত্র হন কন্সার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইডের গুরুত্বপূর্ণ কাজের প্রচার, অর্থ সংগ্রহ এবং বিনোদনের জন্য। ধারণা করা হচ্ছে যে এই সব অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ বিশ্বব্যাপী প্রায় ৭ কোটির বেশী বাচ্চার পড়ার খরচ যোগাবে বিশেষ করে যারা স্কুলে এখনো যায়নি।

এই অনুষ্ঠান সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টিতে সামাজিক মিডিয়া প্রযুক্তি যেমন টুইটার আর ফেসবুক ব্যবহার করা হয়।

এই বছর, শত শত মানুষ টুয়েস্টিভাল সিঙ্গাপুরে ভিড় করেন, যা ব্রিউয়ারকেজেড রিভারসাইড পয়েন্টে অনুষ্ঠিত হয়। এখানকার মাইক্রোবিওয়ারি রেস্টুরেন্ট সেই রাতের আয় থেকে ১০% দান করেছে। অন্যান্য স্পন্সরদের মধ্যে আছে সিঙ্গাপুর সিভিল ডিফেন্স ফোর্স যারা ফার্স্ট এইড কিট দিয়েছিল দরজায় উপহার হিসাবে আর লেনোভো সিঙ্গাপুর, যারা ওই স্থানে ল্যাপটপ দিয়েছিল অতিথিদের দান করাতে সহায়তার জন্য।

এই অনুষ্ঠান পুরো সফল আর সিঙ্গাপুরের সামাজিক মিডিয়া ব্লগ, পেন ওলসন অনুসারে, সিঙ্গাপুর বিশ্বব্যাপী মোট ফান্ড তোলার ক্ষেত্রে সব থেকে বেশী অবদান রেখেছে:

সিঙ্গাপুর, অর্থ সংগ্রহে প্রথম ১০টি দেশের মধ্যে আর প্রথম ৩টির মধ্যে যারা প্রতি ১০০০ বাসিন্দাদের মধ্যে অর্থ তুলেছে।

…আমরা গর্বের সাথে জানাচ্ছি যে টুয়েস্টিভাল এসজি ২০১০ কন্সার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইডের জন্য ৬১১২.৪১ আমেরিকান ডলার তুলেছে, অন্য সকল স্পন্সরশীপের অর্থ বাদ দিয়ে। বিশ্বের অনেক শহরের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে টুয়েস্টিভাল গ্লোবাল ৩০০,০০০ মার্কিন ডলারের বেশী এই বছর তুলেছে!

এই বিশাল সংখ্যাতে আশ্চর্য হয়েছে অনলাইন মিডিয়া গ্যাজেট ব্লগ যা সামাজিক মিডিয়ার সাম্প্রতিক উদ্ভাবন আর প্রযুক্তির সংবাদ জানায় এশিয়ার দৃষ্টিকোন থেকে:

টুয়েস্টিভাল এসজির টুইটভাইট পাতা আর ফেসবুকের অনুষ্ঠান পাতা এ মাত্র ৭৭ আর ৯৬ জন সদস্য ছিল, যারা অনুষ্ঠানে আসার জন্যে সম্মত হয়েছেন কিন্তু গতকালের অনুষ্ঠান প্রচণ্ডভাবে সফল হয়েছে যেখানে ১৬০ জনের বেশী এসেছিলেন মজা করতে, সামাজিকতা করতে আর এই বিশাল কাজের উদ্দেশ্যে দান করতে।

এই অনুষ্ঠান সম্পর্কে সিএনএনের এশিয়া নির্ভর ব্লগ সিএনএন গোতেও রিপোর্ট করা হয়েছে। তারা জানিয়েছে যে সিঙ্গাপুরের টুইটার সমাজ সেই রাত্রে পূর্ণ দমে কাজ করছিল:

এটা মজার যদি চিন্তা করেন যে টুইটারের মতো সরল মাইক্রো – ব্লগিং এর টুলস সকল ক্ষেত্রের মানুষকে একত্র করেছে। আর ২৫শে মার্চ এর পরে, টুইটারের একত্র করার ক্ষমতা কোথাও এতো পরিষ্কার না যেমন ব্রিউয়ারকেজেড রিভারসাইড পয়েন্টে, যেখানে টুয়েস্টিভাল ২০১০ পূর্ণ দমে চলছিল।

ল্যাপটপ আর মোবাইল ফোন পুরো কাজ করছে, পিছনে একটা অস্থায়ী বুথ আর অনেক বিয়ার প্রাইভেট এই রুমে, স্থানীয় টুইটার সমাজ তাদের কাজ করছিলেন কর্ন্সার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইডের জন্য তহবিল সংগ্রহে। এই আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা বিশ্বব্যাপী কষ্ট আর প্রচন্ড দারিদ্র্য কমানোর জন্য সচেষ্ট।

টুয়েস্টিভালের আরো ছবি এখানে পাওয়া যাবে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .