যখন লাইবেরিয়া নামক রাষ্ট্রটি স্থির হচ্ছে, তখন তরুণরা যৌনতা নিয়ে কথা বলতে শুরু করেছে

“আমি চাই সকল সন্তান লাইবেরিয়া -এবং এমন এক বিশ্বে জন্মগ্রহণ করুক- যেখানে সে বাকী জীবন বেদনা মুক্ত এবং ভালবাসায় পরিপূর্ণ হয়ে জীবন যাপন করবে, ঠিক যেমনটা আমি করে থাকি,” এই কথাগুলো লিখেছেন মাহমুদ জনসন। তিনি ব্লগ গ্লোবাল ৪০ ফোরামে-এই কথাগুলো লিখেছেন। এটি তরুণদের কাছে এইচআইভি/এইডসকে পরিচিত করিয়ে দেওয়ার এক ব্লগ। মাহমুদ জনসনের বয়স ১৮ বছর। তিনি লাইবেরিয়া ইয়ুথ রেডিওর-এর “চল যৌনতার কথা বলি” নামের অনুষ্ঠানের অন্যতম সহযোগী উপস্থাপক। এটি এইচআইভি/এইডস কি ভাবে ছড়ায়-এ রকম বিষয়ের উপর অনুষ্ঠান প্রচার করে থাকে এবং তার সাথে এখানে গর্ভধারণ রোধ করা বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

প্রায় ১৫ বছরের এক গৃহযুদ্ধের পর লাইবেরিয়া ধীরে ধীরে পাল্টাচ্ছে। ২০০৩ সালে এই গৃহযুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটে। এরপর থেকে দেশটি মূলধারার উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে। তবে উন্নয়নের পথে এখনো অনেক বড় বড় বাঁধা রয়ে গেছে। যুদ্ধের সময় প্রায় ২৫০,০০০ জন লোক মারা যায় এবং শত শত হাজার হাজার লোক প্রতিবেশী রাষ্ট্র বা ইউরোপ অথবা যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে যায়।

তরুণদের উপর যুদ্ধের প্রভাব

শিশুদের উপর যুদ্ধের প্রভাব কতখানি সে বিষয়ে যথেষ্ট জোরালো তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। যখন যুদ্ধ শুরু হয়, তখন বিভিন্ন বিদ্রোহী বাহিনী শিশুদের মধ্যে থেকে সৈন্য সংগ্রহের কাজে নেমে নেমে পড়ে। সম্ভবত প্রায় ২০,০০০-এর মত শিশু এসব বাহিনীতে যোগ দিতে বাধ্য হয়েছিল। এদের মধ্যে অনেকে ছিল ৬ বছরের শিশু। এদেরকে প্রায়শ:ই শক্তি প্রয়োগ করে ধরে এ সব বিদ্রোহী বাহিনীতে যোগ দিতে বাধ্য করা হয়। আবার তাদেরকে জোর করে তাদের বন্ধু বা পরিবারের সদস্যেদের হত্যা করতে বাধ্য করা হয়। এইসব সদস্যের মধ্য অনেক সময় তাদের পিতামাতাও অন্তর্ভুক্ত থাকত। “তারা ধর্ষণ করত অথবা তাদেরকে ধর্ষণ করা হয়েছিল। তারা অনেক সময় যৌন দাস/দাসী অথবা পতিতা হিসেবে কাজ করতে বাধ্য হয়। তারা শ্রমিক হিসেবে কাজ করে, মাদক গ্রহণ করে, নরমাংস ভোজনে অংশ নেয়, অন্যদের উপর অত্যাচার করে এবং বিভিন্ন সম্প্রদায়ের জিনিসপত্র লুণ্ঠন করে”। লাইবেরিয়ার সত্যি অনুসন্ধান ও মিত্রতা স্থাপন কমিশন (ট্রুথ এন্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশন বা টিআরসি)-এর এক তথ্য এ সকল ঘটনার কথা বলছে। গৃহযুদ্ধে নারী এবং কিশোরীরা সবচেয়ে বেশি ভুগেছে। লাইবেরিয়ার টিআরসি নামক প্রতিষ্ঠান যৌন আক্রমণের প্রায় ৭,০০০ টির মত অভিযোগ গ্রহণ করেছে। ১৫-১৯ বছর বয়সী মেয়ে ও নারীর এই সব ঘটনার সবেচেয়ে বেশি শিকার হয়েছে।

সাত বছর ধরে শান্তি বজায় থাকা সত্ত্বেও লাইবেরিয়ার চারপাশে খারাপ সংবাদ ঝর্ণাধারার মত প্রবাহিত হচ্ছে। প্রতি চারজন লাইবেরিয়বাসীর মধ্যে তিনজনই দিনে গড়ে এক ডলারের কম অর্থে জীবন যাপন করে থাকে। দেশটির মোট শিশুর অর্ধেক মাত্র স্কুলে যাবার সুযোগ পায়; রাজধানী মনোরিভিয়ার শতকরা পঞ্চাশভাগ পরিবারকে খাদ্য নিরাপত্তার আওতায় থাকা পরিবার বলে বিবেচনা করা হয়। অর্থনৈতিক গতি হতাশাব্যঞ্জক এবং তরুণদের পুনর্বাসিত করা হচ্ছে- তাদের অনেক প্রাক্তন শিশু সৈনিক- অর্থনীতির এই ধারা ক্রমশ সরকারের জন্য এক সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এটা বিশেষ এক সমস্যা কারণ, দেশটির অর্ধেক নাগরিকের বয়স ২০-এর নিচে।

সিজফায়ার লাইবেরিয়া ব্লগ, রাইজিং ভয়েসেসের একটি প্রকল্প। সেখানে স্টিভেন আর.জনসন লিখেছেন:

শিক্ষা লাভ করার জন্য লাইবেরিয়ার তরুণরা অনেক প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয়, যে শিক্ষা তাদের সঠিক দক্ষতা এবং জ্ঞান প্রদান করার কথা, যাতে তারা শ্রম বাজারে উৎপাদনশীল এক ব্যক্তিতে পরিণত হতে পারে। এই সব প্রতিবন্ধকতার কারণে তারা স্কুল থেকে কাজে প্রবেশের সময় সফলতা পায় না এবং তরুণরা হয় বেকারে পরিণত হয়, নয়তো গ্রাম, মফঃস্বল বা শহুরে এলাকায় অপ্রথাগত খাতে কম বেতনে চাকুরি করতে বাধ্য হয়।

তবে, তারপরেও এদেশ এবং দেশের জনগণ তাদের অতীতকে পিছনে ফেলে আসতে চায়। দেশটির অর্থনীতি শক্তিশালী হচ্ছে এবং সরকার দেশটির উপরিকাঠামো আধুনিক করছে। ওয়াইএমসিএর (ইয়াং ম্যান খ্রীস্টান এসোসিয়েশন) মত প্রতিষ্ঠান, প্রাক্তন যোদ্ধাদের চাকুরির প্রশিক্ষণ বা যাতে তারা নিজের ব্যবসা শুরু করতে পারে তার জন্য প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।

দারিদ্র ও কঠিন সিদ্ধান্ত গ্রহণ

তবে ক্রমাগত অর্থনৈতিক সমস্যা অন্য সব ক্ষেত্রেও সমস্যার ঢেউ তৈরি করছে। দারিদ্র্যের কারণে অনেক মহিলা তাদের যৌনজীবনে কঠিন এবং বিপজ্জনক সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এই কথাগুলো বলেন জেরি বি. টারবোলো, জুনিয়র। তিনি লাইবেরিয়ান তরুণ সংঘের (ফেডারেশন অফ লাইবেরিয়ান ইয়োথ) একজন সদস্য। তিনি বলেন, এ সবের কারণে লাইবেরিয়ার শহুরে এলাকায় এইচআইভি/এইডস ছড়িয়ে পড়ার হার অত্যন্ত বেশি। যদি এভাবেই চলতে থাকে, তা হলে এই রোগ মূলত দেশটির যুব সম্প্রদায়ের উপর আঘাত হানবে। তিনি বলেন, তরুণরাই দেশটির অন্যতম সম্পদ।

অর্থনৈতিক প্রতিবন্ধকতার মাঝে টিকে থাকা এবং যৌন সহিংসতা লাইবেরিয়ায় যেন উত্তরাধিকার সূত্রে চলে আসছে। ২০০৮ সালে ইউএনএফপি-এর এক গবেষণায় জানা যায় গৃহযুদ্ধের সময় লাইবেরিয়ার প্রতি দশ জন মহিলার নয় জনই তাদের জীবনধারনের জিনিসপত্র হারিয়েছে। একই সময় তাদের শতকরা ৯৬ জন বাসস্থান হারিয়েছে এবং প্রায় ৭৫ শতাংশ নারী তাদের কোন একজন আত্মীয়কে হারিয়েছে। সে সময় অর্ধেকের বেশি নারী যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছে, এবং সেই সমস্ত নারীদের অর্ধাংশ, কোন সুবিধা পাবার কারণে যৌন সম্পর্কে যেতে বাধ্য হয়েছে।

এইচআইভি/এইডস সম্বন্ধে ভুল ধারণা

পওলিনা ওলেজ এক পরামর্শদাতা সেবিকা (নার্স কাউন্সিলার)। তিনি মনরোভিয়ায় ওয়াইএমসিএ ভিত্তিক এক যুবা কেন্দ্রে কাজ করেন। তিনি বলেন, আজকের তরুণ লাইবেরিয় নাগরিকদের যৌন স্বাস্থ্য বিষয়ে শিক্ষা প্রয়োজন। তিনি মার্লিনে প্রকাশিত এক লেখায় এক কথা বলেন। মার্লিন একটি আন্তর্জাতিক বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, যা ক্ষণভঙ্গুর রাষ্ট্রের স্বাস্থ্য সেবা গড়ার জন্য কাজ করে।

“বছরের পর বছর ধরে চলা সংঘর্ষের কারণে লাইবেরিয়ায় প্রথাগত শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে এবং স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থা নষ্ট হয়ে গেছে। যার ফলে আজকের তরুণরা এইচআইভি/এইডস সম্বন্ধে খুব কম জানে। এই বিষয়ে সঠিক জ্ঞানের অভাবের কারণে, এইডস সমন্ধে প্রচুর নিন্দা এবং ভুল ধারণা ছড়িয়ে আছে। এই বিষয়ে বাবা-মার সঙ্গে কথা বলতে তরুণরা খুবই ভয় পায় এবং এই বিষয়ের উপর এখানে সঠিক তথ্য পাওয়ার কোন ব্যবস্থা নেই। কিন্তু তারা কোন বাস্কেটবল খেলার মাঝে বিচ্ছিন্নভাবে আমাকে একটা প্রশ্ন করতে পারে, অথবা কম্পিউটার ল্যাব বা কেন্দ্রে কাজ সেরে কোন একটা প্রশ্ন জুড়ে দিতে পারে। তখন তারা এই বিষয়ে জানার জন্য প্রবেশ করার সুযোগ পায় এবং কি করণীয় সে সম্বন্ধে উপদেশ লাভ করে”।

তিনি বলেন আচরণে কিছু পরিবর্তন দৃশ্যমান হচ্ছে।

“এই কেন্দ্র চালু হবার পর দুই বছর পার হয়ে গেছে” এখানে আমি হাজার হাজার তরুণকে আসতে দেখেছি, কিন্তু তাদের মধ্যে মাত্র ২৯১ জন এইচআইভি পরীক্ষা করিয়েছে। যদিও এখন লোকজন আমার সাথে কথা বলতে আগ্রহী, তারপরেও তাদের মধ্যে খুব কম জন এইচআইভি টেস্ট বা যাচাই পরীক্ষা করতে চায়, কারণ তারা ভীত”।

বেশিরভাগ লোক যখন এই পরীক্ষা করার বিরোধিতা করে, তখন তারা বলে যে তারা ‘পরে এসে’ এই পরীক্ষা করবে’, অথবা আরো সৎ ভাবে বললে বলা যায়, ‘আমার শারীরিক অবস্থার কথা জানতে চাই না, কারণ তা হলে আমাকে আর উদ্বিগ্ন হতে হবে না’।

সচেতনতা গড়ার যুদ্ধ

সামাজিক ভাবে এই রোগকে এড়িয়ে যাওয়া থামাতেই “চল যৌনতার কথা বলি” নামক অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠান সপ্তাহে একবার হয়। ৩০ মিনিটের এই অনুষ্ঠানের জন্য অর্থ প্রদান করে থাকে ইউএনফপিএ নামক প্রতিষ্ঠানটি। এই অনুষ্ঠান শ্রোতাদের জন্য বিভিন্ন তথ্য প্রদান করে এবং যৌনতা ও পুনরুৎপাদন স্বাস্থ্য বিষয়ক আলোচনা শুনিয়ে থাকে। সকল কিছু করা হয় তরুণদের উদ্দেশ্য। সকল অনুষ্ঠান সম্বন্ধে গবেষণা ও লেখার কাজটি করে থাকে চারজন তরুণ উপস্থাপক। তারাই এই অনুষ্ঠানের সকল কিছু নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এর মধ্যে রয়েছে গবেষণা, অনুষ্ঠান পরিকল্পনা এবং এই অনুষ্ঠানের প্রতিটি খণ্ডে অংশগ্রহণ।

মাহমুদ জনসন লিখেছেন, “এই এলটিএএস (চল যৌনতার কথা বলি) অনুষ্ঠানে কয়েকজন উপস্থাপকের একজন হিসেবে কাজ করার ফলে, লাইবেরিয়া আমার সমবয়সী তরুণরা এইচআইভির সাথে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে কি ধরনের বাস্তবতার মুখোমুখি হচ্ছে তার অভিজ্ঞতা লাভ করেছি”। তিনি বলেন, লাইবেরিয়ার স্বাস্থ্যগত বিষয়কে, দেশের অর্থনৈতিক সমস্যার সাথে আলাদা করতে পারা যায় না।

এই অনুষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত একটি দল বাইরে কাজ করে। তারা সাধারণত সম্প্রদায় এবং গ্রামের মানুষের কাছে যায়। সেখানকার তরুণদের এইচআইভি সম্বন্ধে শিক্ষা প্রদান করে। আমি সতর্ক হয়ে উঠলাম, প্রথম কারণ, দেশটির অনেক লোক অর্থনৈতিক এবং ঐতিহ্যগত কারণে এই বিষয়ে যে সমস্যার মুখোমুখি হয় তার প্রতি উদ্বিগ্ন হলাম এবং এই সমস্ত বিষয় কি ভাবে লাইবেরিয়া এইচআইভি ছাড়াচ্ছে তার কারণেও শঙ্কিত হলাম। কি ভাবে এইচআইভি ছড়ায় সে সম্বন্ধে লাইবেরিয়ার বিশাল এক তরুণ জনগোষ্ঠীর কোন ব্যবহারিক ধারণা নেই, এবং কি ভাবে তাকে প্রতিরোধ করা সম্ভব তা তারা জানে না। আর এই বিষয়টির সাথে জড়িয়ে আছে দেশের শিক্ষার নিম্নহার। এমনকি যে সমস্ত তরুণ শিক্ষা গ্রহণ করে, তারাও এই বিষয়ে খুব সামান্য জ্ঞান রাখে, কারণ স্কুলে পুনরুৎপাদন বা প্রজনন বিষয়ক কোন শিক্ষা প্রদান করা হয় না। যার ফলে, লাইবেরিয়ার তরুণদের মাঝে এইচআইভি সম্বন্ধে অনেক অতিকথন বা অতিরঞ্জিত গল্প তৈরি হয় এবং অন্যসব যৌনবাহিত রোগ সম্বন্ধে একই অবস্থা বিরাজ করছে। এই সমস্ত অতিরঞ্জিত গল্প বা মিথের মধ্যে জনপ্রিয় একটি গল্প হচ্ছে, কলকে (সাধারণত ধোঁয়া বা গাঁজা টানার উপাদান) টানা এইচআইভি রোগ প্রতিরোধ করে। যেহেতু এইসব গল্প বিপজ্জনক তাই এই রেডিও অনুষ্ঠান ‘গল্প বনাম বাস্তবতা’ নামের এক আলাদা বিভাগ চালু করেছে। এই অংশে (লাইবেরিয়ার আঞ্চলিক ভাষায়) আমরা এই সব বেশ কিছু গল্প নিয়ে আলোচনা করি। এটি করি প্রতি সপ্তাহে একবার।

এই অনুষ্ঠান তরুণদের জন্য এইচআইভি ভাইরাস সম্বন্ধে জানার এক প্রয়োজনীয় মাধ্যম এবং অবশ্যই বলা যায় এখানে যৌনতা নিয়ে আলাপ হয়।

বর্তমানে, এলটিএএস রেডিও অনুষ্ঠান সারা লাইবেরিয়া প্রচারিত হচ্ছে। এই অনুষ্ঠানের সাথে এর বাণীকে জোরালো করার জন্য অন্য পন্থাগুলোও ব্যবহার করা হচ্ছে, যেমন প্রচারপত্র, নাটক, রাস্তায় অনুষ্ঠান (রোড শো), নির্দিষ্ট দলের সাথে আলোচনা এবং একই বয়স ও মানসিকতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের মধ্যে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা (পীর গ্রুপ), যাতে এইচআইভি কি ভাবে ছড়ায় এবং কি ভাবে গর্ভধারণ রোধ করা যায় সেই সকল বার্তা সকলের কাছে পৌঁছে যায়। এই অনুষ্ঠান লাইব্রেরিয়া এত জনপ্রিয় যে লোকজন সম্প্রতি দেশটির বাজারে মুরগীর ডিম ঘাটতির ঘটনায়, পয়সা দেখিয়ে বলে, “মুরগীরা আজকাল, চল যৌনতার কথা বলি অনুষ্ঠান শুনছে, এবং তারা নিরাপদ যৌন মিলনের অনুশীলন করছে”! আমি এই বাস্তবতায় সচেতন যে, লাইবেরিয়ার সকল তরুণ এই অনুষ্ঠানে যে স্বাস্থ্য বার্তা প্রদান করা হয় তা হয়ত শুনবে না, কিন্তু যদি কারো ব্যক্তিগত জীবন এতে পাল্টে যায়, তা হলে এটি আমার জন্য এক অসাধারণ সাফল্য বলে বিবেচিত হবে, যে আমি এই অনুষ্ঠানের একজন উপস্থাপক।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .