প্যালেস্টাইন: পালটেলের নতুন এডিএসএল নীতি নিয়ে অসন্তোষ

enough-walls-white-212x300কয়েক সপ্তাহ আগে, পালটেল (প্যালেস্টাইন টেলিকমিউনিকেশন গ্রুপ) তার গ্রাহকদের জন্য এডিএসএল (দ্বিগুন গতি সম্পন্ন ইন্টারনেট) নামে এক সেবা চালু করে। কোম্পানীর নিজস্ব সাইটে এই সেবার ব্যাপারে বর্ণনা করা হয়েছে, “এটি চালু করা হল নতুন গতিসম্পন্ন সেবা বিনে পয়সায় প্রদান করার জন্য, দাম কমানো ও একই সাথে উন্নত সেবা প্রদানের জন্য”। তবে পালটেলের এই নতুন এডিএসএল সেবার নীতি নিয়ে গাজা ও পশ্চিম তীরের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা অনলাইনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে। কারণ ইন্টারনেট সেবা ব্যবস্থায় এটি সীমাবদ্ধ এক গতি প্রদান করতে যাচ্ছে।

প্রথম যে সমস্ত প্যালেস্টাইনি ব্লগার এই বিষয় নিয়ে লেখে তাদের মধ্যে মোহাম্মাদ এন. থাতিব অন্যতম। তার ব্লগ থ্রি x ডাব্লিউ=ডাব্লিউডাব্লিউডাব্লিউ। তার প্রবন্ধের শিরোনাম “প্যালেস্টাইনে ইন্টারনেট- দিন দিন তা খারাপের দিকে যাচ্ছে!” খাতিব বলেন:

“দেখা যাচ্ছে যা গুজব ছড়িয়েছিল তা সত্যিতে পরিণত হয়েছে! হাদারা (পালটেল) প্যালেস্টাইনের প্রধান ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান (আইএসপি)। তারা তীব্রভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে, তাদের ইন্টারনেট সেবা যেন সবাইকে শুষে নেয়। ইতোমধ্যে এই সেবা অনেক ব্যয়বহুল ও ধীর গতি সম্পন্ন। এখন সবচেয়ে বড় বিস্ময় হচ্ছে তার লিমিট বা সীমাবদ্ধ ব্যবহার পদ্ধতি!

আপনি জানেন যে আপনাকে মাসে কোন কিছু নামানোর ক্ষেত্রে এক সীমাবদ্ধ অবস্থান বা লিমিট প্রদান করা হয়েছে! যদি আপনি ৫১২ কেবি (কিলোবাইট) এডিএসএল সংযোগ নেন, তা হলে প্রতিমাসে আপনি ১০ গিগাবাইট (জিবি) পরিমাণ উপাদান নামাতে (ডাউনলোড) করতে পারবেন। মাসের যে কোন সময়ের মাঝে যদি একবার আপনি ১০ গিগাবাইট নামিয়ে ফেলেন তা হলে মাসের শেষ পর্যন্ত আপনার ইন্টারনেটের গতি থাকবে ৬৪ কিলোবাইট! লিমিট শেষ হয়ে গেলে এরপর গ্রাহককে অতিরিক্ত ৬ জিবি কিনতে হবে (নতুন করে ২, ৪ অথবা ৬ জিবি কেনার প্যাকেজ পাওয়া যায়)। যার প্রতি ২ জিবির মূল্য প্রায় ১২ এনআইস (প্রায় ৩.৫ ডলার)!”

ইব্রাহিম জাবোর তার ব্লগ ক্লিকঅনটেকে প্যালেস্টাইনের উত্তেজনাকর বিষয়ের উপর এক সংবাদ প্রকাশ করেছে।

في شهر ديسمبر 2009 تفاجئ المشتركين بقرار من شركة الاتصالات الفلسطينية بأن الخدمة سوف تنتقل إلى نظام الحصص مع مضاعفة السرعة, بحيث يكون لكل مشترك حصة معينة من نقل البيانات شهرياً وإن نفذت يتم تخفيض السرعة سرعة تعادل سرعة الاتصال الهاتفي القديم وقد أدى هذا القرار إلى ازدياد استياء المواطنين . وبالفعل طبقت الشركة هذا القرار منذ بدأ شهر يناير
– وسيم سنجر – طالب جامعي يقول بأنه تفاجئ بعد مرور 10 أيام فقط من شهر يناير عندما وجد أن سرعة التصفح لديه شبه معدومة , فسارع إلى الاتصال بالدعم الفني الخاص بالشركة ليجد أنه قد تجاوز الحد المسموح له من نقل البيانات , وأكمل مستطرداً بأن أغلب دراسته وأبحاثه في الجامعة تتطلب وجود اتصال انترنت في البيت , والآن مع هذه القيود التي وضعتها شركة الاتصالات سوف يلاقي صعوبات جمة في البحث عن المعلومات المطلوبة
ডিসেম্বরের ২০০৯-এ গ্রাহকের বিস্মিত হয়, যখন পালটেল ঘোষণা দেয় যে এই ইন্টারনেট সেবায় দ্বিগুণ গতির সাথে নির্দিষ্ট পরিমাণ যুক্ত করা হবে। যার মানে সকল গ্রাহককে মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ ইন্টারনেট ব্যবহার করতে হবে এবং এই নির্দিষ্ট পরিমাণ নেট যদি শেষ হয়ে যায় তা হলে ইন্টারনেটের গতি কমে আসবে। এটি তখন পুরোনো ডায়াল-আপ পদ্ধতির সমান গতিসম্পন্ন হয়ে যাবে। এই ঘোষণা জনতার মাঝে এক হতাশার সৃষ্টি করে। এ বছরের জানুয়ারি মাসের শুরুতেই কোম্পানী তাদের এই নতুন নিয়ম চালু করে।

ওয়াসিম সাঙ্গের এক কলেজ ছাত্র। তিনি বলেন, জানুয়ারির ১০ দশদিন চলে যাবার পর তিনি আবিষ্কার করেন যে তার ইন্টারনেটের গতি প্রায় নাই হয়ে গেছে, তখন তিনি বিস্মিত হয়ে পড়েন। এই ঘটনার ব্যাপারে তিনি পালটেলের প্রযুক্তি সেবা বিভাগে অনুসন্ধানের জন্য ফোন করেন। তিনি জানতে পারেন, তিনি তার গতির নির্দিষ্ট পরিমাণ অংশ ব্যবহার করে ফেলেছেন। তিনি তার বক্তব্যের সাথে যোগ করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশিরভাগ পড়া ও গবেষণার জন্য বাড়িতে তার ইন্টারনেট প্রয়োজন। এখন পালটেল তাকে যে নির্দিষ্ট পরিমাণ গতি প্রদান করছে, তার কারণে তাকে প্রয়োজনীয় তথ্য অনুসন্ধানের জন্য অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে।

ফেসবুকে রাগান্বিত ফিলিস্তিনি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের অনেক গ্রুপ বা দল তৈরি হয়েছে যারা পালটেলের নতুন নীতির বিরুদ্ধে এক আন্দোলন নেমেছে।

তোমরা তাকে দ্বিগুণ করেছে.. কিন্তু তোমরা তাকে ধ্বংস করেছ।
কোন কিছু নামানোর ক্ষেত্রে পরিমাণ নির্দিষ্ট করে দেবার পালটেলের এই নীতির বিরুদ্ধে এই আন্দোলন।

ফেসবুকের সকল দল যারা পালটেলের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অনলাইনে প্রচারণা চালাচ্ছে; তাদের গ্রুপের মূল পাতার নোটিশ বোর্ড বা ওয়াল পেজে অসন্তোষ প্রকাশ করা সব লেখায় ভরে উঠেছে। তাদের ফিলিস্তিনি সদস্য যারা ইন্টারনেট নিয়ে বিভিন্ন ধরনের অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছে তারা এই অসন্তোষ প্রকাশ করেছে এবং এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে স্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযান শুরু করেছে। এই বিষয়ে তারা আলোচনা সভা তৈরি করেছে। এই সমস্ত আলোচনায় অনেক লোক কোম্পানীর বিরুদ্ধে রাস্তায় বিক্ষোভ প্রদর্শন ও পালটেলের সেবা বর্জন করার হুমকি প্রদান করে। কিছু লোক এমনকি আরো এগিয়ে যায় এবং তারা পরামর্শ প্রদান করে, গ্রাহকরা যেন পালটেলের সেবা বাদ দিয়ে ইজরায়েলী যোগাযোগ প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .