সিরিয়া: ব্লগস্ফেয়ারে পরিভ্রমণ

এই সপ্তাহে আমরা সিরিয়ার বিভিন্ন ব্লগে কোন রকম যাচাই বাছাই না করেই প্রবেশ করব এবং বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপ করব যা অনেকটাই ধাঁধার মত, আলেপ্পোর প্রায় সব বাজারের সাথে তার সামান্যই পার্থক্য রয়েছে।

আমাদের প্রথম যাত্রা বিরতি হবে হানজালা'স ডির্পাচার অনটু গড নামক ব্লগে। এখানে লেখক তার চাকুরি ছেড়ে দেবার সিদ্ধান্তের কথা লিখেছে।

جرت العادة أن يحتفل أحدنا بعيد ميلاده بعيد الحب أو بعيد الشجرة حتى ، و لكني سأحتفل اليوم بمناسبة مرور عام على توظيفي في إحدى مؤسسات الدولة ، و أنا لن أوزع حلوى أو كاتو بل سأكتفي بهذه المقالة فحسب ، أكتب هذه الكلمات و إنه ليحز في نفسي كثيراً أن أكتبها ، لأن الواحد منا يركض طول العمر ليحصل على تلك الوظيفة و ينتهي بهم الأمر بعد عام كما هي حالي الآن أرفع كتاباً أطلب فيه إعفائي منها .
সাধারণত সবাই তার জন্মদিন অথবা ভ্যালেন্টাইন ডে (বিশ্ব প্রেম দিবস) এমনকি ট্রিজ ডে (গাছ দিবস) পালন করে থাকে। আজ আমি রাষ্ট্রীয় একটি প্রতিষ্ঠানে চাকুরি পাবার পর এক বছর পার করার দিনটি উদযাপন করছি। এদিন কেউ আমাকে চকলেট বা কেক উপহার দেবে না। তবে আমার এই লেখাটাই আমার জন্য উপহার হিসেবে যথেষ্ট। এই শব্দগুলো লেখতে গিয়ে আমি বেদনা অনুভব করছি, কারণ আমাদের মধ্যে যে কেউ এই ধরনের চাকুরি পাবার জন্য সারা জীবন ব্যয় করে থাকে, এবং এক বছর পর তা ছেড়ে দেয়। যেমনটা আমি নিজে এখন যে কাজটি করছি, এই পদত্যাগ পত্রটি লিখছি।

আমরা হানজালাকে সিরিয়ার জনপ্রশাসনের নষ্ট হয়ে যাওয়া এলাকায় রেখে, সেখান থেকে বিদায় নেবার সিদ্ধান্তের মত এক পরিস্থিতি পড়া তার কাছ থেকে বিদায় নেই এবং একটি সামান্য আনন্দদায়ক বিষয়ের উপর মনোযোগ দিই।

প্রতি শুক্রবারে ব্লগস্ফেয়ারে আবুফারেস এবং মারিইয়ার সমুদ্র উপকূলে এক যৌথ উদ্যোগের গল্প ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ হয়ে থাকে। এর ২৯ তম খণ্ড প্রকাশ হয়েছে। লেখাটি পড়তে পারেন:

ইয়াসমিন আমার পেছনের সোফায় বসে ছিল। তার সেই আকর্ষণীয় হাসি উধাও হয়ে গিয়েছে। “ওহ হোসাম। হে ঈশ্বর, হোসাম”। সে তার কান্না রোধ করতে পারল না এবং সে আবার কান্নায় ভেঙ্গে পড়ল, আমি জানতাম আমি তাকে হতাশ করতে পারবো না। আমি কেবল আশা করেছি যে, কোন একদিন ইউসুফ আমাকে ক্ষমা করবে।

ইয়াসমিন, আমরা সকাল বেলায় বেরিয়ে পড়ব। আমি খুব সকালে এখানে এসে পৌঁছবো, ঠিক আছে? যতটা পারা যায় তাকে সান্ত্বনা দেবার মত করে বললাম।

এবং ভালোবাসা ও ভ্যালেন্টাইনের মত বিষয় নিয়ে কথা বলা যাক, আনটোল্ড দামাসিন স্টোরিজ হচ্ছে এফডাব্লিউ পত্রিকার ব্লগ। তারা দামেস্কের রাস্তায় ভ্যালেন্টাইন দিবসের বাণিজ্যিকীকরণের বিরুদ্ধে এক সংবাদ প্রকাশ করেছে:

সিরিয়াবাসীরা বাণিজ্যিকীকরণের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না। ভ্যালেন্টাইনের উৎসব পালন হয় ফ্রেবুয়ারির ১৪ তারিখে। সে সময় লোকজন তার বন্ধুদের কাছে টাকা চাওয়া শুরু করে, কারণ ভ্যালেন্টাইন দিবসে কোন ব্যক্তি তার প্রেমিকার কাছে খালি হাতে যেতে চায় না। রেস্টুরেন্টগুলো এই দিনের জন্য বিশেষ প্রস্তুতি নিতে থাকে। তারা সুন্দর করে সব কিছু সাজায়। সেদিন বিশেষ পরিবেশনা থাকে “কেবল পরিবারের জন্য”। শুধু একা থাকা পুরুষের সেদিন রেস্টুরেন্টে প্রবেশ নিষেধ। এই সময় ৫০ লিরা (সিরিয় মুদ্রা) দামের গোলাপ যাদুকরীভাবে নিজের মূল্যের পেছনে একটি শূন্য বাড়াতে সক্ষম হয়, যার দাম গিয়ে দাঁড়ায় ৫০০ লিরায়। এবং সবশেষে, মোবাইল ফোন কোম্পানীগুলো তাদের গ্রাহকদের এই সময় বাড়তি বার্তা দিয়ে ভরিয়ে দেয়। যেমন, আপনার সঙ্গী বা সঙ্গিনীর নামে ### এখানে একটি বার্তা পাঠিয়ে “ভালোবাসা দিবস প্রতিযোগিতায়” অংশগ্রহণ করুন অথবা নিজের যোগ্যতা যাচাই করুন।

রাজনীতি এমন এক বিষয় যা যে কোন আলোচনায় উঠে আসে এবং সিরিয়া কমেন্ট আমাদের কাছে সিরিয়া এবং সারা বিশ্বের তাজা সংবাদ এবং বিশ্লেষণ তুলে আনছে, উত্তেজক এ শিরোনামের মাধ্যমে, “ওয়াশিংটন কি সিরিয়া-ইজরায়েল শান্তি আলোচনার উপর মনোযোগ প্রদান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে”?:

সংক্ষেপে বলা যায়, একজন রাষ্ট্রদূতের ফিরে আসা ভালো, কিন্তু শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে খেলা যা কিনা লম্বা এক প্রক্রিয়া এবং যার ফলে তৈরি হওয়া শান্তির সময় খুব অল্প, এ রকম বিষয় সিরিয়ার জন্য কঠিন, যার প্রচার মাধ্যমের এ বিষয়ে কোন জ্ঞান নেই, যা ইজরায়েলের রয়েছে। নিঃসন্দেহে দামেস্কের মধ্যে এক ভয় রয়েছে যে মিচেল সিরিয়াকে বলবে, তারা যেন কোন শর্ত ছাড়াই নেতানইয়াহুর সাথে বৈঠকে বসে। সিরিয়ার বিশ্বাস, ইজরায়েলকে কোন ছাড় দেওয়া ছাড়াই সম্পর্ক স্বাভাবিক করা যাবে।

সবশেষে আমরা সিরিয়ান ফুডি ইন লন্ডনএর সাথে বসবো দামেস্কের এক সুস্বাদু খাবারের জন্য। এই খাবারের নাম ফুল নাবিত:

ফুল নাবিত ফাবা নামের শিম সিদ্ধ করে লবণ ও জিরা সহযোগে পরিবেশন করা হয়। বিক্রেতার গাড়িতে এক বিশাল পাত্র থাকে যাতে সামান্য আঁচে শিম গরম হতে থাকে। এরপর কাগজে মোড়ানো বা প্লাস্টিকের পাত্রের বদলে উপযুক্ত কাঁচের গ্লাস বা চীনামাটির পাত্রে এই শিম খাবার জন্য সরবরাহ করা হয়। এই খাবারের অভিজ্ঞতা লাভ করার জন্য সাধারণত এক গ্লাস রান্না করা শিম এবং তার সাথে আধা এক লেবুর টুকরা দেওয়া হয়, যা পেট ভরানোর জন্য যথেষ্ট। রান্না করা অংশের সাথে লবণ, জিরা এবং লেবু চটকে তার রস ঢালা হয় যা খাবারটিকে সুস্বাদু (যা দেখতে মোটেও সুন্দর নয়) এক ভিন্ন পানীয়তে পরিণত করে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .