জাপান: কোন একটা চাকুরি (অথবা কোম্পানী) বেছে নেবার সিদ্ধান্তের ব্যাপারে

খুব সীমিত কাজের অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে কি ভাবে একজন সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হবে যে সে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরিয়ে সরাসরি কোন কোম্পানীতে চাকুরি করবে? এই প্রশ্নটি আরো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে, যখন ওই ব্যক্তিটির সেই পেশায় বাকী জীবন কাটানোর সম্ভাবনা তৈরি হয়।

এর আগে গ্লোবাল ভয়েসেস জাপানের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা পাশ করে বের হয়ে কি উপায়ে গতানুগতিক ভাবে চাকুরির সন্ধান করছে, সে বিষয়ে লিখেছিল এবং বিষয়টি হচ্ছে সময়ের পরিবর্তনে একই পদ্ধতি আবার চালু হয়েছে।

জাপান: সদ্য-স্নাতক পর্ব শেষ করা চাকুরি প্রার্থীদের চাকুরিতে নিয়োগ করা হচ্ছে না
@ টোকিওতে, জাপানী কর্মসংস্থানের উপরে কলেজের ছাত্ররা প্রতিবাদ করছে

ভিডিও গেম বিশ্লেষক এবং উপদেষ্টা হিশাকাজু হিরাবায়াশি আরো ব্যক্তিগত পর্যায় তার চিন্তা প্রয়োগ করেছেন- তিনি দেখতে চেষ্টা করছেন কখন একজন ছাত্র বিবেচনা করা শুরু করে, কোন কোম্পানীতে সে চাকুরি খোঁজা শুরু করবে। এই পোস্টের শিরোনাম ‘কাজের জন্য কোন এক কোম্পানীকে সীমাবদ্ধ দৃষ্টিভঙ্গিতে বিবেচনা করা’(狭い視野でしか選べない就職希望企業) [জাপানী ভাষায়]।

বিশেষ তথ্য: ব্লগারের অনুমতি ক্রমে পুরো অনুবাদ করা হয়েছে। লেখার সূত্র উল্লেখ করার জন্য টমোমি সাসাকি এর সকল লিঙ্ক বা সংযোগ যুক্ত করা হয়েছে।

এই সপ্তাহে আমার এক সহকর্মী বলল, তার পুত্র এবং কন্যাকে যেন তাদের পেশা বেছে নেবার ব্যাপারে কিছু উপদেশ দিই। তারা গেম শিল্পে কাজ করতে ইচ্ছুক, কিন্তু তারা জানে কি ভাবে এই পেশায় অগ্রসর হতে হবে।

এই দুই শিক্ষার্থী ইতোমধ্যে একগাদা কোম্পানীর তালিকা তৈরি করেছে, যেখানে তারা কাজ করতে ইচ্ছুক। এইসব পছন্দের কারণ ছিল খুব সাধারণ।
১. যে সমস্ত গেমের প্রতি তারা ব্যক্তিগতভাবে আগ্রহী সেই সব গেম যে সব কোম্পানী তৈরি করে সেইসব কোম্পানী
২. নামকরা কোম্পানী, যাদের সুনাম প্রতিষ্ঠিত
৩. যে সমস্ত কোম্পানীর আর্থিক অবস্থা ভালো

আমি পরবর্তী পাঁচ বছরে কেবল গেম শিল্প নয়, তার সাথে প্রচার মাধ্যম এবং তথ্যপ্রযুক্তির পুরো পরিস্থিতি কোন দিকে গড়াবে সে সম্বন্ধে ধারণা প্রদান করার চেষ্টা করলাম। আমি তাদের ভালোভাবে বোঝানোর চেষ্টা করলাম যে উপরের তিনটি মাত্র বিষয়ের মধ্যে দিয়ে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ নয় এবং তাদেরকে বিশেষ করে দৃষ্টিভঙ্গি প্রসারিত করার অনুরোধ করলাম।

আমার ভবিষ্যদ্বাণীর অন্যতম কারণ ছিল, টেরিস্টোরিয়াল এনালগ ব্রডব্যান্ড ২০১১ সালের জুলাই মাস থেকে বন্ধ হয়ে যাবে। যার মানে মোবাইল যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্রডব্যান্ডের আওতায় চলে আসবে… কিন্তু এই ধরনের কথা মোটেও প্রতিধ্বনিত হচ্ছে না।

এটা তাদের কাছে কোন প্রাসঙ্গিক বিষয় নয়। তারা গেম ভালোবাসে এবং এই পেশার ভেতরে ঢুকতে চাইছে বা গেম শিল্পে নিজেরা প্রবেশ করতে চাইছে। সে কারণে তারা আমার কাছে এসেছিল। কিন্তু তাদের কাছে আমি “বিচিত্র এক ব্যক্তিতে” পরিণত হলাম, যে কি ভাবে এই পেশার নিময় নীতি বদলাচ্ছে সে বিষয়ে কথা বলছে।

একটা সময়ে পুরো পরিস্থিতি তাদের কাছে পরিষ্কার হয়ে এলো, যখন আমি তাদের সামনে কিছু উদাহরণ তুলে ধরলাম। উদাহরণ হিসেবে যে কোম্পানীর নাম এসেছে, সেই কোম্পানীতে যারা কাজ করছে তাদের প্রতি কোন আক্রমণ থেকে এই উদাহরণ নয়!

আমি তাদের এই প্রশ্নটি জিজ্ঞেস করি: ঠিক আছে এখন থেকে পাঁচ বছর আগের সময়ের কথা ভাব। ২০০৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্ররা পাশ করে বের হওয়ার পর কোন কোম্পানীটিতে সবচেয়ে বেশি চাকুরি করতে আগ্রহ প্রকাশ করত।

পিতামাতা বা ছাত্রছাত্রী দুজনেই এই প্রশ্নের উত্তর দিতে সক্ষম হল না। যখন আমি তাদের বললাম সেই প্রতিষ্ঠানের নাম জাপান এয়ারলাইনস, তখন তারা সাথে সাথে বুঝতে সক্ষম হল, আমি আসলে তাদের কি বোঝাতে চাইছি।
‘যা জানি’ তার উপর সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষেত্রে বড় ধরনের বিপদ রয়েছে। বাস্তব সত্য হচ্ছে পৃথিবী পরিবর্তনশীল

এটা কেবল ২০০৫ সালের ঘটনা নয়। এটা জরিপের উপর নির্ভর করে, তবে সর্বদাই জাপান এয়ারলাইনস, কাজ করার জন্য প্রিয় এক প্রতিষ্ঠান হয়ে ছিল। বর্তমানে এই কোম্পানীটি “দু:স্থ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান পুনরুজ্জীবিতকরণ আইনের” (কর্পোরেট রিহ্যাবিলাইটেশন ল) অধীনে দেউলিয়া প্রতিষ্ঠান হিসেবে চিহ্নিত হয়ে রয়েছে।

ওহ, এই কারণে কি জাপানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা কেবল কোম্পানীর অতীত ও ভবিষ্যৎ দেখে এবং তারা প্রতিষ্ঠানের শ্রদ্ধার প্রতি উদ্বিগ্ন এবং তার অদ্ভুত স্থায়িত্বের ব্যাপারে উদগ্রীব হয়ে পড়ে? (আমিও এভাবেই ভাবতাম)।

প্রথমে কল্পনা করতে হবে সেখানকার ভবিষ্যৎ এবং পেশাগত কাজটি কেমন হবে, চিন্তা করতে হবে কাঙ্ক্ষিত কাজের ধরণ এবং পরিবেশের ব্যাপারে। তাদের কখনোই এই ধরনের অভিজ্ঞার মধ্য দিয়ে যাবার সুযোগ ঘটে না।

এই বিষয়ে ছাত্ররা একাই কেবল দায়িত্ব নিতে পারে না। আমি মনে করি এটি তারুণ্যের এমন সময়কে অতিক্রম করা, যা ২০ বছরের এক নাগরিকের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ তার বয়সকালীন সময়কে উদযাপন করার ক্ষেত্রে

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .