হাইতিতে গ্লোবাল ভয়েসেস: আমাদের দল ভূমিকম্প এলাকায় পৌঁছেছে

১২ জানুয়ারিতে যে ভূমিকম্প হাইতিতে আঘাত হানে তা দক্ষিণ হাইতিকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে। গ্লোবাল ভয়েসেসের সম্পাদক ও লেখকের একটা ছোট্ট দল সেখানে গিয়ে উদ্ধারকার্য, ত্রাণ এবং পুনর্বাসন প্রচেষ্টার বিস্তারিত সংবাদ সংগ্রহ করার চেষ্টা করছে। আমাদের অন্যতম যে সীমাবদ্ধতার মুখোমুখি হতে হয়েছে তা হল হইতিতে খুব স্বল্প পরিসরে নাগরিক প্রচার মাধ্যমের (সিটিজেন মিডিয়ার) উপস্থিতি। হাইতিতে বর্তমানে বেশ অল্পসংখ্যক নাগরিক সংবাদ প্রচার বা মতামত প্রদানের জন্য অনলাইন মাধ্যম ব্যবহার করে থাকে। গত দুই সপ্তাহে গ্লোবাল ভয়েসেস প্রচণ্ড ভাবে চেষ্টা করেছে যাতে সামাজিক প্রচার মাধ্যম (সোশাল মিডিয়া) ব্যবহারকারী কিছু নিয়মিত ব্লগার এবং টুইটারকারীর কাছে বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সেবা ঠিকমতো থাকে। আমরা এই সংবাদ সেখানে অবস্থান করা বিদেশ সাহায্যকর্মী এবং এনজিও কর্মীদের বিভিন্ন ব্লগ ও টুইটাররের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি করেছি।

আমরা গ্লোবাল ভয়েসেসের বাসিন্দারা বিশ্বাস করি হাইতিবাসীদের ত্রাণ ও পুনর্নির্মাণের দৃষ্টিভঙ্গিকে বিবর্ধিত করা প্রয়োজন। এটি বাড়ানোর অন্যতম এক গুরুত্বপূর্ণ উপায় হচ্ছে সেখানে স্থানীয়ভাবে নাগরিক প্রচার মাধ্যমের কার্যক্রমকে বাড়ানো। এর ফলে আরো বেশি সংবাদ এবং মন্তব্য তৈরি করা সম্ভব হবে, যার মধ্যে দিয়ে সামনের মাসগুলোতে কার্যকর সচেতনতা, কৌতূহল, কথোপকথন এবং সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হবে।

এ কারণে, নাগরিক প্রচার মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশে সাহায্য করার জন্য হাইতির রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সে গ্লোবাল ভয়েসেস দুই ব্যক্তির একটি দল পাঠিয়েছে। এর একজন হচ্ছেন গ্লোবাল ভয়েসেস-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর বা কার্যনির্বাহী পরিচালক জর্জিয়া পপলওয়েল, অপরজন হচ্ছেন ফরাসীভাষী পাতা বা ফ্রাঙ্কোফনির সম্পাদিকা এলিস বেকার

উভয়ে তাদের ব্যক্তিগত ব্লগ ও টুইটার একাউন্টের মাধ্যমে নিয়মিত তাজা সংবাদ প্রদান করে যাচ্ছেন: জর্জিয়া, ক্যারিবিয়ান ফ্রি রেডিও@জর্জিয়াপ-এ, এবং এলিস, কিসকেয়াসিটি@কিসকেয়াসিটিতে। এছাড়াও জর্জিয়া তার ফ্লিকার পাতায় ছবি পোস্ট করে যাচ্ছেন এবং গ্লোবাল ভয়েসেসের সংবাদ প্রদানের মাধ্যমে অনলাইনে চলমান কথোপকথনের ক্ষেত্রে আমরা তাদের নিজেদের পাঠানো তথ্য ব্যবহার করব।

হাইতিতে যাবার কিছুদিন আগে তার ব্লগে লেখার সময় জর্জিয়া ব্যাখ্যা করেন:

আমি সন্দেহ করছি যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে- এবং ত্রাণ ও পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় যে ভাবে যুক্তরাষ্ট্র জড়িয়ে পড়েছে- তাতে হাইতির ভূমিকম্প প্রধান প্রধান প্রচার মাধ্যমের পাতা থেকে সহজেই হারিয়ে যাবে না, যে ভাবে অন্য কাহিনীগুলো হারিয়ে গেছে। তবে এখানে ভিন্ন ধরনের এক সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশ করার মত ঘটনা ঘটবে এবং একজনও প্রয়োজনীয় স্থানীয় ঘটনাগুলোর কথা উল্লেখ করবে না।

আমাদের আরেকটি লক্ষ্য হচ্ছে স্থানীয় কণ্ঠস্বরকে গুরুত্ব প্রদান করা। এই ভূমিকম্পে যে সমস্ত সম্প্রদায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের স্বরের মিশ্রণ এবং কথা বলার সুযোগ প্রদান বাড়ানের লক্ষ্য তা করা হবে, যাতে ভূমিকম্পে যারা সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের বক্তব্য শোনা যায় এবং যারা পুনর্বাসন কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত ও সেই পরিস্থিতির উপর সংবাদ পাঠাচ্ছে তাদের কথা উপলব্ধি করা যায়- এই কর্মকাণ্ডে এমন একটি দল কাজ করে যাচ্ছে যারা, মধ্য হাইতির বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং প্রচার মাধ্যমের কিছু ব্যক্তি এবং একই সাথে এর সাথে আন্তর্জাতিক সংস্থার লোকজন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। আমরা আশা করি না যে কাজটি সহজ হবে। হাইতি একটি জটিল এলাকা এবং এই ভূমিকম্পে দেশটি ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

গ্লোবাল ভয়েসেস হাইতিতে যে সমস্ত কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে তা আমাদের সাধারণ সমর্থকদের দানের অর্থইন্টারনিউজের প্রদান করা মানবিক তথ্য মঞ্জুরীর মাধ্যমে করা হচ্ছে। দয়া করে হাইতির ভূমিকম্পের উপর আরো সংবাদ জানার জন্য গ্লোবাল ভয়েসেসের বিশেষ কাভারেজ পাতা দেখুন।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .