তিউনিশিয়া: ব্লগাররা ছাত্রদের জেলে পাঠানোর বিরুদ্ধে

logo-etudiantsসম্প্রতি তিউনিশিয়ায় একদল ছাত্রের বিচার করা হয়। বিচার শেষে তাদের শাস্তি হিসেবে বিভিন্ন মেয়াদের জেল প্রদান করা হয়। এর মধ্য ছয় মাস থেকে তিন বছরের জেল রয়েছে। এই সমস্ত ছাত্রদের অপরাধ তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক ব্যবস্থা নিয়ে এক জায়গায় বসে আন্দোলন করছিল। হলে মেয়েদের অধিকার আদায়ের জন্য তাদের এই আন্দোলনের ফলে, তাদের উপর এত বড় শাস্তি নেমে এল। এই ঘটনায় ব্লগাররা দ্রুত তাদের সমর্থনে এক আন্দোলন শুরু করে। এই আন্দোলনে তারা শাস্তি পাওয়া ছাত্রদের মুক্তি দাবি করে।

এদের জন্য ফেসবুকে এক গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে, যার নাম “ছাত্রদের জেলে পাঠানোকে না বলুন” এবং একই সাথে একটি ব্লগ: “জেল বন্দি ছাত্রদের মুক্ত কর”, নির্মাণ করা হয়েছে। তিউনিশিয়ার ব্লগাররা এই ঘটনা সম্বন্ধে লিখেছে।

ফেওটাস ব্যাখ্যা করছে:

তিউনিশিয়ার কিছু ছাত্রের ৬ থেকে ৩ বছরের বিভিন্ন মেয়াদের জেল হয়েছে। এর কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের আবাসন নিয়ে যে সমস্যা তৈরি হয়েছে, তার বিরুদ্ধে তারা প্রতিবাদ করেছিল। আমি শাস্তির পুরো বিরোধিতা করি। এই বিচার ছিল এক রাজনৈতিক বিচার। এটা ছিল এক জঘন্য বিচার। দয়া করে এই বার্তাটি ছড়িয়ে দিন এবং তিউনিশিয়ার স্বৈরশাসকের বিরোধিতা করুন।

কার্পেডিয়াম এই বিষয়ে ব্লগ করেছেন এবং বলেছেন:

Quoi de plus légitime et normal quand on est jeune, étudiant et doté d'un minimum de conscience que de se sentir concerné par l'amélioration des conditions de logement et d'études des dizaines de milliers de jeunes tunisiens inscrits à l'université. Et quoi de plus pacifique comme action de protestation que d'organiser des sit-in dans une résidence universitaire pour faire entendre ces revendications?
Et pourtant…Ce qui est considéré sous d'autres cieux moins répressifs comme une demande légitime et un engagement plutôt sain est systématiquement puni par de lourdes peines de prison en Tunisie, ce pays qui continue de se targuer d'être à l'initiative du programme onusien “2010, année internationale de la jeunesse”…Quelle hypocrisie!

কোনটা বেশি বৈধ এবং স্বাভাবিক, যখন একজন তরুণ ছাত্র সামান্য সচেতন হয়ে তার আবাসন ব্যবস্থা ও শিক্ষার উন্নতির জন্য দাবি জানায়, যা দেশটির দশ হাজারের মত তরুণের দাবি, যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করেছে এবং এক আবাসিক কক্ষে বসে থেকে এইসব দাবির সপক্ষে প্রতিবাদ করার মত শান্তির প্রতিবাদ আর কি থাকতে পারে?

এবং এরপরেও…যা দেখা যাচ্ছে তা হল অন্য এলাকায় যা তুলনামূলক কম নিপীড়নের বিষয়, যেটি বৈধ এক অনুরোধ এবং একটি শক্তিশালী প্রতিশ্রুতিকে তিউনিশিয়ায় কঠিন শাস্তি প্রদান করা হয়েছে। তা করা হয়েছে এমন এক দেশে, যা ক্রমাগত এক উদ্যোগ নেবার দাবি করে আসছে। এই উদ্যোগের নাম জাতি সংঘ আন্তর্জাতিক যুবা বছর-২০১০, “কি এক ভণ্ডামি!

অউ কোটিডিয়েন যোগ করেছেন:

Parce que leur place n'est pas en prison, parce que leurs activités syndicales sont un droit absolu, parce que nous refusons l'emprisonnement pour les opinions politiques,les blogueurs Tunisiens se mobilisent pour soutenir et venir en aide aux étudiants détenus!!
Un groupe de soutien aux étudiants détenus a été crée sur Facebook, rejoignez-le!!

কারণ তাদের স্থান জেলে নয়, কারণ তাদের ইউনিয়ন বা সংগঠনের কাজকর্ম ছিল একেবারে সঠিক, কারণ আমরা রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে জেলে যেতে অস্বীকার করি। তিউনিশিয়ার ব্লগাররা একত্রিত হচ্ছে, জেলে যাওয়া ছাত্রদের সমর্থন ও সাহায্য করার জন্য।

ফেসবুকে ছাত্রদের জন্য একটি সমর্থক গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে। দয়া করে তাতে যোগ দিন!!

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .