ইরান: চীনা সাইবার এক্টিভিস্টরা ইরানের লোকদের সমর্থন করছে

CN4Iranlogoসম্প্রতি আশুরা পালন করার সময় ইরানে বর্তমান প্রশাসনের বিরুদ্ধে এক গণবিক্ষোভ প্রদর্শিত হয়, সে সময় প্রায় ডজনখানেক চীনা নেটিজেন #ইরানইলেকশন নামক টুইটার সম্প্রদায়ে যোগ দেয়। তারা তাদের নিজস্ব হাসটাগ, #ইসএন৪ইরান যুক্ত করে এবং এমনকি ইরানের সংগ্রামী জনতাকে সমর্থন করার জন্য এক নতুন সাইট নির্মাণ করে। এই সাইটের শিরোনাম সিএন৪ইরান.অর্গ। গ্লোবাল ভয়েসেস এই উদ্যোগের পেছনে থাকা অন্যতম এক সাইবার এক্টিভিস্ট ব্যক্তির সাক্ষাৎকার নিয়েছে।

কখন এবং কোথায় আপনাদের এই সাইট নির্মাণ করা হয় এবং আপনাদের মূল উদ্দেশ্য কি?

২৮ ডিসেম্বর, ২০০৯-এ আমাদের এই সাইট তৈরি করা হয়। এটি ধারণ করে ড্রিমহোস্ট.কম (যুক্তরাষ্ট্রের) নামের প্রতিষ্ঠান। আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য ইরানের জনতার যে লড়াই, তাকে সমর্থন করা। তাদের কাছ থেকে এসব শেখা এবং তাদের এই অভিজ্ঞতা চীনা জনতার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া।

দয়া করা আমাদের ব্যাখ্যা করুন এই প্রকল্পের সাথে কে জড়িত, এবং কোন সংগঠন কি আপনাদের সাহায্য করছে?

এর সৃষ্টিকর্তা কাওটামাডে (ডাকনাম), আমাদের বেশ কয়েকজন ওয়েবমাস্টার ও স্বেচ্ছাসেবী রয়েছে। সিএন৪ইরানে প্রবেশ করে আপনি বিস্তারিত তথ্য পেতে পারেন। এখন পর্যন্ত আমরা কোন প্রতিষ্ঠানের সমর্থন পাইনি।

ইরানের সাইবার এক্টিভিস্টদের সাথে কি আপনাদের সম্পর্ক স্থাপন হয়েছে? আপনাদের তথ্যের উৎস কি এবং আপনাদের লক্ষ্য কারা ?

আমরা ইরানের কিছু জনতাকে অনুসরণ করি [টুইটারে]। অনেক সময় আমরা এ ধরনের বার্তা প্রদান করি, যেমন:কেমন আছেন? ধন্যবাদ। তথ্যের প্রধান উৎস যে সমস্ত টুইটার ব্যবহারকারীদের আমরা অনুসরণ করি সে সব, যেমন @@পার্সিয়ান২ইংলিশ, @অক্সফোর্ড গার্ল, @অরি২বি, @তেহরানউইকলি। আমরা বিদেশী সংবাদ মাধ্যম থেকেও সংবাদ সংগ্রহ করি। যেমন আমরা সিএনএন.কম থেকে সংবাদ নেই। আমাদের লক্ষ্য চীনের সাইবার নাগরিকরা। প্রথমত টুইটার.কম-এর চীনা নাগরিক এবং এরপর অন্যসব চীনের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা, যারা আমাদের তথ্য পাঠ করে। এছাড়াও সারাবিশ্বে আমাদের প্রচুর পাঠক রয়েছে এবং আমরা বাইরের পাঠকদের চীনের প্রতিক্রিয়া সম্বন্ধে জানাই [কিছু চীনা সংবাদ ইংরেজীতে অনুবাদ করে তাদের জানাই]।

চীন এবং ইরানের নিষেধাজ্ঞা তৈরির ধরনের ক্ষেত্রে কি কোন মিল রয়েছে? সাইবার এক্টিভিজম সম্বন্ধে বলুন?

আমরা জানি যে ইরানী শাসকরা অনেক ওয়েব সাইট বন্ধ করে দিয়েছে। চীনেও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। আমি ধারণা করি তারা মূলকোন শব্দ দিয়ে খোঁজ করার উপর নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ পদ্ধতি চালু করেছে। যেমন চীনে রয়েছে গ্রেট ফায়ারওয়াল (জিডাব্লিউএফ) পদ্ধতি। এ ধরনের পরিস্থিতি ইরান ও চীনের মত দেশের সাধারণ ঘটনা।

সাইবার এক্টিভিজমের ক্ষেত্রে বলা যায়, আমি মনে করি এটি দৃশ্যমান। সরকারের নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরিমাণ দিন দিন আরো কঠিন হচ্ছে। আমরা আশা করি ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে যারা অবস্থান করছে তাদের নিজস্ব কণ্ঠস্বর রয়েছে, এমনকি যদি তা আওয়াজে ভর্তি কোন কণ্ঠস্বর হয়। কিন্তু সে সব স্বর যেন সবার কানে যায়। আমরা আশা করি, এ ধরনের কণ্ঠস্বর তুলে ধরার ক্ষেত্রে আরো বেশি লোক অবদান রাখবে। চীনে, এমনকি সারা বিশ্বে এ ধরনের সহযোগিতার মাধ্যমে যত দ্রুত সম্ভব কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জিত হবে। টুইটার.কম খুব সহজেই আমাদের একে অন্যকে যুক্ত করতে পারে।

এখন পর্যন্ত এর উপর সাড়া কেমন পেয়েছেন?

আমরা বেশ কিছু সাড়া পেয়েছি, যেমন ছবিকে নতুন করে সাজাতে লোকজন আমাদের সাহায্য করেছে। এই বিষয়টি করেছি ইরানের লোকদের সমর্থন করতে এবং ইংরেজী থেকে চৈনিক ভাষায় অনুবাদ করার জন্য। এ ব্যাপারে আরো সাড়া প্রদান করা হয়েছে টুইটার.কম-এর আরটি-তে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .