মিশর: নিদাল হাসান- মনোবিজ্ঞানী নাকি মানসিক রুগী?

মেজর নিদাল হাসান আরব বংশদ্ভুতদের আমেরিকার সেনা মনোবিজ্ঞানী যিনি সম্প্রতি পাগলের মতো গুলি চালান টেক্সাসের ফোর্ট হুডে, যার ফলে ১২ জন সেনা আর একজন সাধারণ নাগরিক মারা যান। এখন পরিকল্পিত হত্যাকান্ডের অভিযোগ এসেছে তার বিরুদ্ধে। মিশরী ব্লগাররা প্রশ্ন করেছেন সে কি, “মনোবিজ্ঞানী নাকি মানসিক রুগী?”

নাওয়ারা নেগম তার প্রতি সহানুভুতি জানিয়েছেন:

اكيد سمع هلاوس كتير من الظباط اللي جايين من العراق بعد ما قتلوا اطفال وستات
كان عايز يسيب الخدمة وطلبه اترفض
وكل محامي عشان يرفع له قضية عشان يسيب الخدمة
فكان الرد انهم قالوا له: انت ح تروح العراق
তিনি ইরাক থেকে ফেরা সেনাদের কাছ থেকে হয়তো ভয়ঙ্কর গল্প শুনেছেন; যেসব সেনা নিরস্ত্র নারী আর শিশুদের মেরেছে। তিনি সেনাবাহিনী ছাড়তে চেয়েছিলেন কিন্তু তার অনুরোধ উপেক্ষা করা হয়। তিনি মামলা পর্যন্ত করেছিলেন অব্যাহতির জন্য, আর এর প্রতিক্রিয়ায়, তাকে জানানো হয় যে তাকে ইরাকে পাঠানো হবে।

হাসান এল হেলালি মনে করেন তিনি মানসিক রুগী:

بفضل هذا المعتوه الحقير سيعيش العرب والمسلمين في الغرب لشهور وربما لسنوات وهم مطالبين مرة أخرى بإثبات برائتهم من تهمة ممارسة التقية والكذب… وادعاء الشرف والإنصهار في المجتمع حتى تتاح لهم الفرصة ليفجروا أنفسهم وسط الأبرياء. بفضل هذا المجرم ستزيد رزالة القائمين على منح تأشيرات الدخول للبلاد المتحضرة، ومعهم كل الحق، وستتعطل المصالح ويحرم المريض من العلاج في الخارج والطالب من بعثة التعليم والسائح من المتعة والثقافة وسيصبح كل عربي ومسلم في الغرب متهماً حتي ولو ثبتت برائته بالإرهاب والوحشية والخسة والخيانة للمجتمع الذي ضمه وعلمه ورباه حتى وصل لرتبه عسكرية راقية وتخصص علمي متميز ومنحه الأوسمة والنياشين وفرصة حياة لا يحلم بعشرها في بلاده عديمة العلم والثقافة والفن والجمال والحرية والكرامة… برافو… الله أكبر والعزة للعرب.
এই উন্মাদের জন্য পশ্চিমে বসবাসকারী আরব আর মুসলিমদের অনেক মাস বা বছর লেগে যেতে পারে আবার প্রমাণ করতে যে তারা ছলনা- মুক্ত আর তারা তাদের আতিথ্যকর্তা দেশের সমাজের সাথে একাত্ম হয়ে গেছেন যতক্ষণ না আমরা আবার এমন কোন বোকার কথা জানতে পারি যে নিজেকে একদল নিরপরাধ সাধারণ মানুষ সহ উড়িয়ে দেবে। এই ধরনের অপরাধ মূলক কাজের জন্য আরো বেশী সভ্য দেশের ভিসা দেয়া হবে না, তা ব্যবসা, বেড়ানো, শিক্ষা বা স্বাস্থ্যগত কারনে হোক। তার কারনে পশ্চিমের সকল আরব আর মুসলিম সন্ত্রাসবাদ, নিশংসতা, বিশ্বাসঘাতকতা আর যে হাত তাকে খাইয়েছে তাতে কামড় দেয়ার অপরাধে দোষী হবে, অন্য কিছু প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত।

ওয়াএল নাওয়ারা সবাইকে মনে করিয়ে দিতে চান যে:

জুন ২০০৭ এর শেষের দিকে, জনাব হাসান তার সুপারভাইজারদের আর আরো ২৫ জন মানসিক স্বাস্থ্যের কর্মীদের সামনে দাঁড়িয়ে মুসলিম দেশ ইরাক আর আফগানিস্তানে যুদ্ধরত যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী ইসলাম, আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী আর মুসলমানদের কাছ থেকে কি কি বিপদের সম্মুখীন হতে পারে সে সম্পর্কে একটি বক্তৃতা দিয়েছেন। ওয়াশিংটন পোস্ট এই উপস্থাপনার একটা কপি জোগাড় করেছে।

“সেনাবাহিনীতে কর্মরত মুসলমানদের জন্য ক্রমে কঠিন হয়ে পড়ছে নৈতিকভাবে সেনাবাহিনীকে সমর্থন করা যা সব সময়ে মনে হচ্ছে মুসলমানদের বিরুদ্ধে নিয়োজিত,” তিনি বলেছেন সেই উপস্থাপনায়।

আমেরিকায় থাকা লেবানিজ ড: আসাদ আবু খলিল – দ্যা অ্যাংরি আরব- একটি সংবাদপত্রের রিপোর্টের উদ্ধৃতি দিয়েছে যেখানে বলা হয়েছে:

“ একজন সাদা মানুষ যখন পোস্ট অফিস উড়িয়ে দেয়, তারা এটাকে পোস্টাল হয়ে যাওয়া বলে,” বলেছেন ভিক্টর বেঞ্জামিন ২, ৩০, সেনাবাহিনীর ভূতপূর্ব সদস্য।“ কিন্তু একজন মুসলমান এটা করলে, তারা এটাকে জিহাদ বলে।“

আর মিশরীয় স্যান্ডমাঙ্কি এই বিষয়ে লেখা থেকে বিরত থেকেছেন কারণ:

আমি যা কিছুই ভাবি না কেন তা বিকৃত শোনাবে। আমি বলতে চাচ্ছি যে গুলি চালালেন সে আরব, মুসলিম আর আরো খারাপ যে সে ফিলিস্তিনি। বলার কি আছে? এটা প্রথক একটা ঘটনা? আর কখনো এটা হবে না? এর মানে এই না যে সেনাবাহিনীতে যত আরব বা মুসলিম আছেন তারা এই ধরনের আচরণ করবেন? আসলেই? আমার কি এটা বলার প্রয়োজন আছে? কি বলার আছে?

আমি আসলে দুটা জিনিষ ভাবতে পারি: ১) আক্রান্তদের পরিবারের জন্য আমার সহানুভূতি আর ২) সকল আরব বা মুসলিমের নামে যারা এখন আপনার কাজের জন্য ভুগবেন: আমি আশা করি এই জীবন বা এর পরের কোনটাতে আপনি এক মুহুর্তের শান্তি যেন না পান!

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .