কাজাখস্তান: অর্থনীতির ধাঁধা, যৌনমতবাদ ও বিজ্ঞান শিক্ষায় মানের পতন

গত সপ্তাহে কাজাখস্তানের ব্লগাররা সামাজিক প্রেক্ষাপট নিয়ে আলাপ করেছে, অনলাইনের এই আলাপে কাজাখস্তানের বিভিন্ন সামাজিক বিষয় উঠে এসেছে।

ব্লগার লর্ড ফেম দেশটির কর আদায়কারী কর্তৃপক্ষের অফিসে গিয়েছিলেন। সেখানে যাবার পর তিনি আবিষ্কার করেন নিয়মানুযায়ী তার কোম্পানীতে যথেষ্ট সংখ্যক কর্মচারী নেই, যার মানে একটি “শিল্প প্রতিষ্ঠানে গড়ে যতটা কর্মচারী” থাকা প্রয়োজন তার প্রতিষ্ঠানে তার চেয়ে অনেক কম কর্মচারী রয়েছে [রুশ ভাষায়]।

এই আইনের সব চেয়ে বাজে দিকটি কি হতে পারে? আমরা কতটা মূর্খ যে সকল কোম্পানীকে একই সমান মান সম্পন্ন শিল্প বলে ধরে নিচ্ছি?

অর্থনৈতিক বিষয়ের উপর ব্লগে আলোচনা করা হয়েছে, থাউজেন্ড-পা বুঝতে পারছেন না কেন সরকারের আশাবাদ ব্যক্ত করার পরেও কর্তৃপক্ষ সরকারি টাকায় চলা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধির পরিকল্পনার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে [রুশ ভাষায়]।

কেন আমরা সমস্যা শেষ হয়েছে বলে আলোচনা করছি, আবার প্রদান করা প্রতিশ্রুতি এক মাস পরে পালন না করার জন্য একই সমস্যাকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করছি?

কাজাখস্তানের কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি বিষয়ে আলোচনার অভাব নিয়ে ডি-লাভ নামের ব্লগার যথেষ্ট পরিমাণ সচেতন [রুশ ভাষায়]:

এখানকার মেয়েরা উত্তরাধিকারসূত্রে পুরুষ আধিপত্যবাদকে সর্ব স্তরে এবং সর্বপ্রকারে গ্রহণ করে নেয়। এ কারণে আমাদের দেশকে গতানুগতিক ভাবে বলা যায় এশিয়ার এক দ্বিতীয় বিশ্বের দেশ। অফিসের বসের সাথে রাত্রি যাপন এ দেশে বড় ধরনের এক সম্মানের বিষয় বলে বিবেচিত হয়। যদি কোন আকর্ষণীয় মহিলা কর্মচারী ব্যবস্থাপনা পরিষদ বা ম্যানেজমেন্টের সাথে ঢলাঢলি করার ইচ্ছা পোষণ না করে এবং তার বদলে যদি সে কর্মক্ষেত্রে বুদ্ধিমত্তা ও দক্ষতা প্রদর্শন করে তা হলে তাকে এক “প্রতিযোগী”, “বিপজ্জনক খেলোয়াড়” “কুক্কুরী (দুশ্চরিত্রা)” ইত্যাদি নামে তাকে ডাকা হয়।

কাজাখস্তানের সম্ভাব্য বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং শিক্ষা ব্যবস্থার গুণগত মান নিয়ে মেগাখুইমিয়াক চিন্তিত [রুশ ভাষায়]:

কাজাখস্তানের বিজ্ঞান শিক্ষার ইতিহাস বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে, আমাদের দীর্ঘ স্থায়ী নেতারা প্রকৃতি বিজ্ঞান, ভূতত্ত্ব, খনি প্রকৌশল, জীববিজ্ঞানের উপরই তাদের ভালোবাসা প্রদর্শন করছে। এই দেশে এখন আর এমন কোন বিজ্ঞানী নেই যাকে আন্তর্জাতিক মানের সাথে তুলনা করা যায়- এবং যারা এদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে একটা নির্দিষ্ট গুণগত মানে নিয়ে যেতে পারত, আমরা আর তাদের পাব না।

পিওয়াসিএম এক বিদ্রূপাত্মক প্রবচনের মধ্যে দিয়ে ঘটনার সার সংক্ষেপ তুলে ধরছে [রুশ ভাষায়]:

এখানে একটা ধাঁধা রয়েছে, ধাঁধাটি হল- এই দেশটির কোন সংস্কৃতি নেই, যদিও দেশটিতে একটি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় রয়েছে, অন্যদিকে বলা যায় দেশটির সর্ব স্তরে দুর্নীতি ছড়িয়ে রয়েছে, যদিও দেশটিতে কোন দুর্নীতি মন্ত্রণালয় নেই।

এছাড়াও লেখাটি নিউইউরেশিয়াতে পোস্ট করা হয়েছে (লেখাটি অনুবাদ করেছেন আন্দ্রে)

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .