মরোক্কো: একটি উদার শাস্তি

ব

বিচারের সময় জিনেব চিটিট। ছবি উজদাসিটির সৌজন্যে

গত সেপ্টেম্বরে আমরা জিনেব চিটিটের ব্যাপারে জানতে পারি। এই মরোক্কান তরুণীকে গৃহপরিচারিকা হিসেবে কাজের সময়ে খারাপ ভাবে মারা হয়। গত সপ্তাহে ঘোষণা করা হয় যে জিনেবের আক্রমণকারী, তার চাকুরিদাতার স্ত্রীকে এই অপরাধের জন্য ৩ বছরের জেল আর ১৩০০০ ডলার জরিমানা করা হয়েছে। অনেক মানবাধিকার সংস্থা এই শাস্তির ব্যাপারে বলেছেন যে এটা বেশী উদার হয়ে গেছে।

ব্লগার ক্রেজি মুর বলেছেন:

কিন্তু মরোক্কোন অধিকার সংস্থা বলেছেন তারা আবেদন করবেন দেশের ৬০ থেকে ৮০ হাজার শিশু শ্রমিকদের পক্ষে।

“ আমার বাচ্চাদের ছোঁবেন না” সংস্থাটার প্রধান নাজিয়া আদিব বলেছেন এই শাস্তি যে অত্যাচার করা হয়েছে তার সমান না কারণ এই বাচ্চা মেয়েটাকে সেলারে বন্ধ রাখা হয়েছিল।

পূর্ব মরোক্কোর শহর উজদাতে এই ঘটনা ঘটেছে। জনপ্রিয় ওয়েবসাইট উজদাসিটি.নেট, যারা নিজেদেরকে ‘পূর্ব মরোক্কোর প্রধান পোর্টাল’ বলে, এই ঘটনার ব্যাপারে মন্তব্য করেছে:

حكمت المحكمة الابتدائية بوجدة يوم الأثنين 12 أكتوبر 2009 بثلاث سنوات ونصف سجنا نافذا وتعويض مالي قدره 100 ألف درهم على زوجة القاضي مشغلة الطفلة زينب ، الحكم اعتبره عدة محامين بوجدة انه كان قاسيا ، ولم يأخذ بعين الاعتباراي ظرف من ظروف التخفيف … وهو حكم فاجأ الجميع لأنه جاء خلافا لما كان يردده الرأي العام الذي كان يتوقع ان يكون الحكم لا يتجاوز بضعة اشهر

অক্টোবর ১২, ২০০৯, সোমবার, উজদার [পূর্ব মরোক্কো] প্রথম ঘটনার আদালত সাড়ে তিন বছরের জেল (কোন অপেক্ষা ছাড়া), আর অর্থনৈতিক জরিমানা ১০০০০০ দিরহাম (আমেরিকান ডলার ১৩০০০) ধার্য করেছেন সেই বিচারকের স্ত্রীর বিরুদ্ধে যিনি শিশু জিনেবকে চাকুরিতে রেখেছিলেন। উজদার অনেক আইনজীবী এই রায়কে কঠোর মনে করেছেন। আদালত অপরাধ মোচনের কোন পরিস্থিতি আমলে না নেয়ায়… রায় সবাইকে অবাক করেছে কারণ জনগণ যা ভাবছিলেন এটা তার উল্টো: কয়েক মাসের বেশী জেল না।

কিছুটা শ্লেষাত্মক ভাবে সলিডারিটে মারোখ মন্তব্য করেছে:

Malgré les dénonciations concernant les deux époux, seule l'épouse a été inculpée, alors que le juge a été innocenté. Encore une illustration de la justice, au Maroc.

এই দম্পতির বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্ত্বেও, কেবলমাত্র স্ত্রীর শাস্তি হয়েছে আর বিচারকটি মুক্তি পেয়েছেন। মরোক্কোর বিচারের আর একটা নমুনা।

ব্লগার মুস্তাপা মুদিন সম্মিলিত ব্লগ সিদিস্লিমানের শিশু শ্রমের অনুষ্ঠান নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে, এই বিষয়ে বলেছেন:

يجب الآن الانتقال إلى المرحلة الثانية، وهي التحسيس ومواجهة الظاهرةومحاربتها في العمق
أي أن المشكل في فقر الأسر التي تبعث بناتها للاشتغال…
. لكن هناك كذلك مشكل الوعي بخطورة القضية، وبالتالي لا تكفي القوا

প্রচারণার দ্বিতীয় স্তরে আমাদের যাওয়া উচিত না আর এই সমস্যা [শিশু শ্রম] নিয়ে সমূলে কথা বলা উচিত না। অভাবের কারনে অনেক দরিদ্র পরিবার তাদের বাচ্চাদের কাজে পাঠায়।

কিন্তু একই সাথে এই গুরুতর সমস্যা নিয়ে সচেতনতার প্রশ্ন আছে, যেটার ব্যাপারে আইন অপ্রতুল।

এই ব্লগার সচেতনার ব্যাপার নিয়েও মন্তব্য করেছেন যেটা আইন পরিবর্তিত করতে পারবে না:

يجب التركيز على مسألة الوعي، والتحسيس بمختلف عواقب تشغيل الفتيات… وهو ما يتطلب كذلك إعمال النصوص القانوينة الخاصة بالموضوع، وإشعار السلطات المعنية بضرورة القيام بواجبها، ومن ذلك اتفاقية حقوق الطفل التي صادق عليها المغرب، ومدونة الشغل التي تجرم تشغيل من هو/هي في أقل من 15 سنة، وكذلك قانون إجبارية تدريس الأطفال

আমাদের উচিত সচেতনতা আর মেয়েদের বিভিন্ন পরিস্থিতির তথ্যের দিকে জোর দেয়া… এটার জন্য আইনের সংস্কার দরকার, আর কর্তৃপক্ষকে তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে সজাগ হতে হবে শিশুদের প্রতি অধিকার নিয়ে যা মরোক্কো অনুসমর্থন করেছে। তার দায়িত্ব আর শ্রম কোড নিয়েও কথা বলা দরকার – যা শিশুশ্রমকে অপরাধের পর্যায়ে ফেলে, যা ১৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের উপরে অর্পিত কাজকে বোঝাবে, আর আইনের ব্যাপারেও – এই দেশের সব শিশুদের জন্য শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে।

এই পোস্টে সাহায্যের জন্য হিশামকে বিশেষ ধন্যবাদ।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .