ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র: সৈকতে নিয়ন্ত্রিত প্রবেশাধিকার?

ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রে সাংবিধানিক সংস্কার চলছে, আর সাম্প্রতিক কালে এর ধারা ৬৯ অনুমোদন নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিতর্কিত ধারাটি নিচের ব্যাপারটা স্থাপিত করেছে: ”নদীর উজানের অঞ্চল আর আঞ্চলিক, স্থানীয় আর অভিবাসী এলাকাগুলো বিশেষ ভাবে জনসাধারণ দ্বারা সংরক্ষিত হতে হবে জাতির মৌলিক সম্পত্তি হিসেবে এটার ব্যবস্থাপনা আর সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে। জাতীয় নদী, লেক, ল্যাগুন, সৈকত আর উপকূল জনগণের সম্পত্তি আর স্বাধীন ভাবে এখানে যাওয়া যাবে, যখন নিজস্ব সম্পত্তির অধিকার সম্মানিত হবে। এই আইন পরিস্থিতি, মান আর ধারা নিয়ন্ত্রণ করবে যেখানে ব্যক্তি এই সব এলাকার ব্যবস্থাপনার বা ভোগের আনন্দ পরিমাপ করতে পারবে।“

ছবি রশিও ডিয়াজের সৌজন্যে

ছবি রশিও ডিয়াজের সৌজন্যে

ধারার দ্বিতীয় অংশ, যেখানে সৈকতের সবার যাতায়াতের কথা বলা আছে ব্যক্তিগত সম্পত্তির অধিকার সম্মানিত হবার শর্তে, তা জনগণের অসন্তোষের সম্মুখীন হয়েছে। তারা মনে করছেন যে এই ধারা যেখানে ব্যক্তিগত বিনিয়োগ আছে, অন্য কথায়, হোটেল, ক্লাব বা অন্য স্থাপনা সেসব সৈকতে তাদের যাওয়ার অধিকার খর্ব করছে। সংবাদপত্র, ব্লগ আর টেলিভিশনের অনুষ্ঠান এটাকে এইভাবে ব্যাখ্যা করছে ফলে সৈকতে যাওয়ার অধিকারের ব্যাপারটি জনগণের বিক্ষোভের বিষয়ে পরিণত হয়েছে। এই বিক্ষোভ টুইটার আর ফেসবুকেও ছড়িয়েছে। ফেসবুকে একটি গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে যাতে আহ্বান করা হয় সৈকতকে ব্যক্তিগত মালিকানাধীন না করার জন্য, অনেকের ভয় এই সংবিধান সংশোধন তা করবে।

টয় জারতো ব্লগের ম্যানুয়েল মোয়েসেস মোন্টাস এই ভীতির কারণ ব্যাখ্যা করেছেন:

Una vez reconocidos los derechos de apropiación y explotación a título exclusivo de las playas dominicanas, es de esperarse que algunos particulares (gente con dinero) procedan a adueñarse de las que resulten más hermosas, mejor ubicadas o idóneas para la explotación turística, relegando así al grueso de la población a playas de segunda o tercera categoría que, andando el tiempo, no tardarán en deteriorarse con motivo de la afluencia masiva de personas huérfanas de recursos para ir a bañarse en las playas privatizadas.

একবার ডোমিনিকানের সৈকতের ভাগ আর ব্যবহার ঠিক হয়ে গেলে এটাই স্বাভাবিক যে কিছু মানুষ (যাদের অর্থ আছে) সব থেকে সুন্দর সৈকতের নিয়ন্ত্রণ নেবেন যেখানে সব থেকে ভালো আর সঠিক এলাকা থাকবে পর্যটকদের ব্যবহারের জন্য, আর সাধারণ জনগণ দ্বিতীয় বা তৃতীয় শ্রেনীর সৈকতে পৌঁছে যাবে, সময়ের সাথে সাথে, যেটা নষ্ট হতে বেশী সময় লাগবে না কারণ অনেক মানুষ কম অর্থ নিয়ে সেখানে যাবেন যারা ব্যক্তিগত সৈকতে যেতে পারছেন না।

ধারা ৬৯ এর এমন খারাপ প্রতিক্রিয়া সত্ত্বেও, অনেকে মনে করেছেন যে যেসব সৈকতের সাথে হোটেল আছে সেখানে যাওয়া বরাবরই নিয়ন্ত্রিত, কিন্তু এখন পার্থক্য হল এটা এখন সংবিধান দ্বারা প্রতিষ্ঠিত। কেউ কেউ আবার এই ধারণার পক্ষে যে সৈকত নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। ব্রাকুতা ব্লগের এনেদিনা পেরেরা যেসব ডোমিনিকান বিক্ষোভ করছেন তাদেরকে আহ্বান করেছেন ব্যবসায়ীদের দৃষ্টিতে এটা দেখতে যারা একটা সৈকতকে পরিষ্কার করে উন্নত করেছেন যথাযথ অবসর যাপনের স্থান হিসেবে। একই সাথে পেরেরা চিত্রের মাধ্যমে একটা তুলনা করেছেন ব্যক্তিগত আর জনগণের জন্য খোলা সৈকতের মধ্যে, যেখানে তিনি জোর দিয়েছেন এইসব সৈকতে যেসব ডোমিনিকান যান তাদের সাধারণ খারাপ ব্যবহারের উপরে।

ধারা ৬৯ নিয়ে এত বিক্ষোভ হয়েছে যে হোটেল আর রেস্টুরেন্টের জাতীয় এসোসিয়েশন (আসোনাহোরস) গত ৮ই সেপ্টেম্বর জাতীয় দৈনিকে একটা বিষয় পরিষ্কার করেছে বার্তা দিয়ে, যেখানে তারা বলেছেন যে এই নতুন ধারা অগ্রগতির নির্দেশক কারণ এটা সমন্বয় সৃষ্টি করেছে প্রাকৃতিক বস্তু ব্যবহারের আর ব্যক্তিগত সম্পত্তির অধিকারের মধ্যে। এইসব কথা সত্ত্বেও ৮ই অক্টোবর থেকে বিক্ষোভ হচ্ছে, আর সব থেকে বড়টা হয়েছে ৯ই অক্টোবর এ জাতীয় কংগ্রেসের সামনে তরুণদের অংশগ্রহণে যেখানে তারা সৈকতের কাপড় পরে আর সাইন নিয়ে ঘুরেছেন ‘এটা আমার সংবিধান না’ লেখা সহকারে। একই শ্লোগান আরো অনেক শহরের দেয়ালে দেখা গিয়েছে যেমন সান্তো দোমিঙ্গো, সান্তিয়াগো আর অন্যান্য যায়গায়।

যে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে তা জনগণের একটা বিশাল অংশ সমর্থন করছেন, ভিন্ন সামাজিক অবস্থানের বৃদ্ধ আর তরুণ, যার মধ্যে আছেন ব্লগ আহি এ কুই প্রেন্দের লেখক, যিনি এই বিক্ষোভকে হঠকারী কাজ মনে করছেন। তিনি দেখিয়েছেন যে একটি লেখার খারাপ ব্যাখ্যার কারনে এমন হচ্ছে। কারণ হোটেলের সাথে থাকা সৈকতে “তাদের অতিথিদের জন্য সংরক্ষিত যাতায়াত” এই কথা বরাবরই লেখা ছিল। এটা সত্ত্বেও আহি এ কুই প্রেন্দে ব্লগের লেখকেরা মনে করেন যে সাম্প্রতিক সংবিধানের সংস্কারে খারাপ কাজ হয়েছে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .