মিশর: কপ্ট ধর্মীয় ব্যক্তির নির্বাচনে রাষ্টপ্রতি পদপ্রার্থী হওয়া

২০০৫ সালে আল ঘাদ পার্টির আইমান নুর নিউ ওফাদ পার্টির নোমান গোমা রাষ্ট্রপতি হোসনি মুবারকের বিপক্ষে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন। নুরের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও গোমার বিপক্ষে উন্মাদনার অভিযোগ আনা হয়!

২০০০ সাল থেকে গামাল হোসনি মুবারক তার পিতার উত্তরসুরি হিসেবে বেড়ে উঠছে। ভবিষ্যতের রাষ্ট্রপতি হিসেবে তার এই বেড়ে ওঠা কোন বিশেষ বিরোধীতা ছাড়াই ঘটছে। ২০০৯ সালে গামাল মুবারক তার এক বিশেষ উদ্যোগ শারেক [অংশগ্রহণ] চালু করেন, যেখানে তিনি এক উন্মুক্ত অনলাইন সভা তৈরি করেছেন (শারেক ফোরাম)। সেখানে তিনি প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন, ইন্টারনেট জানা মিশরীয়দের শারেকে রাখা সকল প্রশ্নের উত্তর তিনি নিজে প্রদান করবেন। পরে মিশরীয় গায়ক মোহসেন এল সাইয়াদ তার নিজস্ব উপায়ে গামাল মুবারকের পক্ষে প্রচারণা চালানোর উদ্যোগ নেন [আরবী গান]। এই গানের শিরোনাম, গামাল মুবারক… কেন নয়?

গুজব রয়েছে যে মিশরীয় গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান ওমার সলিমানও আগামী রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক যা ২০১১- এর জুনে অনুষ্ঠিত হবে, একটি ব্লগ এবং ফেসবুক গ্রুপ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যে তারা সলিমানকে সমর্থন করবে।

আজ বিকেয়া মাসার এর আবদেল সালাম জানাচ্ছেন: এক কপ্টিক ধর্মের আইনজীবী রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে নিজের প্রার্থীতা ঘোষণা করেছেন

মিশরের ইতিহাসে এটি এক নজীর বিহীন ঘটনা, কপ্টিক আইনজীবী মামদুহ রামজী ২০১১ সালে অনুষ্ঠিতব্য মিশরের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে নিজেকে এক প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তিনি প্রথম ব্যক্তি যিনি দেশটির সেরা পেশায় কাজ করার ইচ্ছায় নিজের নাম পেশ করলেন। রামজী স্থানীয় এক পত্রিকা আল- ইয়োউম আল-সাবায় দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে বলেন, তার প্রার্থীতা নিয়ে যে গুজব শোনা যাচ্ছে তা সত্যি।

আমি প্রথম মিশরীয় কপ্ট, যে রাষ্ট্রপতি পদের জন্য প্রার্থীতা ঘোষণা করলাম। মিশরের সেরা চাকুরি রাষ্ট্রপতি পদ, এর মনোনয়ন পাবার জন্য যা যা দরকার সে সব পূরণ করার পর তিনি একথা বলেন।

এই ব্লগার জানাচ্ছেন এই ব্যাপারে চার্চের অবস্থান:

বিখ্যাত কপ্ট আইনজীবীর রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে লড়াইয়ের সিদ্ধান্তকে অর্থডক্স ও প্রটেস্টান্ট চার্চ স্বাগত জানিয়েছে। তারা বলছে, এই সিদ্ধান্ত জাতীয় ঐক্যের প্রতীক, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের শর্তানুসারে ও সাংবিধানিক মতে রামজি এক অন্যতম প্রার্থী।

তবে দেশটির ক্যাথলিক চার্চ এই মনোনয়নকে, সংবিধান বিরোধী বলে উল্লেখ করেছেন।

সালিব মাট্টা সোয়ারিস, যিনি চার্চ অফ দা সেন্ট জর্জ এর যাজক তিনি বলেন, “চার্চ দেশটির রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রথম কপ্টিক প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারীকে তার রাজনৈতিক চিন্তার জন্য স্বাগত জানান। দেশটির রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের জন্য সে নিজেকে মনোনীত করেছে।

কিন্তু তিনি যুক্তি দেখান, এই কাজটি কাজ হবে না, এই পদে বলাই বাহুল্য যে ধর্মের সংখ্যাগরিষ্ঠতা বেশি তাদেরই প্রার্থী গ্রহণযোগ্য হবে। এর মানে একজন মুসলিম এই পদে বেশি মানানসই। সোয়ারিস ব্যাখ্যা করেন, এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার শর্ত পূরণ করা যে কোন মিশরীয় প্রার্থীকেই তারা স্বাগত জানাবে। কিন্তু তিনি মনে করে এটা “সময়ের অপচয় মাত্র”, কারণ যখন কেউ সিদ্ধান্ত নেয়, সে নির্বাচনে লড়বে তা হলে অবশ্যই তাকে নির্বাচনের আগে এই ব্যাপারে গবেষণা এবং পরিকল্পনা করতে হবে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .