জর্ডান: স্বপ্নের ট্রেন যেটা আদতে তেমন হয় নি

দেশে বাসিন্দাদের জন্যে ভাল যাতায়াতের ব্যবস্থা না থাকলে কর্মরতদের জন্য রোজ কাজে যাওয়া আসা অনেক কষ্টকর। জর্ডানের ওসামা আল রোমোহ লিখেছেন জর্ডানে এক পুনরুজ্জীবিত স্বপ্নের ট্রেন যোগাযোগের কথা যা আদতে তেমন হয় নি।

সিরিয়ার দামাস্কাসে হিজাজ রেল স্টেশন

সিরিয়ার দামাস্কাসে হিজাজ রেল স্টেশন

এই ব্লগার দৃশ্যপট এভাবে সাজিয়েছেন:

أين القطار؟ نريد قطاراً.. نريد أن نواكب التطوّر كما دول العالم.. في مصر مترو أنفاق منذ عشرات السنين، ونحن لدينا سكّة حديد تُستعمل كَمَكب للنفايات، المواصلات صعبة جدا، ولا نستطيع أن نصل إلى أعمالنا في الوقت المناسب.. نريد قطاراً.. نريد قطاراً.
هذا ما واظب الشعب الكريم على تكراره وطلبه وكأنّهم ينتظرون القطار بفارغ الصبر لكي “يتشعبطوا” عليه لعدم وجود مقاعد شاغرة..
ট্রেন কোথায়? আমরা বাকি বিশ্বে সাথে তাল মিলিয়ে থাকতে চাই। মিশরে, অনেক বছর ধরে তাদের পাতাল রেল আছে আর আমাদের আছে একটা রেল যেটা ময়লা ফেলার স্থান হিসেবে ব্যবহৃত হয়। যাতায়াত আসলেই কষ্টকর আর আমরা কাজের জায়গায় সময় মতো পৌঁছাতে হাতে পারি না। আমরা একটা ট্রেন চাই… আমরা একটা ট্রেন চাই…

… এটা মানুষ বছরের পর বছর বলে যাচ্ছেন যেন তারা এই ট্রেনে ঝুলে থাকার অপেক্ষায় ছিলেন, অন্যান্য যানে ভীড় আর আসন না পাওয়ার কারনে।

আর এখন যখন তাদের স্বপ্ন সত্যি হয়েছে:

أمّا الآن..
جاء القطار الحجازي الذي يربط مدينة الزرقاء بعمّان، وتم الإعلان عنه، وقام “الشوفير” بتشغيله، و “شَمَّر الكنترولية” عن أكمام قمصانهم استعداداً للعمل، وانطلق القطار بـ 6 ركاب فقط شامل الصحافية من جريدة الرأي ووالدتها، أي أنّ العدد الفِعلي للزبائن الذين دفعوا “ربع دينار” أجرة القطار هم فقط 4 أشخاص، بالرغم من أنه يتسع لـ 300 راكب.
তবে এখন হিজাজ রেল আবার খোলার পরে, এখন একটা ট্রেন হয়েছে যেটা জার্কার শহরকে আম্মানের সাথে সংযুক্ত করে। এই প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়েছিল, চালকেরা ইঞ্জিন চালু করেছিলেন আর কন্ডাক্টররা হাত গুটিয়ে কাজের জন্য প্রস্তুত হয়েছিলেন। কিন্তু ট্রেন মাত্র ছয়টা যাত্রী নিয়ে স্টেশন থেকে রওয়ানা দেয়, যার যাত্রীর মধ্যে আল রাই সংবাদপত্রের একজন সাংবাদিক আর তার মা ছিলেন। যার মানে এক দিনারের চার ভাগের এক ভাগ ভাড়া যারা দিয়েছেন তাদের সংখ্যা মাত্র চারজন, যদিও ট্রেনে ৩০০ যাত্রীর স্থান ছিল।

আল রোমোহ ভেবেছেন কেন আরো বেশী লোক এই যাত্রায় আসে নি:

قد يكون سبب عزوف الناس عن ركوب القطار هو أن سِكّتَه لا توحي بالأمان أبداً، لذا أقترح وضع لافتة على بابه مكتوب عليها “لا تنسَ أن تتشهَّدَ قبل الركوب”، وأقترح أن يتم تزويد السائق بمايكروفون يصل صوته لجميع الركاب مُردّداً “إنّا لله وإنّا إليه راجعون”.. تحسباً لأي مُصيبة.
মানুষ কেন এই ট্রেন কে গ্রহণ করেনি তার মূল কারণ হল এর লাইন নিরাপদ মনে হচ্ছে না। আমি পরামর্শ দেব দরজায় একটা লেখা দেয়ার জন্য যাতে যাত্রীরা তাদের শেষ ইচ্ছা এই ট্রেনে যাত্রার আগে পড়ে নেন। কন্ডাক্টরকে একটা মাইক্রোফোন ও দেয়া উচিত যেটা সব কেবিনের সাথে সংযুক্ত থাকবে যেখানে তিনি ঘোষণা দেবেন যে আমরা সবাই আল্লাহর কাছে ফিরে যাব, কোন বিপদ যদি ঘটে তাহলে।
أقترح أيضاً أن يتم تزويد كل مقعد بمجلة صغيرة فيها نصائح للسلامة والأمان وتعليمات للتصرف حين حدوث كارثة لا سمح الله.
আমি আরো পরামর্শ দেব প্রত্যেক সিটের পকেটে কি করণীয় এটার একটা বুক লেট দেয়ার জন্য যাতে থাকবে যে জরুরী অবস্থায় কিভাবে প্রতিক্রিয়া করতে হবে।

আল রোমোহ যোগ করেছেন:

قد يكون سبب عزوف الناس عن ركوبه أيضاً هو أن عمر القطار 95 عاماً تقريباً، ومن المؤكّد أن كفالته انتهت عام 1915.
من المحتمل أيضاً أن الناس اعتقدوا أن القطار سيكون شبيهاً بقطار ماجليف الياباني أو أقل قليلاً، ولكنّ منظَرَه خَيَّبَ آمالهم.
মানুষ এটাকে এই জন্যও পাশ কাটাতে পারে কারণ এই ট্রেন ৯৫ বছরের পুরানো। এটা পরিষ্কার যে এর ওয়ারেন্টি ১৯১৫ এ শেষ হয়েছে। এটাও সম্ভব যে মানুষ মনে করেছেন যে এটা জাপানী ট্রেনের মতো উন্নত হবে, বা আর একটু কম, আর এর আসল চেহারা তাদেরকে বিচলিত করেছে।

ব্লগার তার বিস্ময় প্রকাশ করেই গেছেন যে একটা সার্ভিস সবাই চেয়েছিলেন সেখানে এত কম লোক এসেছে:

ما كَتبتُه في السطور السابقة من أسباب واقتراحات كان نتيجة صعقة أصابتني من خبر الـ 6 ركّاب، فكيف نطلب الخبز ونركض ركض الوحوش لأجله ثم عندما نجده نرميه؟
لا أستطيع أن أتفهم سبب حبنا للشكوى حتى وإن لم تكن لدينا مشاكل، فالكثيرون يشكون فقط لأجل الشكوى، وإن لم تكن لديهم مشاكل، يقومون باختراعها، وإن لم يستطيعوا لها اختراعاً، فهم يتخيلونها ويعيشونها وثم يبدأون “الشكونة”.. أردتم تشغيل القطار وتم تشغيله، أيُعقل أن يركبه في أول يوم 6 أشخاص فقط؟
إن أجرة القطار الحجازي تبلغ ربع دينار فقط، أتساءل إن كان ركوب القطار مجاني، فكم قطاراً سيلزم لسدّ حاجة آلاف الركّاب الذين يبحثون عن “المجاني”؟
আমি যা এতক্ষণ লিখেছি তাতে আমার বিস্ময় থেকে যাচ্ছে যে মাত্র ছয় জন যাত্রী উদ্বোধনী ট্রেনে চড়েছেন। আমরা কিভাবে রুটি চেয়ে পশুর মতো সেটা পাওয়ার জন্য দৌঁড়াতে পারি, আর একবার সেটা আমাদের হাতে আসলে সেটা ফেলে দেই? আমি বুঝতে পারি না আমরা অভিযোগ করতে কেন ভালবাসি যখন অভিযোগ করার কিছুই নেই, আমরা নিজেদের জন্য কিছু তখন তৈরি করে নেই। যখন আমরা বিপদ তৈরি করতে পারি না, আমরা তখন সেটা কল্পনা করে তার চাপে থাকতে থাকি। আপনারা কার্যকর একটা ট্রেন চেয়েছিলেন, আর এখন একটা ট্রেন কাজ করছে। তাহলে এটা কি করে সম্ভব যে উদ্বোধনের দিনে মাত্র ছয়জন এটা চড়ে? ট্রেনের ভাড়া এক দিনারের চার ভাগের একভাগ। আমি ভাবছি যাত্রা যদি বিনা মূল্যে হত তাহলে কয়টা ট্রেন লাগত এই হাজার হাজার যাত্রীর চাহিদা মেটাতে যারা বিনে পয়সায় যাবার ফন্দি আঁটছেন?

ছবি: ফ্লিকার ব্যবহারকারী আলাজাতের সৌজন্যে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .