ইকুয়েডর: লেখক হবার হতাশা

জর্জ এডোউম এর মতো আরো একজন লেখক পেতে হয়তো ইকুয়েডরকে আরো অপেক্ষা করতে হবে। তবে বই পড়ার অভ্যাস ইকুয়েডরে এখনও জীবিত এবং তা শক্তিশালী ভাবে রয়েছে এবং একদল তরুণ লেখক সংঘ এ ব্যাপারে পাঠকদের নাড়া দিয়ে যাচ্ছে, যারা ইকুয়েডর সাহিত্যে তাদের চিহ্ন রেখে যাচ্ছে। তারপরেও দেশটিতে একজন লেখক হবার পরিণতি হতাশায় পরিণত হয়। যেমন আন্তর্জাতিক মানের লেখকদের সাথে তুলনার কারনে এবং রাজনৈতিকভাবে কারো লেখা গ্রহণ করার কারনে তারা হতাশ হয়ে পড়ে। তবে এইসব লেখকের মধ্যে অনেকে দেশটিতে লেখালেখির এক উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ দেখতে পান এবং তারা লেখাকে তাদের পাঠকদের হাতে তুলে দিতে চান।

আর্জেন্টিনার বুয়েনোস আয়ার্সের বই মেলা, ছবিটি রাউল ফারিয়াসের এবং তা অনুমতিক্রমে ব্যবহার করা হয়েছে।

আর্জেন্টিনার বুয়েনোস আয়ার্সের বই মেলা, ছবিটি রাউল ফারিয়াসের-এবং তা অনুমতিক্রমে ব্যবহার করা হয়েছে।

এ রকমই একজন লেখক রাউল ফারিয়াস, যার ব্লগের নাম এল লাডো ডেল কামিনো [স্প্যানিশ ভাষায়]। তিনি সারা বিশ্ব ঘুরে বেড়িয়েছেন এবং সেই সমস্ত এলাকা দেখেছেন যেখানে পাঠকেরা ভিন্ন ভিন্ন ধরনের বই বেছে নিতে পারে। ওই সমস্ত শহরে বই পড়া জীবনের এক মূল অভ্যাস। তবে তার নিজের শহরের নাম গুয়াইয়াকিল। এই শহরের তাপমাত্রা মধ্য দুপুরে কখনো ৩০ ডিগ্রী সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠতে পারে, এবং তার সাথে উচ্চ মাত্রার আর্দ্র আবহাওয়া বজায় থাকে। সেখানে এমন কোন “বইয়ের বাজার” নেই, যেখানে কেউ সাহিত্যের বই কিনতে পারে। তার বদলে সেখানে কিছু বিকল্প জায়গা রয়েছে যেমন:

las esquinas de ventas de periódicos (debajo de los semáforos), en las afueras de la terminal de buses, en estériles sitios como farmacias y supermercados (además de las dos grandes librerías ubicadas en los centros comerciales, porque las del centro parecen más tiendas de útiles escolares), entre jeringuillas, pañales, frutas, embutidos y lácteos.

(ট্রাফিক লাইটের নিচে) এক কোনায় সংবাদপত্রের দোকান , বাস টার্মিনালের সামান্য বাইরে, এমন কোন জায়গায় যেখানে কল্পনার কোন স্থান নেই, যেমন ফার্মেসী বা সুপার মার্কেট (এর সাথে যোগ করা যায়, দু'টি প্রধান বইয়ের দোকান দু'টি শপিং মল এ অবস্থিত, কারণ এই দু'টি বড় দোকান সাধারণ বই কেনাবেচার চেয়ে স্কুলের পণ্য বেশি বিক্রি করে) যেখানে সুই, ডায়াপার বা শিশুদের ছোট প্যান্ট, ফল, সসেজ এবং দুগ্ধজাত পণ্য পাওয়া যায়, এক সাথে।

তবে এ রকম অনেক জায়গা ফারিয়াস দেখেছেন যেখানে কেবল নামকরা আন্তর্জাতিক লেখকদের বই বিক্রি হয়। যেমন লেখক পাওলো কোয়েলহোর বই সেখানে পাওয়া যাবে। এ সব জায়গায় ইকুয়েডরের লেখকরা ঠিকমতো উপস্থাপন হয় না।

এটা কোন বিষয় নয় যে, কোন জায়গায় বই কিনতে পাওয়া যায়, কিন্তু বই ইকুয়েডরিয়ান সমাজের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ। অন্য আরেক লেখক, এডোয়ার্ডো ভারাসের ব্লগ লিবরোস, অটোরেস ইয়া রেইসোগেস [স্প্যানিশ ভাষায়]। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন সাহিত্যের প্রতি জনপ্রিয়তা ও কৌতূহলের কারণে দেশটির শাসকরা বিষয়টিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ব্যবহার করতে চায়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় এল ভিয়াজেরো ডেল সিগলো (শতাব্দির ভ্রমণ) বইটির নাম, যার লেখক আন্দ্রেস নুমান। এই বইটির মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে যখন ইকুয়েডরের সংস্কৃতি মন্ত্রী বলেন, বইটির সাথে দেশটির সরকারের “নাগরিক বিপ্লবের” যোগাযোগ রয়েছে তখন ভারাস বিস্মিত হন। তিনি প্রশ্ন করেন, কেন তারা সাহিত্যকে নিজের পথে ছেড়ে দেয় না

¿Dónde está el problema de estas cosas? En que uno siente de manera abierta que las personas llamadas a dirigir o moverse en un espacio de servicio (no de poder) observan en el público o en los asistentes a un acto como ese a una bandada de estúpidos que podrá aceptar lo que sea, sin chistar. El concepto por encima del sentido común. Los aplausos a Salazar fueron pocos… la estupidez existe. Disculpen la dureza, no es mi intención ofender a nadie, pero no existe peor sensación para mí que me traten como tarado en actos como ese.

এদের সমস্যা কোথায়? কেন একজন খোলামেলা ভাবে অনুভব করে যে যারা ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণে থাকবে তারা সরকারি কাজেও ছড়ি ঘুরাবে (ক্ষমতার নয়) এই ভেবে যে, জনতা বা যারা এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবে তারা আসলে বেকুব শ্রেণীর এবং তাদের যা বলা হবে তারা তাই মেনে নেবে, কোন প্রতিবাদ ছাড়াই। এই সব ধারণা মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। সালাজারের (সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী) জন্য সামান্য হাততালি ছিল…তার বোকামি বজায় রইল। তার প্রতি এত কঠিন হওয়ার জন্য আমি দু:খিত। কাউকে আঘাত করা আমার উদ্দেশ্য নয়, কিন্তু এ রকম এক সমাবেশের মাঝে নিজেকে বোকা অনুভব করার চেয়ে বাজে অনুভূতি আর কিছু নেই।

কোন লেখকের সামনে আরেকটি সম্ভাব্য হতাশা আসতে পারে, যখন সে আবিষ্কার তার লেখার নকল কপি রাস্তায় বিক্রি হচ্ছে। এটা হিসেব করে বের করা হয়েছে যে নকল ব্যবসার কারণে ১৫,০০০ জন বেকার হয়েছে এবং ৫৫ মিলিয়ন ডলারের বেশি গচ্চা গেছে। এই টাকার কতটা লেখকের পকেটে এসেছে তা এখনও অজানা। তবে একজন লেখক রাফায়েল মেন্ডেজ মেনসা এই বিষয় নিয়ে চিন্তিত নন। তিনি কেবল চান তার কাজ তার পাঠকদের কাজে সহজেই পৌঁছে যাক এবং যত দুর পারা যায় বলেছেন:

El día que demanden a alguna loca por sacarle copias piratas a mis libros y regalarlas por todos lados, o por dedicarse a publicar en blogs todos mis puemitas todos, me prendo fuego.

যেদিন তারা কিছু উন্মাদ মহিলার বিরুদ্ধে মামলা করবে আমার বই নকল করার দায়ে এবং তাদের সেখানে ছড়িয়ে দেবে সব কিছু অথবা আমার সকল কবিতা ব্লগে প্রকাশিত হবে, তখন আমি আমার নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেব।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .