গ্যাবন: ঐতিহাসিক নির্বাচনে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর সোশাল মিডিয়া ব্যবহার

Bruno Ben Moubamba, presidential candidate in Gabon, uses new media to spread his message.

Bruno Ben Moubamba, presidential candidate in Gabon, uses new media to spread his message.

গ্যাবন ওমর বঙ্গোর মৃত্যুর পর প্রথম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। এই নির্বাচনে সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্য নিয়ে এরই মধ্যে একজন প্রার্থী ইতিহাস তৈরি করতে যাচ্ছে। তার নাম ব্রুনো বেন মোবাম্বা। তিনি একাধারে সাংবাদিক এবং ফ্রান্সের এডিথ স্টেইন ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর। তিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে গ্যাবনে ফিরে এসেছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে রয়েছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জ্যা আইগেহ নোডং এবং বঙ্গোর পুত্র। মোবাম্বা নির্বাচনী লড়াই সমান তালে করার চেষ্টা করছেন।

তিনি ওবামার প্লেবুক থেকে একটি পাতা নিয়েছেন। একদল অ্যাক্টিভিস্টকে এক করা এবং গ্যাবনে তার সমর্থকদের জড়ো করা এবং যারা দেশের বাইরে রয়েছে সেই সমস্ত প্রবাসীদের জন্য তার প্রচারণায় ইন্টারনেট ব্যবহার করা হচ্ছে। বেন মোবাম্বার প্রচারণায় যে কেবল ব্লগ ব্যবহার করা হচ্ছে তা নয়, তার সাথে সোশ্যাল মিডিয়ার যত মাধ্যম যেমন টুইটার, ফ্লিকার, ফেসবুক, ইউটিউব, হাই৫-এর সবোর্চ্চ ব্যবহার করা হচ্ছে। এটি পরিস্কার নয়, যে কত জন গ্যাবনবাসী এই সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করতে পারে। ধারণা করা যেতে পারে মাত্র দশ শতাংশ গ্যাবনবাসী ইন্টারনেট এ প্রবেশ করার সুযোগ পায়। যা তারা করতে পারে ব্যক্তিগত ভাবে অথবা সাধারণ সাইবার ক্যাফের মাধ্যমে।

জুনের আট তারিখে ৭৩ বছর বয়সে বঙ্গো মারা যান। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বঙ্গো ছিলেন আফ্রিকার সবচেয়ে দীর্ঘদিন ধরে শাসন করা শাসক। তিনি ৪১ বছর ক্ষমতায় ছিলেন। ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী হয়েছেন বঙ্গোর সন্তান। গ্যাবনে গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যের যথেষ্ট অভাব রয়েছে। আগস্টের ৩০ তারিখের নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে মোবাম্বা এক কঠিন লড়াইয়ের মুখোমুখি হচ্ছেন।

যে বছর বঙ্গো ক্ষমতায় আসেন সেই ১৯৬৭ সালে মোবাম্বার জন্ম। তিনি আফ্রিকার তরুণ প্রজন্মের নেতাদের প্রতিনিধিত্ব করেন। তার ব্লগে মোবাম্বা সেই ক্ষমতার কঠোর সমালোচনা করেছেন যাকে তিনি উল্লেখ করেন “দক্ষ অবদমন” বলে এবং তিনি আন্ত:প্রজন্মের মধ্যে আলোচনার আহ্বান জানান:

Je suis en ce moment en train de recomposer mon équipe pour passer de la pré-campagne à la campagne. Je travaille avec une centaine de volontaires. Je m’aperçois que les autorités de ce pays sont massivement rejetées par la population. Les participants des meetings des candidats gouvernementaux reçoivent entre 75 et 200 euros pour leur participation! On est en train d’acheter les Gabonais avec leur propre argent!

এই মুহূর্তে আমি আমার দলকে চেনার চেষ্টা করছি, প্রচারণার আগ মুহূর্ত থেকে প্রচারণার সময় পর্যন্ত। আমি ১০০ জন স্বেচ্ছাসেবী নিয়ে কাজ করছি। আমি আবিষ্কার করেছি এই দেশের কর্তৃপক্ষকে, এই দেশের জনগণ যাদের তীব্র ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। যারা সরকারি প্রার্থীর সঙ্গে আলোচনা করেছে. তারা এই আলোচনায় অংশগ্রহণের জন্য প্রত্যেকে ৭৫ থেকে ২০০ ইউরো পেয়েছে! তারা গ্যাবনের জনগণের নিজের টাকায় গ্যাবনবাসীকে কিনছে!

Or, voilà plusieurs semaines que le Parti démocratique gabonais actuellement au pouvoir tergiverse sur la désignation de son candidat aux futures élections présidentielles. Les tensions semblent fortes. M. Eyéghé Ndong, l’actuel Premier ministre, a par exemple déclaré ses dernières heures qu’il se plierait à un rejet de sa candidature, si cela s’effectuait dans des conditions démocratiques.

কয়েক সপ্তাহ পার হয়ে যাওয়ার পরও সামনে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া রাষ্ট্রপতি নির্বাচন উপলক্ষে বর্তমানে ক্ষমতায় থাকা দল গ্যাবনিজ ডেমোক্রাট পার্টি তার পছন্দের প্রার্থীকে বেছে নিতে দেরী করে। এর ফলে উত্তেজনা চরম আকার ধারণ করে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জনাব আইগেহ নোডং কয়েক ঘণ্টা আগে তার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেন, যদিও তা ঘটে এক গণতান্ত্রিক প্রেক্ষাপটে।

Je me demande si ces tergiversations n’illustrent pas une querelle générationnelle naissante entre les quarantenaires et les soixantenaires, habitués du pouvoir.

J’ose espérer que la génération de nos aînés ne va pas opter pour la continuité sans transformation sous prétexte de défendre ses intérêts. Car il semble en fait que leurs intérêts, comme ceux de tous les Gabonais, se situent dans le changement et dans le dialogue intergénérationnel !

যে সমস্ত প্রজন্ম চল্লিশ ও ষাটের দশকে জন্ম গ্রহণ করেছে তাদের সাথে দ্বন্দ্ব চলছে ও তারা এখন ক্ষমতায় রয়েছে। আমি বিস্মিত হব যদি এই দেরী, এই দ্বন্দ্ব সম্বন্ধে কোন সঙ্কেত প্রদান না করে। আমি আশা করতে সাহস করি যে, আমাদের পূর্ববর্তী প্রজন্ম তাদের এই কাজ চালিয়ে যেতে আর চাইবে না, কোন ধরনের পরিবর্তন, বিশেষ করে তাদের আগ্রহের অজুহাতে। কারণ মনে হচ্ছে, তাদের আগ্রহ সকল গ্যাবনবাসীর মতই, পরিবর্তন ও আন্ত:প্রজন্মের মধ্যে এক সংলাপ।

ঘটনাক্রমে বঙ্গোর পুত্র সরকারি দলের প্রার্থী ঘোষিত হয়েছে এবং আইগেহ নোডং এর প্রতিবাদে নিজেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঘোষণা করেছে। বেন মোবাম্বার সমর্থক প্যাট্রিক এগেরন ফেসবুকে বঙ্গোর পুত্রের মনোনয়ন নিয়ে লেখেন।

Une nouvelle preuve encore que le système de la royauté (où le fils devient le successeur du père) toujours en vigueur dans nos contrées a bien été exporté sur le continent Africain.
C'est particulièrement dommage.
Quand cela cessera-t-il?

রাজকীয় ব্যবস্থা (অথবা পিতার উত্তরসূরি তার পুত্র হবেন) যে আমাদের এই অংশে শক্তিশালী এটা তার আরো একটি প্রমাণ, যা আফ্রিকা মহাদেশের সবখানে ছড়িয়ে রয়েছে।
এটা সত্যিই একটা লজ্জা।
কখন এর শেষ হবে?

লুসিয়েন নটোল উৎসাহজনক শব্দ উচ্চারন করছেন:

Bruno, vous êtes enfin sur la ligne de départ! Je vous souhaite bonne chance pour la suite de cette belle aventure. Pour beaucoup d'entre nous vous incarnez le rêve d'un nouveau Gabon, bâti sur la justice et le droit; un pays où ” les gens de peu” relèvent enfin la tête. Du courage et bon vent!

ব্রুনো, শুরুর যাত্রায় তুমি সবার শেষে রয়েছো! এই সুন্দর অভিযানের অবশিষ্ট অংশে আমি তোমার সৌভাগ্য কামনা করি। আমাদের অনেকের জন্য তুমি এক নতুন গ্যাবনের স্বপ্ন তৈরী করছো, যা হবে ন্যায় বিচার ও আইনের শাসন; এমন এক দেশ যেখানে সর্বহারারা সমাজের শেষ পর্যায় থেকে সবার উপরে উঠে যাবে। সাহস এবং সুবাতাস তোমার দিকে বইতে থাকুক।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .