ইন্দোনেশিয়ায় বোমা হামলায় নয়জন নিহত

ইন্দোনেশিয়াতে আবার আর একটা সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। জুলাই ১৭, ২০০৯ শুক্রবার ইন্দোনেশিয়ায় রাজধানী জাকার্তায় দুটো বোমা আঘাত হানে। সাক্ষীরা বলেছেন যে প্রথম বিষ্ফোরণটি ঘটে সকাল ৭.৪০ এর সময় জে ডাব্লিউ ম্যারিয়ট হোটেলে, আর দুই মিনিট পরে আর একটা বিষ্ফোরণ প্রথম বিষ্ফোরণের ৫০০ মিটার দূরে অবস্থিত রিটজ কার্লটন হোটেলের একটা রেস্টুরেন্টে হয়, যেখানে সকালের নাস্তার জন্য লোকে ভরা ছিল। দুটো বিলাসবহুল হোটেলেই পশ্চিমা অতিথিরা আসেন।

স্থানীয় সুত্র বলেছে যে এই বিষ্ফোরণের ফলে নয়জন নিহত হয়েছে আর অনেক ইন্দোনেশিয়ান আহত হয় যারা এই দুই হোটেলে কাজ করেন।

অনেক জাকার্তাবাসীর মনে এখনো স্মৃতি জাগ্রত আছে যে কিভাবে ২০০৩ সালে একজন আত্মঘাতি হামলাকারী জে ডাব্লিউ ম্যারিয়ট হোটেলের সামনে শক্তিশালী বোমা বিষ্ফোরণ ঘটিয়েছিল যার ফলে ১৪ জন নিহত আর ১৫৬ জন আহত হয়েছিল। সেই আত্মঘাতি হামলাকারীর সাথে জেমাহ ইসলামিয়ার সম্পর্ক থাকার কথা শোনা গিয়েছিল যারা আল কায়দার দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার একটি শাখা।

টুইটার ব্যবহারকারী আন্দ্রে সিরেগার রিটজ এ ছিলেন যখন বিষ্ফোরণ ঘটে, তিনি বলেছেন:

siregar

রিটজ মেগা কুনিঙ্গান। ১১ তলায় আছি। মনে হল বিল্ডিংটি দুইবার নড়ে উঠল।

রিটজের তার কামরা থেকে তোলা একটা ছবি তিনি পোস্ট করেছেন, এবং আর একটা ছবিও যা বিষ্ফোরণের কিছু পরেই তোলা।

সম্প্রতি পুনর্নিবাচিত প্রেসিডেন্ট সুসিলো বাম্ব্যাং ইয়োধোইয়োনো বলেছেন যে এই বিষ্ফোরণ তারাই ঘটিয়েছে যারা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনত্তর বিশৃঙ্খলা দেখতে চায়, আর উপ প্রেসিডেন্ট জুসুফ কাল্লা পুলিশ আর ইন্দোনেশিয়ার গোয়েন্দা বাহিনী (বিন)কে দোষ দিয়েছেন ঢিলাঢালা ভাবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে বেশী ব্যস্ত থাকার কারনে অন্য জায়গায় নিরাপত্তা না দিতে পারায়।

স্থানীয় সংবাদের পোর্টাল দেতিক.কমের উদ্ধৃতি দিয়ে জুসুফ কাল্লা, যিনি তার নামের অধ্যাক্ষর জেকে তে বেশী পরিচিত, বলেছেন যে কাজে পরিণত করার আগে বোমা মারার জন্যে অনেক প্রস্তুতি লাগে যা অনেক মাস ধরে চলে, এক সপ্তাহের মধ্যে তা হতে পারে না।

বিন এর প্রধান সায়ামসির সিরিগার, যিনি এখন তোপের মুখে আছেন, তিনি এজেন্সির গাফালতির কথা স্বীকার করেছেন আর কম্পাসকে বলেছেন যে তারা কোন ইঙ্গিত পাননি যেখানে বলা হয়েছে যে জাকার্তায় বোমা বিষ্ফোরণ হবে। তিনি আরো যোগ দিয়েছেন যে এই ধরনের জাতীয় নিরাপত্তার ঘাটতি পৃথিবীর যে কোন দেশে হতে পারে এমন কি সুপার পাওয়ারদের ক্ষেত্রেও।

এই মুহূর্তে, শত শত পুলিশ আর সন্ত্রাস বিরোধী ইউনিট দেন্সুস ৮৮ কে জায়গাটাকে নিরাপদে রাখার জন্য নিয়োজিত করা হয়েছে আর জার্কাতা বর্তমানে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা পরিস্থিতি সাইগা-১ এর অধীনে, যার মানে পুলিশ এখনো অপরাধীদেরকে খুঁজছে আর খুঁজছে যে আরও বোমা হামলা আসন্ন কি না।

আমেরিকা আর অস্ট্রেলিয়ার সরকার সন্ত্রাসবাদের এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন আর ইন্দোনেশিয়ার সরকারকে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .