থাইল্যান্ড: হাজারো মানুষ ট্রেন ধর্মঘটের কারনে ক্ষতিগ্রস্ত

থাইল্যান্ডের জাতীয় রেলের (এসারটি) কর্মচারীদের দুই দিনের ধর্মঘটের কারনে দুই লাখের বেশী যাত্রী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। কর্মীরা ক্যাবিনেটের একটা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছিলেন এবং তারা দাবী করছেন যে এটি রেল ব্যাক্তিমালিকানাধীন করার প্রথম পদক্ষেপ। মঙ্গলবার বিকালে ধর্মঘট বাতিল করা হয় যখন কর্তৃপক্ষ ইউনিয়ন নেতাদের আশ্বস্ত করেন যে রেলের আধুনিকরনের প্রোগ্রামের সাথে ব্যাক্তিমালিকানাধীন হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

পার্সোনাল থাইল্যান্ড ব্লগ বিশ্বাস করে যে থাইল্যান্ডের রেলে কিছু সংস্কারের দরকার:

রেলের কর্মচারীরা ধর্মঘট করছেন কারন তারা চায় না সরকার তাদের সংস্কার করুক বা ক্ষমতার উপরের দিকের মানুষ এটা চাইছে না…আমাকে ভুল বুঝবেন না, আমি চাই না তারা ব্যাক্তিমালিকানাধীন হোক আর বিক্রি হয়ে যাক কিন্তু দয়া করে নতুন কিছু লাইন চালু করুন কিছু জমি বিক্রি করে আর প্রত্যেকবার কিছু না পেলেই ধর্মঘট বলে চিৎকার করবেন না।

ধর্মঘটের কারনে, হাজার হাজার যাত্রী বাধ্য হয়ে বাসে চড়েন। ই চিন ক্ষতিগ্রস্ত একজন রেলের যাত্রী ছিলেন:

থাইরা যখন ইচ্ছা ধর্মঘট করতে পারেন। আমরা ঠিক করেছিলাম ব্যাঙ্কক থেকে কাঞ্চনাবুরি পর্যন্ত ট্রেনে যাব ‘ডেথ রেলওয়ে’ দেখার জন্য। কিন্তু ট্রেন স্টেশনের কর্মীরা ধর্মঘটে আছেন এই আশায় যে তাদের বেতন বাড়বে। আমাদেরকে বাসে যেতে হবে।

থাই সরকারী রেলওয়ে. আয়ান ফুলারের ফ্লিকার পাতা হতে

থাই সরকারী রেলওয়ে. আয়ান ফুলারের ফ্লিকার পাতা হতে

মাই থাই ফ্রেন্ড ভাবছেন রেলের ব্যাক্তিমালিকানাধীন হওয়া থাইল্যান্ডের জন্য ভালো না খারাপ:

এসারটির ব্যাক্তিমালিকানাধীন করা কি থাইল্যান্ড আর যাত্রীদের জন্য ভালো হবে? একদিকে বেশী পরিষ্কার আর কার্যকর সেবা হতে পারে কিন্তু অন্যদিকে ভাড়া অবশ্যই বাড়বে, যা অনেক কম ধনী থাইদের জন্য চিন্তার ব্যাপার হবে যারা এই ব্যবস্থার উপরে নির্ভর করে সস্তা বা কিছু ক্ষেত্রে সমগ্র থাইল্যান্ডে বিনামূল্যে ভ্রমনের জন্য।

একটা সার্ভে দেখিয়েছে যে বেশীরভাগ থাই এই ধর্মঘটের কারনে বিচলিত। ব্যাঙ্ককে ট্রেন ধর্মঘট নিয়ে টুইটারে প্রতিক্রিয়ার কিছু নমুনা:

দা মাইক: এসআরটির বড় পরির্বতন আসা উচিত। আমি ইউনিয়নের সাথে এইবার একমত নই।

সিয়ামপার্ল: ট্রেন ধর্মঘট হোক, মনে হয় সরকারী এই সংস্থার বিগত ১০ বছরে কোন লাভ হয়নি কিন্তু কর্মীরা আরো বেতন চায়। বোধগম্য…আমার কর…কোন সমস্য না।

জ্যাকনিডহ্যাম: থাইল্যান্ডে আজকে দেশজুড়ে রেলের ধর্মঘট চলছে ক্ষুব্ধ কর্মী মালিকের বিরুদ্ধে ধারণা নিয়ে যা আমেরিকাতে ১৯৫০ এর দশকে হয়েছিল।

ওব্রুচ: দেশব্যাপী ধর্মঘট সকল ট্রেন থামিয়ে দিয়েছে। অনেক যাত্রী আটকা পড়ে গেছে। ওদিকে থাইল্যান্ড খুব চেষ্টা করছে পর্যটন বাড়াতে…

দা মাইক: যাত্রীদের উচিত রেলের ইউনিয়নের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা। ধর্মঘট খারাপ না কিন্তু তাদের উচিত যাত্রীদের আগে থেকে বলা।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .