ইরান: ইসলামী ব্লগাররা বিক্ষোভ প্রচারনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন

গত ১২ই জুনের ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ফলাফল যা রাষ্ট্রপতি মাহমুদ আহমাদিনেজাদকে বিজয়ী ঘোষণা করেছে তার বিরুদ্ধে যখন বিক্ষোভ বাড়ছে, তখন কিছু ইসলামপন্থী ব্লগার ব্যাখ্যা করেছেন কেন তারা বিশ্বাস করেন যে আহমাদিনেজাদ সত্যিই জিতেছেন, আর বিরোধী নেতা মির হুসেন মুসাভী হেরেছেন।

যখন আন্তর্জাতিক মিডিয়া এই সংবাদে মুখর যে মুসাভির সমর্থকরা কিভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করছে তাদের মতামত জানাতে, বেশ কিছু ব্লগার একই অস্ত্র ব্যবহার করছেন বিরোধী প্রার্থীর বিরুদ্ধে যুক্তি দাঁড় করাতে।

নির্বাচনের আগে, ১০০ জনের বেশী ব্লগার জনসম্মুখে আহমাদিনেজাদের প্রতি তাদের সমর্থন জানান সমর্থকদের সৃষ্ট একটা প্রচারণা ওয়েবসাইটে যেখানে ইউটিউব, ফেসবুক আর টুইটারের ব্যবহার করা হয়।

হামেদ তালেবি লিখেছেন যে এখন আমাদের উচিত সাম্প্রতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে বেশ কয়েকটা ব্যাপার বিবেচনা করা যেমন:

اقلیتی وقیح می خواهند تصمیم خود را بر اکثریت تحمیل کنند و در این مسیر از ساده دلی مردمی که به میرحسین موسوی رای داده اند سوء استفاده می کنند

লজ্জাহীন সংখ্যালঘুরা তাদের মত সংখ্যাগুরুদের উপরে চাপিয়ে দিচ্ছে, আর এই লক্ষ্যে পৌঁছাতে তারা নিরীহ মানুষকে ব্যবহার করছে যারা মুসাভির জন্য ভোট দিয়েছেন।

তিনি যোগ করেন:

جنگ، جنگ احمدی نژاد و میرحسین نیست. و نباید گذاشت به جنگ رای دهندگان به این دو منتهی شود. این، جنگ بین اکثریت مردم بی زبان و بی رسانه است با جریان تندرویی که پیش تر هم در حرکت هایی همچون تحصن نمایندگان مجلس ششم و غائله 18 تیر نشان داد ابایی از به آتش کشیدن مملکت و قربانی کردن مردم و منافع عمومی ندارد. میرحسین نیز در خوشبینانه ترین حالت، قربانی این جریان فریبکار است.

“এটা আহমাদিনেজাদ আর মীর হুসেনের মধ্যকার কোন যুদ্ধ না আর আমাদের উচিত না একে দুই পক্ষের ভোটারদের মধ্যকার যুদ্ধে পরিণত করার। এটা সংখ্যাগুরু মানুষ যারা মিডিয়ায় আওতায় নেই তাদের আর একটা মৌলিক সংগ্রামের মধ্যে…মুসাভি, সবথেকে আশাপ্রদ দৃষ্টিকোন, আসলে তিনিও প্রতারক সংগ্রামের একজন শিকার।“

এই ব্লগার প্রশ্ন করেছেন আমরা কি করে মানুষের বিশ্বাস ফিরে পেতে পারি।

আহেস্তান বলেছেন মুসাভি কি চেষ্টা করছেন আহমাদিনেজাদের সমর্থকদের দোষ দিতে সরকারী বাড়ী পোড়ানোর জন্য? কোন সাক্ষ্যের ভিত্তিতে তিনি এমন দাবী করছেন? প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তার জেতার দাবীর মতোই এটা কি?

ব্লগার চিন্তা করেছেন যে মুসাভি যখন তার সকল সমর্থককে শান্তিপুর্নভাবে বিক্ষোভ করতে বলেছেন, কেন তাদের কেউ কেউ একটা বাসিজ [প্যারা মিলিটারি] ঘাটিতে আক্রমণ চালায়।

খাক্রিসিম লিখেছেন যে এই সংকট মুহূর্তে বেশ কিছু হেজবুল্লাহ আর বাসিজ সদস্য খুন হন, আর আমেরিকার আর ব্রিটিশ মিডিয়া মুসাভির সমর্থকদের ব্যবহার করেন এটা বিশ্বাস করাতে যে [আহমাদিনেজাদ] সরকার মিথ্যুক।

নাস্লেহ খোমেনি বলেছেন যে মুসাভির পাশ্চাত্য ধাঁচের প্রচারণা ভোটারদের মধ্যে তার গ্রহনযোগ্যতা কমিয়ে দিয়েছে আর নির্বাচনের পরের বিক্ষোভ দেখিয়েছে তার সমর্থকরা সমাজের কোন শ্রেনীর, আর এটা যে তার বিপুল সমর্থন নেই।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .