মিশর: মিশর থেকে মুসলিম বিশ্বের উদ্দেশ্য ভাষণ দেবেন ওবামা

তারিখ ঠিক করা রয়েছে কোনদিন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বারাক হোসেন ওবামা তার বহুল প্রত্যাশিত ভাষণ দেবেন। মুসলিম বিশ্বের প্রতি তার এই ভাষণ তিনি মিশর থেকে দেবেন জুনের চার তারিখে এবং মিশরীয় ব্লগাররা আগের মতোই এই ভাষণের ব্যাপারে বিভক্ত। এই ব্যাপারে কিছু প্রশ্ন রয়ে গেছে, ওবামা কি দেশটির মানবাধিকার রেকর্ডের দিকে চোখ বন্ধ করে থাকবে।

যদিও ভাষণের বিষয়বস্তু ও এই অঞ্চলের উপর তার প্রভাব এই মুহুর্তে অনেক পরের বিষয়, অনেক ব্লগারের মাথায় এখন যে প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে তা হচ্ছে, “মিশর কেন”?

র‌্যান্টিংস অফ এ স্যান্ডমাঙ্কি তার উত্তেজনা লুকায়নি, যারা এই প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত না হয়ে নিজেদের সন্মানিত করতে পারেনি সেই দেশগুলোকে তিনি বিদ্রুপ করছেন। তিনি লিখছেন:

কাজেই, মুসলিম বিশ্বের কাছে তার আবেদন জানানোর জন্য তিনি নীলনদের ভুমি বেছে নিয়েছেন। তার অন্য রাষ্ট্র বেছে নেবার সুযোগ ছিল, যেমন সৌদি আরব (যা ইসলামের জন্মভুমি), জর্ডান (হে আমেরিকা, তোমারা যা পছন্দ কর, আমরা তার জন্য সব করব) তুরস্ক (ধর্মনিরেপক্ষ মুসলিম জনগণ এবং তার অন্যতম সহযোগী, যারা তার নাক সবকিছুতেই গলাতে চায়) এবং ইন্দোনেশিয়া (তারা ওবামাকে তখন ঘর দিয়েছিল যখন সে ছিল একজন নিষ্পাপ মুসলিম শিশু, শয়তানের ক্রশ তাকে ধরে ফেলার আগে..)। বাস্তব কারনে এই বেছে নেবার পছন্দটি অসাধারণ। কারন মুসলিম বিশ্বের প্রতি আহবান জানানোর জন্য অবশ্যই কাউকে কোন না কোন আরব দেশকেই বেছে নিতে হত। তা না হলে আরব মুসলিমরা তাতে সাড়া দেবে না। এটি একটি উগ্র স্বদেশ প্রেমের ব্যাপার। কাজেই হ্যা, তুরস্ক এই অঞ্চলের জন্য ভালো কোন পছন্দ নয়। নিরাপত্তার কারনে তা ঠিক পছন্দ নয় (হ্যা, এমন মুসলিম দেশে যেখানে টিভিতে যৌনতা প্রদর্শন করা হয়)। ইন্দোনেশিয়া বা যে কোন দক্ষিণ এশিয়ার রাষ্ট্রের জন্য দুভার্গ্যজনক, সকল আরব রাষ্ট্র তাদের আধামানব হিসেবে দেখে যা কিনা আরব মুসলিমদের জন্য অপমানজনক পছন্দ হতো। সৌদি আরবও নাকের ডগায় ছিল বিশেষ করে “নত হবার” পর, এবং জর্ডান ভালো, তবে তারা আসলে শোভাযাত্রাকে সন্তুষ্ট করার জন্য অনেক ছোট, কাজেই মিশরকে বেছে নেবার মধ্যে একটা সুবুদ্ধির পরিচয় পাওয়া যায়। (সবচেয়ে বড় আরব মুসলিম দেশ, মেয়েরা এখানে গাড়ী চালাতে পারে, আমরা ধর্মনিরপেক্ষ, তবে বাস্তবে নই, এবং ওবামা ও মুবারকের মধ্যে কোন সম্পর্কের টানাপোড়ন নেই…. এখন পর্যন্ত নয়) এবং ব্যাক্তিগত কারনে, আমি পছন্দ করেছি, কারণ এটা যেন এমন যে কুৎসিত মেয়েটিকে বেছে নেওয়া হয়েছে স্কুলের সেরা নাচগানের অনুষ্ঠানের জন্য।

কায়রোর বেশ কিছু এলাকায় এই ভ্রমণের ব্যাপারে সমর্থনের যথেষ্ট অভাব রয়েছে স্যান্ডমাঙ্কি লিখছেন:

অনেক গণতান্ত্রিক কর্মী এতে খুশী নয়, বিশেষ করে বামপন্থীরা। তারা এই আগমনকে একজন স্বৈরশাসককে সাহস ও তাকে তার যা প্রাপ্য নয় তারচেয়ে বেশী প্রাধান্য দেওয়া হিসেবে দেখছে। ব্যাক্তিগতভাবে আমার কাছে তা অবিশ্বাস্য মজার বলে মনে হয়, কারন আমি সবসময় ভেবেছি, তাদের অবস্থান হচ্ছে, আমেরিকা মিশরকে গণতন্ত্র ও অধিকারের জন্য চাপ দেবে। তারা “মিশরের বিষয়ে না চাওয়া নাকগলানো সাম্রাজ্যবাদী” এবং কে চাইবে বিশ্বাসঘাতক আহাম্মক উপেক্ষিত ইহুদিবাদী ইহুদি গোয়েন্দা কুকুরকে”। অন্তত বুশের সময় এই ঘটনা ছিল বাস্তবতা। সময় আসলে কি ভাবে সবকিছু পাল্টে দেয়।

মোহ@লাইকস এই পরিদর্শন সমন্ধে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন করেছেন। তার মধ্যে রয়েছে:

মুসিলম বিশ্বকে উদ্দেশ্য করে বক্তৃতা দেওয়া ও তার সাথে সর্ম্পক আবার জোড়া দেওয়ার জন্য ওবামা কি ঠিক ১০০ দিন পরে চিন্তা করে মিশরকে বেছে নিয়েছে?
এর মানে কি এই যে আমেরিকা মিশরের শাসকের শাসনের বিষয়টি উপেক্ষা করেছে, যা বুশ প্রশাসনের সময় দুটি দেশের মধ্যে যে সর্ম্পকের দ্বন্দ্বের মুল কারন ছিল তা উপেক্ষা করেছে?

মোহালের প্রশ্ন এবং তার পাঠকদের উত্তর সমন্ধে আরো জানতে চাইলে উপরের লিংকে ক্লিক করুন।
এবং জেইনোবিয়া যিনি ইজিপশিয়ান ক্রনিকলে লেখেন তিনি এই ওবামার পছন্দের ব্যাপারে উত্তেজিত এবং বলছেন:

কায়রো আসেল এক সঠিক স্থান, মিশর আরব বিশ্বের হৃদয়। এই অঞ্চলে তার ওজন ও ইতিহাসের দিকে তাকালে তা সত্যিই এক সঠিক পছন্দ। এই স্থান আরব মুসলিমদের সম্বোধন করার জন্য সঠিক এলাকা, যদিও বিবেচনা করা হয় এই এলাকার শাসকরা আমেরিকা পন্থী। কিন্তু ওবামা তার ভাষন অন্যদেশে দিতে পারবে না, নিরাপত্তাজনিত কারনে অথবা রাজনৈতিক কারনে “ফরাসী প্রভাবিত এলাকা হিসেবে” অথবা প্রভাবের মাত্রার কারনে।

এই বিশেষ বিষয়ের ব্যাপারে, জেইনোবিয়া ভাষণ দেবার স্থানের বিষয়ে তার চিন্তা জোরেশোরে প্রকাশ করছে।

কিন্তু আমি বিস্মিত যে কায়রোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা কি রকম হবে এবং তিনি কোথায় ভাষন দেবেন তা বিবেচনায় আসবে। এটা জার্মানীতে দেওয়া কোন ভাষণের মতো হবে না। এটা হতে পারে সংসদে অথবা আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে অথবা রাষ্ট্রপতি ভবন অথবা আবদিন রাজপ্রাসাদে যা কেবল খুবই গুরুত্বপুর্ণ অতিথিদের জন্য খুলে দেওয়া হয়, মুবারক তাদের মনে রেখাপাত করতে চান।

জেইনোবিয়া তার আরো চিন্তা পোস্টে প্রকাশ করেছেন, এখানে

ইতিমধ্যে ফরেন পলিসি পাসপোর্ট-এ মার্ক লিঞ্চ স্থান হিসেবে কায়রোর অবস্থান নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন এবং লিখেছেন:

আমি ভাবছি কায়রোকে বেছে নেবার ক্ষেত্রে বাদ দেওয়ার নীতি প্রয়োগ করা হয়েছে। আসলে অন্যসব পছন্দনীয় স্থানকে বাদ দিতে দিতে শেষে কায়রোকে বেছে নেওয়া হয়েছে। তারা এই কাজটি করার জন্য কোন পুরোমাত্রায় আরব দেশকে বেছে নিতে চেয়েছিল। তিনি তুরস্কে ভাষণ দিয়ে দিয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে তিনি সামনে গৃহযাত্রা হিসেবে ইন্দোনেশিয়া যাবেন। সৌদি আরব ভাষন শুরু করার মতো নয়। এবং অন্য গাল্ফ বা আরব উপসাগরীয় আরব দেশগুলো এই ভাষনের ওজন সহ্য করার মতো নয়। উত্তর আফ্রিকার কোন দেশ এই কাজের জন্য সত্যই যোগ্য নয়। লেবাননের সামনে নির্বাচন এবং তার নিজেরই অনেক জটিল বিষয় রয়েছে। তেহরান …কিন্তু তা হবে এক আশ্চর্যজনক এক নির্বাচন, কিন্তু না। আমি জেরুজালমকে আশা করেছিলাম -যেখান থেকে ভাষণ দিলে তার প্রভাব হতো অপরীসিম- কিন্তু সেখানকার নিরাপত্তা রাতের দু:স্বপ্নের মতো। এটা হতো একটা রাজনৈতিক ফুটবল খেলার মতো এবং তা যে কোন মুল্যে মুসলিম সমাজের বদলে তা ইজরায়েল- প্যালেস্টাইন এর ঘটনায় পরিণত হতো। নিরাপত্তার কারনে বাগদাদও বাদ, তাছাড়া তা “ইরাকের” বিষয়ে পরিণত হতো। জর্ডান ভালো জায়গা, কিন্তু মিশর আরবের রাজনীতিক ও সংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটে অনেক ওজনদার এবং সমৃদ্ধ এলাকা। কাজেই তাহলে সেখানেই ভাষন হবে।

লিঞ্চ এর সাইটের বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানতে হলে উপরের লিংকে ক্লিক করুন।

আরবী ভাষায় ওয়া৭ডা মাসরেয়া বলছেন:

الكثيرون من المعارضين و الناشطين المصريين إستنكروا إختيار أوباما لمصر من اجل توجية كلمته للعرب و المسلمين
[…]
إستاء الناشطين من إختيار أوباما لأن هذا الإختيار سوف يعطي لمبارك و نظامة نقاط كثيرة و يرى الكثيرون أن هذا الإختيار يعني موافقة اوباما و دعمة لنظام ديكتاتوري يحكم بالحديد و النار و لا يحترم حقوق الإنسان و يقمع المعارضين.
إأن المصالح الامريكية في مصر بواسطة النظام الحاكم بغض النظر عن أوباما أو ا بوش هي الأقوى في كافة دول المنطقة و الدول الإسلامية فنظام مبارك قدم دعما جليلا للولايات المتحدة أثناء غزوها للعراق فكيف كانت إذن حاملات الطائرات و إمدادات الجيش الأمريكي ستصل للعراق دون قناة السويس المصرية التي قدمها النظام المصري في طبق من فضة للجيش الأمريكي
كما قدم مبارك و رجاله في امن الدولة و المخابرات خدمات جليلة أيضا بعد 11 سبنمبر و دعما لوجيستيا في نزع الإعترافات و التعذيب بل و فتح مقار أمن الدولة في مصر لعملاء المخابرات الأمريكية ليشرفوا على عمليات التحقيق للمتهمين من قبل السلطات الأمريكية الذين كان يتم إختطافهم و نقلهم لمصر للإستجواب .
لا يمكن لأوباما ان يتنصل من كل تلك الخدمات للولايات المتحدة حتى لو كان هو شخصيا معارضا لسياسات بوش
أتخيل أل مبارك و حاشيتة و مخابراته و أمن الدولة و قد هللوا فرحا بإختيار أوباما لمصر.
كما لا يمكن ان ننسي أن مبارك ينفذ التعليمات الإسرائيلية و يتعاون مع إسرائيل بشكل لم يفعله أي حاكم لدولة عربية أو إسلامية على الإطلاق
মিশরের অনেক বিরোধী নেতা এবং কর্মী মুসলিম এবং আরব বিশ্বে ওবামার ভাষণ দেবার জন্য মিশরকে বেছে নেওয়ায় বিষয়টির নিন্দা করছেন[…]। সক্রিয় কর্মীরা ওবামার এই পছন্দের ব্যাপারে উদ্বিগ্ন কারন তাতে মুবারক এবং তার শাসনকে অনেক গুরুত্ব দেওয়া হবে। অনেকে এই স্থান নির্বাচনের বিষয়টিকে এভাবে দেখছেন এর মানে ওবামা এক স্বৈরশাসক অনুমোদন এবং সমর্থন দিচ্ছেন। এই স্বৈরশাসক লৌহ কঠিন ভাবে ও আগুনের মাধ্যমে শাসন করে, যে মানবাধিকারকে সন্মান করে না এবং বিরোধীদের কঠোরভাবে দমন করে।

মিশর নিয়ে আমেরিকার আগ্রহ রয়েছে। ওবাম বা বুশ যেই হোন না কেন (সরকারীভাবে) পুরো শাসনব্যবস্থার সাথে সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ। সকল আরব বা মুসলিম দেশের মধ্যে মিশরের সাথে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। যখন আমেরিকা ইরাকে অভিযান চালায় তখন মুবারকের শাসন সন্মানের সাথে আমেরিকাকে সমর্থন দিয়েছে। আমেরিকার বিমান বহনকারী জাহাজ ও সৈন্যদের জন্য রসদ ইরাকে সরবরাহ কিভাবে করা হতো যদি না তারা সুয়েজ খাল ব্যবহারের সুযোগ পেত। মিশরীয় শাসক আমেরিকার সৈন্যবাহিনীর হাতে সুয়েজের ব্যবহার এক রুপার পাতে তুলে দিয়েছেন?

মুবারক এবং তার লোকেরা যারা রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন তারা সেপ্টেম্বর ১১-র পর আমেরিকাকে সন্মানের সাথে সেবা প্রদান করে এসেছেন। তারা সবধরনের সমর্থন সরবরাহ করেছেন। তার মধ্যে রয়েছ জোর করে স্বীকারোক্তি আদায় করে, সন্দেহজনক ব্যাক্তিদের উপর অত্যাচার করা। মিশরের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিভাগের প্রধান অফিস আমেরিকার গোয়েন্দা বিভাগের ভাড়াটেদের জন্য খুলে দেওয়া হয় যাতে তারা সন্দেহজনক ব্যাক্তিদের উপর নজর রাখতে পারে। যাদের আমেরিকার অপহরন করেছিল, তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মিশরে নিয়ে আসা হয়।

আমি মনে করি না ওবামা আমেরিকার জন্য এই সমস্ত সেবা অস্বীকার করতে পারবে, এমনকি যদি ব্যাক্তিগতভাবে তিনি বুশের নীতির বিরোধী। আমি কল্পনা করতে পারি মুবারক এবং তার লোকেরা, তার গোয়েন্দা বিভাগ ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিভাগ আনন্দে আত্মহারা হয়ে যান যখন তারা শুনতে পান ওবামা ভাষণ দেবার জন্য মিশরকে বেছে নিয়েছেন। আমরা অবশ্যই ভুলতে পারি না মুবারক ইজরায়েলের নির্দেশ প্রয়োগ করেছেন এবং এমন ভাবে ইজরায়েলকে সহযোগীতা করেছেন যা কোন আরব বা মুসলিম শাসক এর আগে করেনি।

এতসব সত্বেও আলেকজান্দ্রিয়া- ভিত্তিক এই ব্লগার আশাবাদি।

لكن يبقى أمل بسيط أنه ربما يكون أوباما سوف ياتي بالفعل من أجلنا للحديث إلينا و معنا و ليس مع مبارك و أنه قد ياتي لدعمنا و دعم ناشطى الحرية و ربما ياتي ليتضامن معنا و يمارس ضغوط نحن بالفعل في حاجة إليها و لا أعتبر أي ضغوط على مبارك تدخل فنحن بحاجة لهذا التضامن و تلك الضغوط من كل الناشطين و الحكام في كل مكان في العالم ,يمكن أوباما يقدر يساعدنا على العموم حنشو
যাইহোক না কেন কিছু আশা রয়েছে, হয়তো ওবামা সত্যি আমাদের জন্য আসছেন, আমাদের সাথে কথা বলতে এবং আমাদের মাঝে, মুবারকের জন্য নয়; তিনি আমদের সমর্থন করার জন্য আসছেন এবং স্বাধীনতাকামী কর্মীদের সমর্থন করার জন্য। তিনি এমনকি এখানে আসছেন আমাদের সাথে একাত্বতা ঘোষনার জন্য, যে চাপ রয়েছে যা আমাদের আসলেই প্রয়োজন। আমি মনে করি না মুবারকের উপর কোন চাপ কোন অন্যায় হবে। যখন আমাদের এই ঐক্য প্রয়োজন এবং বিশ্বের সকল কর্মী এবং নেতাদের কাছ থেকে আমাদের সমথর্ন প্রয়োজন। হয়তো ওবামা আমদের সাহায্য করতে পারে। কোন মুল্যে, আমাদের তা দেখতে হবে।

মুসলিম ব্রাদারহুডের ব্লগার আবদুল মোনেম মাহমুদ। যিনি আনা ইখওয়ান-এ লেখেন, তিনি বিস্মিত ওবামা কি তার এই ভ্রমনের সময় ব্রাদারহুডের সাথে যোগাযোগ করবেন কিনা। তিনি লিখেন (আরবী ভাষায়):

إذا أراد أوباما فعلا أن يظهر أنه رجل تغيير لابد أن يكون عادلا في كل القضايا سواء مواقف بلاده المنحازة لإسرائيل علي حساب القضية الفلسطينية إضافة إلي وجوب إداركه أن الحركات الإسلامية المعتدلة مثل الإخوان المسلمين تمثل حائطا صدا قويا تجاه أفكار المتطرفين من القاعدة وشبيهتها وأن عليه أن يتوقف عن دعم الدول المستبدة التي تقف أمام تطور هذه الحركات في بلادها
যদি ওবামা সত্যি প্রমান করতে চান তিনি পরিবর্তন চান তাহলে তাকে সকল বিষয়ের মধ্যে থাকতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে তার নিজের দেশের ইজরায়েলের প্রতি অন্ধ সমর্থন, যার মুল্য প্যালেস্টাইনিরা দিচ্ছে। তাকে অবশ্যই উপলদ্ধি করতে হবে মধ্যপন্থার ইসলামী আন্দোলন যেমন মুসলিম ব্রাদারহুড, চরমপন্থী আদর্শবাদী আল কায়দা বা সে রকম দলের জন্য একটা বাধার দেওয়াল হয়ে দাড়ায়। তাকে অবশ্যই দমনমুলক শাসকদের থামাতে হবে, যারা এই তাদের দেশে এই ধরনের আন্দোলনের (মুসলিম ব্রাদারহুডের) বিরুদ্ধে দাড়ায়।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .