কাতার: বেতন না পাওয়া কর্মীদের ভিডিও বিতর্ক সৃষ্টি করেছে

কাতারে অভিবাসী কর্মীরা যে কঠিন বাস্তবতার সম্মুখীন হচ্ছেন সেটাই কাতার লিভিং এ আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল যখন সম্প্রতি আল জাজিরা ইংরেজী চ্যানেলের একটি রিপোর্ট তাদের কষ্ট তুলে ধরে।

এই ভিডিও নির্মান শ্রমিকদের জীবনের উপরে নির্মিত যাদের জীবনধারা অর্থনৈতিক মন্দার কারনে প্রভাবিত হয়েছিল। এদের মধ্যে কাউকে কাউকে চার মাস ধরে বেতন দেয়া হয়নি।

সালাম উপরের ভিডিওর উপরে আলোচনা শুরু করেছেন এই বলে:

কুৎসিত বাস্তবতা, গ্রহণ করা যায়না; কিন্তু সহ্য করতে হবে, যতক্ষণ না ব্যাপারটা গোড়া থেকে দেখা হয়। অবিচার আর নিষ্ঠুরতার জন্য কোন অজুহাত নেই। ভাল হত আমি যদি ভিডিওটা না দেখতাম।

ফিশারম্যানএলেক্স যোগ করেছেন:

এটা গল্পের অন্ধকার দিক। কোন সুন্দর গাড়ি না, কোন উচ্চমানের পোশাক না, কোন মল না, কোন হোটেল না, কেবল কঠোর পরিশ্রম আর বানিময়ে কোন পয়সা না।

সালাম বলেছেন:

যদিও এই ব্যাপারটা উত্থাপিত হয়েছে মিডিয়াতে বেশ কয়েকশ বার, কিন্তু এটা সম্ভবত একমাত্র চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে উন্মুক্ত করা সম্ভব। হয়ত এটি এই ধরনের কষ্টকর দাসত্ব শেষ করতে বাধ্য করবে। আমি আশা করি আমি বেঁচে থাকবো এটার শেষ দেখতে শীঘ্রই, একবারের মতো!

খেয়াল করবেন, পৃথিবী ভুগছে অন্য ধরনের দাসত্বে।

হাগার মনে করেন এই সমস্যা সমগ্র অঞ্চল জুড়ে:

পুরো গাল্ফ অঞ্চলে এটা চলছে। সব থেকে নীচের দিকের কর্মীদের খুব কম অবলম্বন আছে। তাদের বেতন না দেয়া অবশ্যই বেআইনি, কিন্তু রাষ্ট্র কোম্পানির বিরুদ্ধে সময় মত ব্যবস্থা নেবে না। কর্মীরা খুব কম করতে পারে, তারা যদি কখনো বেতন না পায় তাও। মানুষ এখানে সব সময়ে জেলে যায় তাদের দেনা শোধ না করার জন্য। আমরা কবে শুনেছি যে একটা কোম্পানি মালিক বা কর্মকর্তা জেলে গিয়েছেন কর্মীদের বেতন না দেয়ার জন্য (যদিও এখানে অপরাধের মাত্রা অনেক বেশী)।

আর টলজি বিষ্ময় নিয়ে লক্ষ্য করেছেন যে কাতার- অবস্থিত আল জাজিরা ব্যাপারটা দেখছে:

শ্রমিকদের বেতন না পাওয়ার কষ্ট সম্পর্কে আমরা সবাই বেশ ওয়াকিবহাল আর এটা একেবারেই বিষ্ময়কর না। যেটা বিষ্ময়কর তা হলো যে আল জাজিরা এটা নিয়ে রিপোর্ট করছে।

এরই মধ্যে, সিনবব এই ধারণায় আছেন যে আল জাজিরার রিপোর্ট শ্রমিকদের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে:

সাবাস আল জাজিরা- হয়তো এখন, হয়তো এই অঞ্চলে আল জাজিরার গ্রহনযোগ্যতার কারনে, এই শ্রমিকরা বেতন পেতে পারে।

এইসব কোম্পানির দরকার দায়িত্ব এড়ানো বন্ধ করা যাতে মানুষ তাদের কষ্টাজিত অর্থ পেতে পারে। ঠিক কাজ করুন। এটা দু:খজনকেরও বেশী। এটা অপরাধমূলক।

ফারাফ্রিএক্সপ্যাট যোগ করেছেন:

আমি আমার জীবনে এটা বুঝতে পারবো না, যে যারা খুব বন্ধুর আর অসহ্য আবাহাওয়ায় কাজ করেন তারা তাদের সামান্য বেতন পাননা আর তার পরে এমন ব্যবহার করা হয় তাদের সাথে? মানুষের থেকেও খারাপ! এটা অবিচারের চূড়ান্ত আর যেটা এটাকে আরো খারাপ করে তা হলো এই বাস্তবতা যে শ্রমিকরা তাদের কষ্ট একসাথে জানাতে পারেন না, কোন কন্ঠ নেই, কোন ইউনিয়ন নেই!!!!

কোন কারন আছে কি তাদের সাথে এমন ব্যবহারের? তারা কি তাদের মতোই মানুষ না যারা দ্রুতগামী গাড়ি চালাচ্ছেন আর এক রাত্রে হাজার হাজার রিয়াল খরচ করছে?

যতো তাড়াতাড়ি মিডিয়া এই অবিচার উম্নোচিত করবে, ততো ভালোভাবে সারা বিশ্ব জানতে পারবে যে দাসত্বের আধুনিক একটা সংস্করণ আছে…! বিশ্বে সব থেকে ধনী দেশে!

আরো প্রতিক্রিয়ার পড়ার জন্যে এখানে ক্লিক করুন

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .