কিউবা, আমেরিকা: শান্তির জন্যে হাত বাড়ানো?

ওবামা প্রশাসন গতকাল (১৩ই এপ্রিল) আমেরিকান নীতির কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন ঘোষণা করেছে যার লক্ষ্য হচ্ছে “কিউবান জনগণকে সমর্থন করা স্বাধীনভাবে তাদের ইচ্ছার ভিত্তিতে তাদের দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারন করার পথ প্রশস্ত করার জন্যে।” নীতির পরিবর্তনগুলোর মধ্যে একদিকে আছে ভ্রমণ আর টাকা পাঠানোর ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা তুলে ফেলা আর দ্বীপটার ভিতরে আরো ভালো টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা। তবে কিছু ব্লগার চিন্তিত যে এই পদক্ষেপ সুদুরপ্রসারী নয় (যেমন বানিজ্য নিষেধাজ্ঞা এখনো আছে)। যার ফলে দ্যা কিউবান ট্রায়াঙ্গেল এর ভাষা অনুযায়ী এই নতুন নীতি “মানবিক, ধারনক্ষম না, ক্ষুদ্র-চেষ্টা, এক ধরনের টিকাদান, আর একটা প্রশ্নবোধক চিহ্ন।”

এই ব্লগার ব্যাখ্যা করেছেন:

আজকের এই পরিবর্তন- যার প্রভাব পড়েছে ভ্রমণ আর টাকা পাঠানোয়, টেলিযোগাযোগ যন্ত্র আর সার্ভিসে, আর উপহারের মোড়কে- একটি নাটকীয় ঘটনা কারন এটি বিগত আট বছরের সম্পর্কের গতি উল্টো দিকে পরিবর্তন করবে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ওবামার হাতে এখনও রয়েছে ৯০% – বুশ কিউবা নীতি (প্রার্থী ওবামা বলেছিলেন নীতি হচ্ছে “শক্ত কথা যার থেকে কোন ফল হয়না।”) কিউবান আমেরিকানদের বাদ দিলে, এটা আমেরিকার সমাজের সাথে যোগাযোগের বৃহত্তর বিষয়টা নিয়ে কথা বলে না, তা পর্যটক, বিশ্ববিদ্যালয়, পেশাগত এসোশিয়েশন, চার্চ, সিনাগগ বা সুধী সমাজের অন্যান্য অংশ যাই হোক না কেন। এটা কূটনীতির কথাও বলে না, আর প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র বার বার প্রশ্ন এড়িয়ে গেছে যে কিউবার সাথে প্রশাসন কি ধরনের আলোচনা করবে তারা।

কিন্তু কিউবা ব্লগ এই তথ্যে সন্তুষ্ট বলে মনে হয় যা প্রেসিডেন্ট তার প্রচারণায় কথা দিয়েছিলেন:

“[তিনি] কিউবা আর কিউবানদের জন্য দরজা আর একটু খুলে দিয়েছেন…

কিউবায় প্রতিক্রিয়া- আর পুরো প্রবাসী মহলের প্রতিক্রিয়া- ছিল… মিশ্রিত। দ্যা ল্যাটিন আমেরিকানিস্ট জানিয়েছেন যে ভূতপূর্ব কিউবার প্রেসিডেন্ট ফিডেল কাস্ট্রো নিষেধাজ্ঞা থাকায় অখুশি হয়েছেন:

কিউবার প্রেসে লেখা একটা প্রতিবেদনে, মনে হলো কাস্ট্রো খুশী যে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ‘কিছু ঘৃণাকর নিষেধাজ্ঞা’ ছেটে ফেলেছেন যা আগের প্রেসিডেন্টের প্রশাসন দিয়েছিল। ক্যাস্ট্রো কম সময়ের জন্য মিলানাত্মক সুরে কথা বলেন যখন তিনি লেখেন যে কিউবার সরকার রাজী হবে আমেরিকার সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে। কিন্তু তিনি চল্লিশ বছর দীর্ঘ নিষেধাজ্ঞা যাকে তিনি ‘ আসলেই গণহত্যার ব্যবস্থা’ আখ্যায়িত করেছেন তার নিন্দা করেন।

দ্যা কিউবান ট্রায়াঙ্গেল প্রতিক্রিয়ার একটা সারসংক্ষেপ পোস্ট করেন।

কিউবা, দেসদে মি ভেন্তানা, একটা ব্লগ যার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে: ‘আপনাদের সাথে তথ্য ভাগ করতে চাইব কিউবার আর্ন্তজাতিক কার্যক্রম সম্পর্কে, যা আমার দেশ, বিশ্বে যার ভাবমূর্তি কিউবান বিদ্রোহের শত্রুদের কারনে নষ্ট হয়েছে'। এই ব্লগ খুশী না যে নতুন আমেরিকান নীতি নিষেধাজ্ঞা পর্যন্ত যায়নি:

El presidente Barack Obama eliminó el lunes ”todas las restricciones” para que los cubanosamericanos puedan visitar Cuba y enviar remesas desde Estados Unidos, pero sin tocar aspectos del criminal bloqueo económico…que ha provocado pérdidas directas a la Isla caribeña por más de 93 mil millones de dólares…

প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সোমবার ‘সকল নিষেধাজ্ঞা’ উঠিয়ে নিয়েছেন যাতে কিউবান-আমেরিকানরা কিউবা যেতে পারে আর টাকা পাঠাতে পারে আমেরিকা থেকে, কিন্তু অপরাধী অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারটা একদম না ছুঁয়ে…যার ফলে এই ক্যারেবিয়ান দ্বীপে এপর্যন্ত সরাসরি ক্ষতি হয়েছে ৯৩ বিলিয়ন ডলারের বেশী ..

এর মধ্যে, হাভানায় অবস্থিত ইয়োহান্ড্রি ওয়েবলগ, সাধারণ কিউবানদের কাছ থেকে এই নীতি পরিবর্তন নিয়ে প্রতিক্রিয়া তুলে ধরে একটি মজার রাউন্ডআপ পোস্ট করেছেন।

‘প্রপাগান্ডা’ থাম্বনেইল ইমেজ ফুডজের সৌজন্যে – ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্সের আওতায় ব্যবহৃত।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .