প্যালেস্টাইন: গাজার মা আমেরিকায় ফিরেছেন

ফিলিস্তিনি মা লায়লা এল- হাদ্দাদ আর তার দুই সন্তান অনেক ঘটনার পর অবশেষে আমেরিকায় ফিরে এসেছে, যেখান থেকে তারা প্যালেস্টাইনের গাজায় তাদের দীর্ঘ যাত্রা শুরু করেছিলেন তিন দিন আগে। মিশরীয় কর্তৃপক্ষ তাকে তার দেশে ঢুকতে দেয় নি।

রাইজিং ইউসুফ এন্ড নুর: ডায়রী অফ আ প্যালেস্টিনিয়ান মাদার এ ব্লগ করেন এই ফিলিস্তিনি মা যিনি পেশায় সাংবাদিক। তিনি মিশরের কায়রো আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর আসেন যেখানে তিনি আশা করছিলেন রাফা ক্রসিং পার হয়ে, মিশর- ফিলিস্তিনি সীমান্তে গাজায় তার বাবা- মার সাথে দেখা করবেন। ক্রসিং বন্ধ ছিল আর মিশরীয় কর্তৃপক্ষ তাকে ফিরিয়ে দেয়- তাকে ৩৬ ঘন্টা ধরে অপেক্ষা আর জিজ্ঞাসাবাদের পরে।

তার ব্লগে এই বিভীষিকা শুরুর সময়ে লিখতে গিয়ে তিনি লিখেছেন:

আমরা কায়রো বিমানবন্দরে প্রায় একদিন ধরে আটকিয়ে আছি। মিশরীয় কর্তৃপক্ষ আমাদের ঢোকার বা বের হওয়ার অনুমতি দিচ্ছে না, যারা জোর দিয়ে বলছে যে যতক্ষণ রাফা ক্রসিং বন্ধ থাকবে, তাদের কড়া নির্দেশ দেয়া আছে ফিলিস্তিনিদের যেতে না দেয়া।

আমেরিকা থেকে আমার আসার দিনে দেয়া ওয়াশিংটনে মিশরীয় কন্সাল জেনারেলের সই করা অনুমতিপত্র থাকা সত্ত্বেও বিমানবন্দরের মিশরীয় অফিসাররা বলে “তার নামে মামলা করে দেন।”।

তার বিপদ বেড়ে গিয়েছিল কারন তার আমেরিকার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল- আর তার কোথাও যাওয়ার জায়গা ছিলনা।

এই প্রযুক্তিপ্রেমী ব্লগার, যে তার আমেরিকায় জন্মানো দুই বাচ্চা ইউসুফ আর নুর (যে নাকি ১৫ মাস বয়সী) কে নিয়ে ভ্রমণ করছিল টুইটারের মাধ্যমে বিমানবন্দর থেকে তার বিভীষিকার কথা বিশ্বকে জানান। একটা সবিরাম ওয়াই- ফাই সার্ভিস ব্যবহার করে তার পাঠানো টুইট মেসেজগুলো বিশ্বব্যাপী জিজ্ঞাসার একটা ঝড় বইয়ে দেয়। বিশ্বব্যাপী ব্লগার আর ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা তার বার্তা রিটুইট (পুন:প্রচার) করে আর তাদের নিজেদের ব্লগ আর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানায়।

যতক্ষণ না লায়লা এল হাদ্দাদকে আমেরিকাতে ফেরত পাঠানো হয় তিনি তার বিভীষিকা নথীভুক্ত করেছেন ফ্লিপ ব্যবহার করে (একটা ডিজিটাল ক্যামকর্ডার)।

এল হাদ্দাদেরর টুইটার আকাউন্ট, গাজামম এ তার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে টুইট মেসেজগুলো পড়লে শিড়দাঁড়া দিয়ে বিভীষিকার ঠান্ডা স্রোত বয়ে যায়।

তিনি আমেরিকায় তার ফেরা সম্পর্কে জানিয়েছে, যেখানে আমেরিকার ইমিগ্রেশন অফিসাররা বেশী সহানুভূতিশীল ছিল আর বুঝতে পারছিল না কেন মিসরীয় কর্তৃপক্ষ তাকে দেশে ফেরা থেকে আটকালো:

twitter message

এখন আমেরিকায় ফেরার পর তার শুভাকাঙ্খীরা টুইটারের মাধ্যমে তাকে বার্তা পাঠাতে ব্যস্ত। এখানে কিছু বার্তার সংক্ষেপ:

gv message

গ্লোবাল ভয়েসেস অনলাইনে এ সম্পর্কে আরও রিপোর্ট:

প্যালেস্টাইন: গাজা মা রওয়ানা হওয়ার ৩৬ ঘন্টা পরে কায়রো বিমানবন্দরে আটকিয়ে থেকে টুইটার করছেন

মিশর: আটকিয়ে থাকা ফিলিস্তিনি মা কায়রো বিমানবন্দর থেকে তার বিভীষিকা টুইট করছেন

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .