জর্দান: পোষাক, লোগো এবং ট্রাফিক আইন লংঘন

আপনি যে রঙের জামা পরেন তা কি আপনার ব্যক্তিত্বকে ফুটিয়ে তোলে? কৌতুহলকজনভাবে আরব অবজারভার বিষয়টি তুলে এনেছে:

সাধারণত অমি প্রচলিত জিনসের প্যান্ট এবং রঙ্গীন জামা পরি। এখন থেকে বেশ কয়েক বছর আগে যখন আমি কলেজে পরতাম তখন আমরা জামার রং পছন্দ কবার ক্ষেত্রে আমি মাত্র কয়েকটি বিবর্ণ রং-এর উপর নির্ভর করতাম। সে সময় ধূসর, কালো এবং নীল ছিল পুরুষদের জন্য সাধারণভাবে নির্ধারিত রং। পরে বসিনি, পুল এন্ড বিয়ার এবং জারা নামক ব্যান্ডগুলো আমাদের কাপড়চোপড় এ রং নিয়ে এলো। এরপর থেকে আমার মতো অনেক তরুণ নতুন ভাবে রংকে অবিস্কার করলো এবং গ্রহণ করলো। তবে সেই রংহীন পোশাক এখনও আমাদের প্রথা ও পৌরুষের প্রতীক। আমাদের অনেকের মধ্যে এখন বিদ্যমান রয়েছে যে পুরুষের অবশ্যই লাল এবং গোলাপী বর্ণের-এর পোশাক পরবে না। নতুন প্রজন্মের বিদ্রোহী অনেকে সামাজিক প্রথার মধ্যে আটকে থাকতে চান না এবং ঐতিহ্যবাহী পোশাক অনুসরণ করে যা আমরা পরি, এখন রঙীন জামা পরা প্রচলন হয়ে দাড়িয়েছে।

আমাদের স্টাইল এবং ফ্যাশন জানায় আমরা পৃথিবীর কোথায় আমাদেরকে দেখতে চাই। বেশ কিছু লোক বর্তমানে সারা পৃথিবীতে ফ্যাশানের যে ধারা চলছে তার প্রতি একটা নেশা তৈরী করে। স্টাইল এর প্রতি যারা ভক্ত তাদের জন্য একটা নতুন ব্লগ হলো স্টাইলোহোলিক (স্টাইলের প্রতি নেশাগ্রস্থতা)। যারা এই ব্লগে লিখেন সেই স্টাইলহোলিক লেখকদের বক্তব্যে মনে হয় গ্ল্যামার বা চাকচিক্যময়তাই বাস্তবতা। আমি সাধারণত ফ্যাশনব্লগের ভক্ত নই, কিন্তু এই ব্লগটি বেশ কৌতুহলজনক। এই ব্লগে গিয়ে দেখুন।

লাস আমাদের কাছে আম্মান শহরের লোগো বা প্রতীক নিয়ে এসেছে। এই প্রতীক এর উন্নয়ন কর্ম চলার সময় গ্লোবাল ভয়েসেস এর উপর রিপোর্ট করেছিল এবং এখন শহরের এই প্রতীকটিই নির্বাচিত হয়েছে।

logo

শহরের প্রতীক এমন প্রতীকচিহ্ন যা একটি শহরের সাথে এমনভাবে যুক্ত যা মানুষের কাছে তার নাম বা পরিচয়ের মতো। এটি একটি স্বাক্ষর, একটি পরিচয় এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় শহরেরর জন্য এই প্রতীক চিহ্ন অনেক বড় এক জায়গা তৈরী করে। কোন এক শহরের প্রতীক একটি একক ধারণা নয়। এটি এমন কি কোন কিছু নয় যা একত্রে বিশৃংখলভাবে রাখার মতো বিষয়, কোন ঘটনার মাধ্যমে বদলানোর, অথবা কোন গভীর চিন্তা বা বিবেচনা ছাড়া পাল্টানোর কোন বিষয়ও এটি নয়। একটি শহরের প্রতীক একটি সরকারি ও আনুষ্ঠানিক বিষয় এবং এই প্রতীক দিয়ে শহরটি অন্তত সবার কাছে পরিচিত হবে।

কোন শহরের প্রতীক বদলের চেষ্টা এমন এক প্রচেষ্টা যা জিএএম (কতৃপক্ষ) হাততালির মধ্যে দিয়ে পরিবর্তন করার চেষ্টা করবে। কিন্তু সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষেত্রে দায়িত্বশীলতার বিষয় রয়েছে এবং এই দায়িত্ব অবশ্যই অনেক বেশী পেশাগতভাবে পালন করতে হবে। আমি মনে করি তারা হঠাৎ করে মাথাঘামিয়ে কাজ করার বদলে আজীবনের জন্য কোন প্রতীক তৈরী করার ক্ষেত্রে আরো বেশী দায়িত্বশীল হবে। আমরা এখন যে ভাবে আম্মান শহরকে পছন্দ করছি অন্তত সে ভাবেই তার প্রতীক তৈরী হবে।

জর্দানের জন্য একটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে এনেছেন কিনজি, তা হচ্ছে জর্দানের ট্রাফিক আইন লংঘন। জর্দানের ট্রাফিক ব্যবস্থা বছরে অনেক মৃত্যুর কারণ ঘটায়:

আমি কি এখানে কিছু উপস্থাপন করতে ভুলে গেছি ? কোন গুরুত্বপূর্ণ বিস্তারিত বিষয়? কোন সংস্কৃতিক সুত্র? কোন ঐতিহ্যবাহী প্রথা যা আমারা চিন্তার বাইরে দিয়ে যাচ্ছে?

ট্রাফিক আইন লংঘন রাস্তায় সবার জন্য সমস্যার কারণ ঘটায়। এর জন্য অবশ্যই তাদের মূল্য দিতে হবে। কিন্তু অবশ্যই, আমি মনে করি আমরা চাইনা কেউ নিজের খারাপ ব্যবহারের দায়িত্ব না নিক। এটি অবশ্যই লজ্জাজনক।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .