ইরাক: নির্বাচন এলো এবং গেল

Vote
বেগুনী আঙ্গুলের ফিরে আসা‘ শিরোনামের ছবিটি পোস্ট করেছেন সামিনকি।

ইরাকে নির্বাচন এলো এবং চলে গেল। সেদিন সারা ইরাক বেশ শান্তই ছিল। যুদ্ধের পর সবচেয়ে বিরক্তকর একটা জাতীয় ঘটনা হিসেবে পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়াটিকে দেখা হয়। নাজমা এই ঘটনার কিছু অংশ তুলে ধরেছেন। বিষয়টি যেন অনেকটা বিশেষ কোন লক্ষ্য ছাড়াই লেখে হয়েছে এবং তা মাঝপথে এসেই শেষ হয়েছে।

গতকালের আগেরদিন আমাদের বাড়ীর কাছে একটা বোমা বিস্ফোরিত হয়। তবে আমরা আগেই সর্তক ছিলাম, ফলে এই বোমা বিস্ফোরণে খুব সামান্যই ক্ষতি হয়েছে (কেবল একটা জানালা উড়ে যায়)। প্রতিবেশীদের মধ্যে কেউ নিহত হয়নি। সৃস্টিকর্তাকে ধন্যবাদ।

ওহ! আমি প্রায় ভুলেই গেছি এই পোস্ট আসলে কি নিয়ে!

গতকাল, অবশেষে আমি ভোট দিতে গেলাম এবং কোন রকম কোন লড়াই না করেই (এই ভোটদান অনুষ্ঠানটি ছিল নিনেভের প্রাদেশিক কাউন্সিল নির্বাচন)। আমি খানিকটা বিভ্রান্ত হয়ে গেলাম। আমার মনে হচ্ছিল আমি যেন পড়াশুনা ছাড়াই পরীক্ষা দিতে যাচিছ। আমি ভোটদান কক্ষে গিয়ে নিজেকে বোকা বানিয়ে ফেললাম। ভোটের জন্য দেওয়া পরিচয়পত্রের বদলে নিজের পরিচয়পত্র বের করে ফেলেছিলাম। আমি জানতাম না কোন আঙ্গুল কালির বোতলে ডুবাতে হবে। আমি আমার ভোট দেবার কলমটি সাথে প্রায় নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু অবশেষে আমি ঠিকভাবে সব কাজ করতে পেরেছি এবং ভোট দিতে পেরেছি। এখন আমার আঙ্গুল বেগুনী বর্ণে রঞ্জিত। এই দৃশ্য প্রায়শই আমাকে আবাক করে। যতক্ষণ আমি আঙ্গুল দেখি, আমি ভোটের কথা স্মরণ করি।

কিন্তু এই ভোট আসলে ব্লগারদের উপর কি প্রভাব তৈরী করেছে:

কবিতা:

নয় কোন কাগুজে বাঘ
লেখিকা: লায়লা আনোয়ার

আমি কমিউনিষ্ট নই
অথবা মার্কসবাদী-লেলিনবাদী
আমি নই সাম্যবাদী
আমায় জাতীয়তাবাদী বলাও কঠিন
এমনকি নই আরব গোত্রের একজন
নই কারো মতোই
যদিও আমি ট্রটস্কিপন্থী হয়ে রই
আমি চলি মৃদু ছন্দে, একা
এবং ভালোবাসি একাকিত্ব
উদাসীনতা
বন্যতা
এক কগুজে বাঘের বনে
আমি মাওবাদি নই, না
মোড়ক, আমি পরীক্ষা করে দেখেছি
তারপর মোড়ক খুলে ফেলেছি
একে একে সব
কি এক আনন্দ ছিল এই উন্মোচনে।
আমি কবিও নই
কালি শুকিয়ে গেছে
লেখার পাতায় আঁচড় পড়েছে
যেমন কাঠের মধ্যে ফাটল
এক তীব্র আগুন
তুমি বসে আছো, তুমি জানো
তুমি সেখানে,
এখানে
সবখানে

এ সেই জায়গা যেখানে তুমি বাস কর
একজায়গায়
ঝুলে থাকো
এক নরক অগ্নিকুন্ডের মাঝে
তোমার কোন বর্ণ নেই
ধর্ম নেই
জাতীয়তা নেই
তুমি বাস কর
কাগজে
কাগজের বাঘ
আমি মানবতা ভালোবাসি
একজন না হয়ে
কেবল এক একাকি কন্ঠস্বর
জমে যাওয়া শীতে
কেবল তুমি আর আমি
হেঁটে বেড়াই
এমন এক রাস্তায়
যার কোন নাম নেই

গণতন্ত্রের রাজনীতি

সালাম প্যাক্স প্রকৃতই একজন ইরাকী ব্লগার। তিনি আবার ব্লগ করতে শুরু করেছেন। তিনি ইরাকে ফিরে এসেছেন। তিনি তার পরিবারের সাথে বসে আছেন। সালাম হিসেব করার চেষ্টা করছেন কাকে ভোট দেওয়া যায়:

ইরাকে মোট ১৮টি প্রদেশ রয়েছে। প্রত্যেকটি প্রদেশের নিজস্ব কাউন্সিল বা পরিষদ রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় কাউন্সিল হলো বাগদাদ। এখানকার কাউন্সিল সদস্য ৫৭ জন। এই ৫৭টি পদের জন্য প্রার্থী ছিল অসাধারণ রকমের বেশী। মোট ২৩৭১জন প্রার্থী কেবল বাগদাদের নির্বাচনে দাড়িয়েছিলে। সারা ইরাকে মোট প্রার্থী ছিল ১৪,৪০০ জন।

এতগুলো প্রার্থীর আওয়াজ, ভোটারকে প্রতিবাদ স্বরুপ ভোট না দেবার জন্য যথেষ্ট বলে বিবেচনা করা যায়।

আমি তাই ভেবেছিলাম, এরা আসলে কারা? আমি আপনাকে নিশ্চিত করে বলতে পারি, আমরা মতো এক কোটি পঞ্চাশ লক্ষ ইরাকীও একই ভাবনা ভাবছিল।

গত দুই সংসদ নির্বাচনে নির্বাচন প্রক্রিয়টি ছিল সহজ। একই দল এবং একজন ব্যক্তি পুরো দেশ জুড়ে নির্বাচনের জন্য দাঁড়িয়ে, নির্বাচনকে সহজ করে দেয়। এবার আলাদা প্রদেশের জন্য ছিল আলাদা ব্যবস্থা। আমি বের করার চেস্টা করছি এই ১৪ হাজার প্রার্থী কিসের জন্য দাড়িয়েছিল, কিন্তু তা বের করা অসম্ভব।

সালাম-এর কাছে যে নির্বাচন বিভ্রান্তপুর্ণ মনে হচ্ছে শেষ পর্যন্ত ইরাকীদের কাছে তা ধুয়াছন্ন বলেই মনে হয়েছে:

গতকাল এক স্বতন্ত্র ইরাকী প্রার্থী ইরাকের স্থানীয় এক টিভি চ্যানেলে এক বির্তক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এই বির্তকে এক অদ্ভুত আইন নিয়ে আলোচনা করা হয়। নির্বাচনী আইনে রয়েছে যদি কোন প্রার্থী নির্দিষ্ট পরিমাণ ভোট পেতে ব্যর্থ হয় তাহলে তার সকল ভোট সবচেয়ে যে বেশী ভোট পেয়েছে তার ভোট হিসেবে যোগ হয়ে যাবে। উত্তম! এখন কে নির্ধারণ করবে কে সবচেয়ে বেশী ভোট পেল এবং কে সবচেয়ে কম? এটা অসম্ভব একটা ব্যাপার! যদি আমি কোন নিরপেক্ষ কোন প্রার্থীকে ভোট দেই এবং সে নিদিষ্ট পরিমাণ ভোট পেতে ব্যর্থ হলো তাহলে কেন তার ভোট গিয়ে একজন ইসলামিপন্থী দলের উন্মাদ-এর ভোটের সাথে গিয়ে যোগ হবে? কোন যুক্তিকে তা করা হবে?

কিছুদিন আগে আমি এক আত্মীয়ের সাথে আলাপ করছিলাম, যিনি প্রধানমন্ত্রী আলমালিকি কতৃক নির্বাচিত পুরো প্রার্থীর তালিকা হাতে পেয়েছেন। আমরা এই তালিকা দেখে খুব হাসলাম—-এর কারন ছিল এই তালিকার বেশ কিছু নাম। তার প্রাথীদের নামের তালিকা এবং তাদের শিক্ষার স্তর দেখে— তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, আপনি অলৌকিক কিছু আবিস্কার করতে পারেন, একজন লিখেছেন, তিনি ডাক্তার হতে যাচ্ছেন!!!

আরেকজন জানাচ্ছে, তার পিতা একজন ডাক্তার!!! এবং একজন প্রার্থী যিনি সত্যিকারের ডাক্তার তিনি জানাতে পারেননি তিনি আসলে কিসের ডাক্তার?—– হে সৃষ্টিকর্তা , আপনি আমাদের উপর দয়া বর্ষণ করুন।

কিন্তু হাম্মুরাবি অনেক বেশী আশাবাদী ছিলেন:

এই নির্বাচন ইরাকের রাজনৈতিক জনগোষ্ঠীর (শিয়া, সুন্নী, কুর্দী) মানচিত্রকে এমনভাবে পাল্টে দেবে যাতে ইরাক আরো পরিণত রাস্ট্র হিসেবে সামনে এগিয়ে যেতে পারে। ইরাকের নাগরিকরা তাদেরকেই নিজেদের কন্ঠস্বর তুলে ধরার দায়িত্ব দেবে যারা ইরাকী সমাজের মঙ্গল এবং উন্নত জীবনের জন্য এক সুন্দর দৃষ্টিভঙ্গী ধারন করে।

যদি আগের নির্বাচনের সাথে তুলনা করি তাহলে এটি অনেক পরিণত ভাবনা। আগে জাতিত্ব এবং দলীয় বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হতো। এখন সবাই একটা পরিবর্তন চাইছে যা কিনা ভালো একটা মাধ্যম হয়ে আসবে এবং এই নির্বাচন কিছু পরিণত মানসিকতার দিক নির্দেশ দিচ্ছে। যতই পরবর্তী নির্বাচন প্রক্রিয়া আগের নির্বাচনের চেয়ে স্বাধীন ও সহজ হবে ততই ব্যাক্তি নিজের পছন্দমত দায়িত্বশীল প্রার্থী বেছে নিতে পারবে। এটি সে পারবে কোন রকম চাপ ছাড়াই।

ভীতি প্রর্দশন:

দুইজন ব্লগার জানাচ্ছেন পার্টিগুলো তাদের বিরুদ্ধ দলকে হুমকি এবং ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। লেইলা ফাদেল তিনজন প্রার্থী সমন্ধে বলছেন, যারা নির্বাচনের আগে নিহত হয়েছেন।

তিনি লিখছেন:

শনিবার প্রদেশিক পরিষদের নির্বাচন হয়েছে এবং প্রার্থীরা ঝরে পড়েছে। আজ তিনজন খুন হয়েছে। মুসলে একজন, বাগদাদে অন্যজন, এবং আরেকজন নিহত হয়েছে দিয়ালা প্রদেশে। এখানে প্রায় সবাই এটা মেনে নিয়েছি যে এ রকম মৃত্যু ঘটবে। সম্প্রতি যথারীতি আরো দুজন নিহত হয়েছেন।

আমেরিকায় এটা অনেক বড় সংবাদ, কিন্তু এখানে সংঘাতের এই বাস্তবতায় এটি অন্য যে কোন দিনের চেয়ে ভালো অবস্থা। এক ভীতিজনক সময়ের বাস্তবতায় এ এক বিশাল উন্নয়ন। যা এক বছর আগের তুলনায় অনেক ভালো। কিন্তু এখনও অনেক রক্তপাত ঘটছে।

এবং ফাতিমার এক বন্ধু যে কিনা বাগদাদের কাউন্সিল চালাতেন, ভোটের আগের দিন একটা গাড়ী তার বন্ধুর বাড়ীর কাছে এসে গুলি করে এবং তার শ্বাশুড়ীকে হত্যা করে। ফাতিমা লিখছেন:

এই সব উন্মাদের এখন জেগে ওঠা প্রয়োজন। শংকা, হত্যা, এবং ভয় ছড়ানোর এই কৌশল পরিবর্তন করা প্রয়োজন। তাদের বোঝা উচিত যে সৃষ্টিকর্তা তাদের পক্ষে নয়। তিনি সংঘাত, মৃত্যু, হত্যা এবং শিশুদের এতিম ও নারীদের বিধবা বানানোদের দলে থাকবেন না।

ভোটের দিনে রাস্তার কণ্ঠস্বর:

শ্যাগি ভোট দিতে গিয়েছিল। কিন্তু আশেপাশে কোথায় কোন ভোটদান কেন্দ্র পাচ্ছিলেন না যেখানে তিনি ভোট দিতে পারেন:

সাধারণত আমরা কাছেই ভোটদান কেন্দ্র খুঁজে পাই। ভোট দেই এবং ভোট কেন্দ্র ত্যাগ করি। তারা আমাদের যে ভোটদান কেন্দ্রে পাঠিয়েছিল সেটি আমার নিকট প্রতিবেশীর এলাকায় অবস্থিত। আমার বাসার থেকে থেকে সামান্য দুরে দুটি ভোটদান এলাকা রয়েছে।

আমার ভোট দিতে যাওয়া ছিল আমার শেষ মুহুর্তের সিদ্ধান্ত্, কিন্তু আমি মনে করি না তালিকার কেউ একজন আমার ভোট পেতে পারে। আমাকে যা বিরক্ত করছে তা হলো এক ভোট কেন্দ্র থেকে আরেক ভোটে কেন্দ্রে উদভ্রান্তের মতো হেটে যাওয়া। আমি একটা প্রতীকচিহ্ন আবিস্কার করলাম যা আমাকে ধারণা দিল জনাসাধারণের জন্য তৈরী পার্কের মধ্যে একটা ব্যাংক তৈরী হচ্ছে। বতর্মানে পার্কটি জরাজীর্ণ কিন্তু এক সময় পার্কটির অনেক সম্ভবনা ছিল। এটি সেই জায়গা যেখানে আমি প্রথম আমাকে খুঁজে পাই।

সামিনকি দিনটিকে উপভোগ করছেন:

আমি সকাল ১১ টার সময় উঠলাম। ওয়াও! দিনটির শুরুটা ভালো লাগলো। আজকের এই দিনটিতে আমি অলস পড়ে শুয়ে থাকতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমি আমার কফি শেষ করলাম, তারপর পোশাক পরলাম এবং ভোট দিতে বের হলাম। প্রথম স্কুলের ভোটার তালিকায় আমার নাম ছিল না, দ্বিতীয় স্কুলটিতেও নাম পাওয়া গেল না। তারা আমাকে তিন নাম্বার স্কুলে যেতে বললো। সেখানকার তালিকা থেকে নাম খুঁজে বের করতে বললো। স্কুলটি সেখান থেকে সামান্য দুরে অবস্থিত। আমি বিষন্ন মনে সেখানে গেলাম। আমি পথে শংকিত বোধ করলাম যে সেখানেও আামি আমার নাম খুঁজে পাবো কিনা, কিন্তু আমি পেলাম এবং জোরে চেচিয়ে উঠলাম, এইতো এখানেই আমার নাম।

ভোটদান কক্ষে আমি কয়েকজন সুন্দরী মহিলাকে দেখলাম। তারা হাসছিল। তারা এত চমৎকার আচরণ করছিল মনে হচ্ছিল তারা বেহেশত থেকে নেমে আসা সুন্দরী। আমি ভোট দিলাম। তারা বললো, ধন্যবাদ। আমি বললাম, আপনাদেরও ধন্যবাদ, একটা হাসি দিয়ে আমি ভোটদান কক্ষ থেকে বের হয়ে এলাম। আমি দেখলাম অনেক পরিবার ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের সুখী দেখাচ্ছিল। এক পরিবারের বাবা ও মার বৃদ্ধাঙ্গুলিতে কালির ছাপ দেখতে পেলাম। আমরা একে অন্যকে অভিবাদন জানালাম চুম্বনের মাধ্যমে যা সাধারণত ইরাকিরা করে থাকে। আমি আবার ভোটকেন্দ্রে ফিরে গেলাম। তার ভোট দেওয়া পর্যন্ত অপেক্ষ করলাম। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম না সে কাকে ভোট দিল সেও আমাকে জিজ্ঞেস করল না আমি কাকে ভোট দিল। আমরা ইরাকীরা আলাদা আলদা দৃষ্টিভঙ্গি ধারণ করি। এটাই আমাদের একে অন্যকে শ্রদ্ধা জানানোর উপায়। আমরা ধীরে ধীরে হেঁটে গেলাম এবং বিভিন্ন স্মৃতি নিয়ে কথা বললাম আমাদের কোয়ার্টার কত সুন্দর ছিল। আমরা আশা করছিলাম সেটি আবার তার সৌন্দর্য ফিরে পাবে এবং আমরা আমাদের বেগুনী রঙের কালিতে ভরা আঙ্গুল নিয়ে গর্বিত ছিলাম।

এবং নির্বাচনের দিন সিজার অফ পেনট্রা কি করবেন তা নিয়ে দ্বিধায় ছিলেন:

সত্যি বলতে কি, আমি নিশ্চিত ছিলাম না আমি ভোট দিব। অনেক কারনেই আমি এ বছর ভোট দিব না বলে মন স্থির করেছিলাম।

এক) কোন বিশেষ প্রার্থী মনের মধ্যে এমন ছিল না যাকে ভোট দিতে পারি। নির্বাচন কার্ডে বেশীর ভাগ দল ও তাদের প্রার্থীদের যে তালিকা দেওয়া হয়েছিল তাদের প্রতি আমার আস্থা ছিল না।

দুই) আশাবাদী হয়ে দেখা যে, নির্বাচন সংযুক্ত এবং পক্ষপাতদুষ্টহীন হবে, তেমনটি মনে হয়নি। গুজব ছিল এর আগে ২০০৫ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে কারচুপির অনেক ঘটনা ঘটেছিল। এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল প্রায় পুরো ভোট প্রদানের শতকরা ৩০ ভাগ।

তিন) মোটর সাইকেল চালানোর উপর কার্ফিউ জারি করা। আমরা সবচেয়ে কাছের ভোটকেন্দ্রের দুরত্ব ছিল প্রায় ২ কিলোমিটার।

চার) আমি এই অদ্ভুত কালি আমার হাতে লাগাতে চাই না।

তবে পরে সত্যিকার অর্থে আমি অনুভব করলাম এমন এক গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অংশগ্রহণ না করাটাই একটা অপচয়। বিশেষ করে যদি আমি সরকার, সংসদ এবং স্থানীয় প্রশাসনের সমালোচনা করতে চাই তাহলে ভোট না দেওয়াটাই অন্যায় হবে। আমি অবশ্যই ভোট দিয়ে কোন প্রার্থীর পক্ষে যাকে আমি পছন্দ করি এবং অনেক বেশী সৎ, তবে সত্যি বলতে কি আমি এতটা — ক্লান্ত বোধ করছিলাম যে এই সুন্দর শীতকালের সকালে তাজা হবার জন্য কোথাও থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছিলাম।

যেখানে নির্বাচন হচ্ছে আমি সেই দিকে গেলাম এবং চার বছর আগে যে দলের জন্য ভোট দিয়েছি তাদের এলাকায় দাড়ালাম। তারা ধর্মনিরপেক্ষ দল, কিন্ত সে সময় তারা খুব বেশী সিট পায়নি। আশা করি এ বছর তারা জিতবে। আমি আশা করি যারা ইরাকের সেবা করতে চায় তারাই সত্যিকারের জয়লাভ করবে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .