মিশরীয় ব্লগারদের বইমেলা

পনেরটির বেশী শিরোণামে বই প্রকাশ করে মিশরীয় ব্লগাররা কায়রো আন্তর্জাতিক বইমেলাতে তাদের সরব উপস্থিতি দেখিয়েছে।
মোহাম্মাদ হামদি লিখেছেন:

من جديد يثبت المدونين المصريين أنهم مازالوا تحت دائرة الضوء فى مصر … هؤلاء الشباب الذين إتخذوا من الكتابة عبر الإنترنت وسيلة لجذب إنتباه مجتمع كامل إليهم … اليوم تتبلور نتائج أعمالهم من خلال معرض الكتاب المصرى لعام 2009 فمع إنطلاق فعاليات المعرض كانت أولى ندوات المعرض والتى ستقام الخميس عن أدب المدونين حيث يشارك فيها المدونين غادة عبد العال و شادى أصلان ومياده مدحت وسينظمها الكاتب الكبير الأستاذ يوسف القعيد
كتب المدونين فى المعرض لا تعد ولا تحصى .. المدون المصرى محمد التهامى يصدر له رواية هيروبولس وكتاب “إشتغل وإنت فى البيت” بالإضافة لإعادة بيع مجموعته القصصيه السابقة بنى أدم مع وقف التنفيذ. ساديزم هو عنوان المجموعة القصصية التى يصدرها المدون محمد الغزالى. وتصدر فى معرض الكتاب ثلاثة كتب اخرى يصدرها مدون أخر هو حسام مصطفى ابراهيم حيث يصدر له كتب “لولا وجود الحب” و “من غلبى” و “يوميات مدرس فى الأرياف”
فنان … كاتب .. شاعر.. والأروع : مدون بالتأكيد نتحدث عن الفنان خالد الصاوى والذى يصدر له ديوان أجراس والنص المسرحى اللعب فى الدماغ ويوميات خلود. للكاتبة والناقدة والصحفية والمدوّنة هويدا صالح صاحبة مدوّنة عشق البنات تصدر لها رواية عشق البنات خلال معرض الكتاب الحالى
أما عن ظاهره اشتراك اكثر من مدون فى إخراج كتاب واحد فهى تجربه جديده .. بدأتها بدرية طه وبسمه عبد الباسط من خلال كتاب “البنات عاوزه ايه” , ثم تبعهم محمد كمال حسن ومصطفى الحسينى بكتاب “قهوة المصريين” المدونة سحر غريب سيدصدر لها كتاب “حماتى ملاك” ويصدر لمحمد فتحى مجموعة مقالات فى كتاب بعنوان “مصر من البلكونه”
والسؤال هو : هل نشهد ظاهرة تحول التدوين من ظاهره الكترونية الى ظاهره مقروؤة ؟ وما هى الحدود الحقيقية لهؤلاء الجالسين خلف الشاشات المضيئة يكتبون؟

মিশরীয় ব্লগাররা আরেকবার তাদের দৃঢ় অবস্থান বজায় রাখার প্রমান দিয়েছে; ঐসব সতেজ মন তাদের সমাজ সম্পর্কে এবং সমাজকে বলার জন্য তাদের বক্তব্যগুলোর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য বেছে নিয়েছে ব্লগিং। আজ তাদের অনস্বীকার্য উপস্থিতি ২০০৯ কায়রো আন্তর্জাতিক বইমেলার প্রথম সেমিনারে স্বীকৃতি প্রদান করে যেখানে ব্লগারদের লেখার অগ্রগামী ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেমিনারটি আয়োজন করে বিশিষ্ট লেখক ইউসুখ আল কা’য়েদ এবং ব্লগার ঘাদা আবদেল আ'ল, সাদি আসলান এবং মায়েদা মেধাত যারা সাহিত্যিক ব্লগার হিসেবে তাদের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেছেন। অগনিত ব্লগারদের বই তাকে শোভা পাচ্ছে; মোহাম্মাদ এল তোহামি এর দুটি নতুন বই রয়েছে সেখানে-“হাইরাপোলিস” এবং “ওয়ার্ক ফরম দি হোম”- সেই সাথে আছে তার প্রথম উপন্যাস “এ হিউম্যান বিইং অন হোল্ড” এর পুন:সংস্করণ। ব্লগার মোহাম্মাদ আল গাজালির নতুন উপন্যাস “স্যাডিজম”। হোসাম মোস্তফা ইব্রাহীম এর তিনটি নতুন বই আছে সেখানেঃ “বাট ফর লাভ”, “আউট অফ হেল্পলেস নেস” এবং “ দি ডেইলি ডায়েরীস অফ অ্যা টিচার ইন দ্যা কান্ট্রিসাইড”। খালেদ এল সুই যে কিনা একজন অভিনেতা, একজন লেখক, একজন কবি এবং একজন ব্লগার , তার কবিতার বই বের করেছে “বেলস” শিরোণামে, নাটক লিখেছে যার নাম “মাইন্ড গেমস” এবং একটি উপন্যাস লিখেছে যার নাম “খোলুদ’স ডায়েরীস”। লেখক, সাংবাদিক এবং সমালোচক সালেহ তার ব্লগ “ গার্লস ইন ফ্যাচুয়েশন” এর নামে একটি বই প্রকাশ করেছে।

উল্লেখ্যযোগ্য আরকটি বিষয় হলো দুই জন ব্লগারের একত্রে বই প্রকাশ। বাদিরা তাহা এবং বাসমা আবদেল বাসেত তাদের বই “হোয়াট ডু গার্লস ওয়ান্ট ?” এই বিষয়টি শুরু করেছে যা তারা অনুসরণ করেছে মোহাম্মদ কামাল হোসান এবং মোস্তফা আল হুসেইনী এর বই “ ইজিপসিয়ান’স ক্যাফে”। সাহার ঘারিব তার বই “মাই মাদার ইন ল ইজ অ্যান এঞ্জেল” এর এবং মোহাম্মাদ ফাতি “ ইজিপশিয়ান সিন ফরম দি ব্যালকনি” শিরোণামে একটি প্রবন্ধ সংকলন প্রকাশের আশা করে।
ফেসবুক গ্রুপ নিমন্ত্রণ এবং বই ও বই মেলা ইভেন্ট প্রমোট এর দ্বারা এ বিষয়ে একাত্ম হয়েছে। আমার প্রশ্নঃ আমরা কি এমন একটা ঐতিহাসিক মুহর্তের স্বাক্ষী হচ্ছি না যা কিনা ব্লগীংকে স্ক্রীণ হতে ছাপায় পরিণত করছে? স্ক্রীণের বাইরে এইসব লেখকদের ভূমিকা কি হবে?

ব্লগার আহমেদ আল সাব্বাঘ একটি ফেসবুক গ্রুপ এবং অনেক ধরনের ইভেন্ট তৈরী করেছ সেইসব ব্লগারদের জন্য যারা একা একা না গিয়ে একত্রে মেলা পরিদর্শনে যেতে আগ্রহী তাদের। গ্রুপে প্রায় ২০০০ সদস্য নিবন্ধন হয়েছে এবং সপ্তাহান্তের দিনটি একত্রে গ্রুপে মেলায় যাওয়ার জন্য ঠিক করেছে।

ونظراً لرغبة الكثيرمن الأصدقاء والمدونين فى عمل زيارة جماعية للمعرض فقمت بتأسيس جروب للمعرض على الفيس بوك معرض القاهرة الدولي للكتاب لعام 2009
ويضم حالياً أكثر من ألف وسبعمائة عضو وأقترح عمل أربع زيارات جماعية فى الأيام الأتيه
الجمعة 23/1/2009
السبت 24/1/2009
الجمعة 30/1/2009
السبت 31/1/2009

যেহেতু অনেক বন্ধু এবং ব্লগার একত্রে মেলায় যাওয়ার চিন্তা ভাবনা করেছে, তাই আমি কায়রো আন্তর্জাতিক বইমেলা ২০০৯ এর জন্য এমন একটা ফেসবুক গ্রুপ দেখেছি যেখানে বর্তমানে সদস্য সংখ্যা ১৭০০ এর বেশী। আমি নিম্নোক্ত দিনগুলোতে একত্রে মেলা পরিদর্শনের জন্য পরামর্শ দিয়েছি।

জানুয়ারী ২৩
জানুয়ারী ২৪
জানুয়ারী ৩০
জানুয়ারী ৩১

মোহাম্মাদ হামাদীর নোটে উল্লেখ বইগুলো ছাড়াও আহমেদ আল সাব্বাঘ আরও অনেক ব্লগারদের বই এর নাম উল্লেখ করেছেনঃ
আল সাব্বাঘ হাশাম আবেয়ার বই “এম কেস” সম্বন্ধে এখানে এবং ন্যান্সি হাবিব এর বই “ আই লাভ দ্যা সিনেমা” সম্বন্ধে এখানে লিখেছেন।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .