ইরানী সরকার গাজা সমস্যাকে ব্যবহার করছে দমননীতি চালাতে

যখন গাজা স্ট্রিপে ইজরায়েলের আক্রমণকে তিরষ্কার করার জন্য বেশ কয়েকজন ইরানী ব্লগার (ইসলামপন্থী সহ) তাদের ব্লগের লেখনীতে সোচ্চার হয়েছে আর বিভিন্ন ডিজিটাল উদ্যোগ যেমন একটা গুগল বম্ব চালু করেছে, তখন অন্য কিছু ব্লগার বলছেন যে ইরানী সরকার ‘গাজার সমস্যার মুহূর্তকে’ ব্যবহার করছে দেশের ভিতরের মিডিয়া আর সুশীল সমাজকে দমন করার জন্য।

গত সপ্তাহে ইরানী কর্তৃপক্ষ একটা প্রথমসারীর সংস্কারবাদী পত্রিকা কারগোজারান বন্ধ করে দেন। কারন এটি একটি ছাত্র আন্দোলনের ইশতেহার ছাপিয়েছিল (তাহকিম ভাহদাত) যেখানে ইজরায়েলকে তিরষ্কার করা হয়েছিল কিন্তু ফিলিস্তিনি সন্ত্রাসী দলগুলো সম্পর্কেও বলা হয়েছিল যারা হাসপাতাল আর স্কুলে সন্ত্রাসী হিসাবে আশ্রয় গ্রহণ করে।

প্রথমসারীর কার্টুনিস্ট আর ব্লগার নিক আহনাগ বেশ কয়েকটা কার্টুন প্রকাশ করেছেন গাজা হামলা নিয়ে। বিষয়বস্তু হচ্ছে একদিকে ইজরায়েল আর প্যালেস্টাইনের মধ্যে ক্ষমতার অসম ভাগ আর অন্য দিকে ইরানী সরকারের দমন। একটি কার্টুনে দেখা যায় গাজা লেখা বড় একটা হাতুড়ি কারগোজারান পত্রিকাকে আঘাত করছে। কার্টুনে মনে হয় যেন নারী, শিক্ষক আর ছাত্ররা হামলার পরবর্তী লক্ষ্য।

cartoon

ব্লগার জমহুর সেই ইশতেহার সম্পর্কে লিখেছেন যেটার জন্য একটা সংস্কারবাদী পত্রিকা বন্ধ হয়ে গেল। তিনি বলেছেন (ফার্সী ভাষায়):

این سطور شاید اتفاقن منطق بسیاری از سیاسیون امروز ایران باشد که جرات و جسارت بیان انرا به خود نمی دهند. منطقی که غزه را بهانه ی خوبی برای فرار از مشکلات روز افزون اقتصادی و اجتماعی داخلی ارزیابی می کند. همچنین باید این سوال را امروز مطرح کرد اتفاقی که سال گذشته در فلسطین و در درگیری میان حماس و فتح رخ داد را چگونه باید ارزیابی نمود.
در آن زمان نیز صدها فلسطینی کشته و زخمی شدند. گروه های درگیر فلسطینی حتی به اجساد کشته شدگان نیز رحم نمی کردند. خشونت به حدی بود که تعدادی از هوادارن الفتح به اسرائیل پناه بردند.

এই ইশতেহারের পেছনের যুক্তি এটাই হতে পারে যে হয়তো অনেক ইরানী রাজনীতিবিদ মনে করেন, কিন্তু প্রকাশের সাহস নেই, যে গাজা সমস্যা একটা অজুহাত [ইরানী কর্তপক্ষের জন্য] দেশের বাড়তি সামাজিক আর অথনৈতিক সমস্যা থেকে পালানোর জন্য। আজকে আমাদের নিজেকে জিজ্ঞাসা করা উচিত যে আমরা কিভাবে মূল্যায়ন করব, গত বছরের হামাস আর ফাতাহর মধ্যকার সংঘর্ষ যেখানে শত শত ফিলিস্তিনী হতাহত হয়েছিল। সংঘর্ষ এতো ভয়ঙ্কর ছিল যে কিছু ফাতাহ সমর্থক ইজরায়েলে আশ্রয় গ্রহণ করে।

এই ব্লগার পরিশেষে বলেছেন যে ইজরায়েলের বর্বর হামলা আর কিছু ফিলিস্তিনি নেতার দূর্নীতি সন্ত্রাসী দল আর যারা গোত্রের আর ধর্মীয় ঘৃণাকে উস্কিয়ে দেয় তাদেরকে লালন করে।

মিবিবি ব্লগে আমরা পড়েছিলাম:

اما ضرر این بستن اینه که علاوه بر بیکار شدن دهها نفر، سخت تر می شه فجایع غزه رو به اطلاع اون از دسته از مردم ایران رسوند که از صدا و
سیما و سایتها و روزنامه های حکومتی دلزده شدند و اعتباری برای خبرهاشون قائل نیستند

কারগোজারানের বন্ধ হওয়া অনেক লোককে বেকার করেছে, আর এটা [অন্য কোন বেসরকারী পত্রিকা ছাড়া] আরো কঠিন হয়ে যায় মানুষকে জানানো যারা গাজার ব্যাপারে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন আর ওয়েবসাইটকে বিশ্বাস করে না।

ব্লগার হোসেন গাজিয়ান সেন্সরের ব্যাপারেও অভিযোগ করেছেন। ব্লগার বলেছেন [ফার্সী ভাষায়]: “আমরা যদি ইজরায়েলকে রক্ষা করতে না পারি আর প্যালেস্টাইনের বিরুদ্ধে কথা বলতে না পারি, তাহলে আমার কথা ইজরায়েলের দখল আর আগ্রাসনকে তিরষ্কার করার মূল্যহীন আর কোন কাজের না…”

সেট বেহেসত লিখেছেন ‘ইরানী টিভির ব্যর্থতা আর সেন্সরশীপ’ নিয়ে। এই ব্লগার বলেছেন:

اين روزها در همه جاي ايران هرجا كه صحبتهاي سياسي ميشود همه از درگيري حماس و اسراييل است و صدا و سيما نيز به اين بحثها دامن ميزند و عجبا كه هنوز هم حضرات متوجه اين موضوع نشده اند كه تبليغات تلويزيون براي حماس جنبه منفي دارد كم نيستند كساني كه با مبالغه دانستن اخبار تلويزيون نسبت به اخبار غزه جبهه گيري نموده و عجيب تر اينكه بيشتر افرادي كه وارد اين بحثها ميشوند عليرغم اين همه تبليغ صدايي و سيمايي و مطبوعاتي نه از حماس كه از اسراييل حمايت مي كنند. چه اتفاقي رخ داده است كه اين چنين شده و مردم در مقابل انبوه اخبار رسانه اي داخل كشور گاه به اخبار خارج از كشور متوسل شده و يا اصولا چون رسانه هاي دولتي اينگونه از حماس دفاع ميكنند به نتيجه عكس رسيده اند شوربختانه هنوز حضرات متوجه اين موضوع نشده اند و همچنان بر طبل توهم خويش مي كوبند كه شايد در مردم ايران تاثيري داشته باشد

এখন ইরানের সব জায়গায় মানুষ যখন রাজনীতি নিয়ে কথা বলে, তারা হামাস আর ইজরায়েলের সংঘর্ষের কথা আলোচনা করছে। ইরানী জাতীয় টিভি এই আলোচনায় ইন্ধন যোগাচ্ছে, কিন্তু ইরানী কর্তপক্ষ এখনো বোঝেনি যে টিভিতে তাদের প্রচারণা হামাসের জন্য ক্ষতিকর হচ্ছে। ইরানী টিভির লক্ষ্যের বিপরীতে, বেশ কয়েকজন আছে যারা ইরানী টিভির প্রচারনার জন্য হামাসের বিরুদ্ধে গিয়ে ইজরায়েলকে সমর্থন করছে… দূভাগ্যবশত ইরানী কর্তপক্ষ এটা বোঝে নি, আর তাদের বিভ্রান্ত আশা চালিয়ে যাচ্ছে [তাদের প্রচারণা] যে তা ইরানীদের প্রভাবিত করবে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .