মরোক্কো: ‘আমরা সবাই গাজা’

কাক যে দিকে ওড়ে সেই হিসেবে রাবাত গাজা থেকে ২৩৯৩ মাইল দূরে, কিন্তু তা মরোক্কানদের থামায়নি ফিলিস্তিনিদের প্রতি দৃঢ় একাত্মতা প্রকাশ করতে। গাজায় ইজরায়েলের আক্রমণ যত জোরালো হচ্ছে, মরোক্কোর ব্লগাররা কথা বলছেন।

আল মিরাতের হিচাম, যিনি নিচের ছবিটা পোস্ট করেছেন, আমাদেরকে মনে করিয়েছেন যে আমরা সবাই এখন গাজাবাসী আর এই কথা বলেছেন অন্য একটা পোস্টে:

ভাবাদর্শের দিক থেকে আমি হামাসের সমর্থক নই, কিন্তু পছন্দ করি বা না, এদেরকে ফিলিস্তিনিরা পছন্দ করেছে তাদেরকে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য। কারন ফাতাহর থেকে হামাস স্বচ্ছ (এর মূল রাজনৈতিক শত্রু) আর এর সুচনালগ্ন থেকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার ভালো ইতিহাস আছে। আর এই গণতান্ত্রিক পছন্দ হচ্ছে স্বাভাবিক ফল অনেক বছরের ইজরায়েলী নিয়মতান্ত্রিক অবমাননা, হয়রানী, ঘৃণা তাদের জন্যই যারা নেতৃত্ব চেয়েছে, আর অবশ্যই রাজনৈতিক হত্যা আর বিভীষিকার রাজত্বের।

যখন ৫০, ৬০, ৭০ এমন কি ৮০র দশকে বেশীরভাগ ফিলিস্তিনি সশস্ত্র বিপ্লবী ধর্মনিরপেক্ষ ছিল আর বেশীরভাগ একটা ‘গতানুগতিক’ স্বাধীনতার যুদ্ধ করছিল (যেমন সাধারণ জনগণকে আক্রমণের লক্ষ্য না করা আর সন্ত্রাসী হামলা পরিহার করা- কেবল মাত্র কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া), ইজরায়েল একই নৃশংসতা দিয়ে আঘাত করে ফিলিস্তিনিদের একটু একটু করে চরম সীমায় ঠেলে দিয়েছে।

Gaza

মরোক্কোর ব্লগোস্ফিয়ারের একজন সম্মানিত সদস্য বর্তমানে আমেরিকা প্রবাসী ইটবিস একটি মারাত্মক ছবি পোস্ট করেছেন আর মন্তব্য করেছেন:

অনেকের মতো, গত কয়েক দিনে গাজাতে যা হচ্ছে সেই ব্যাপারে আমি ব্যথিত।

এই ব্যাথা কষ্টে পরিণত হয় যখন আমেরিকার মিডিয়ারে একতরফা লেখা পড়ি, যেটা কখনো ইজরায়েলের ‘নিজেকে রক্ষা করার অধিকার’ থেকে বিচ্যুত হয়না আর সাধারণ জনগণের মৃত্যুর জন্যও হামাসকে দোষারোপ করে।

বিষয় আর এর বির্তকের জন্য, আমি ফিলিস্তিনি নেতা মুস্তাফা বারগাউতির সাথে একমত নই, যিনি জানেন তিনি কি বলছেন।

মনে হচ্ছে এই যুদ্ধ আরো অনেক দিন আর সপ্তাহ ধরে চলবে। আমি আশা করি ইজরায়েলের তাদের ২০০৬ এ লেবাননের অভিযানের মতো একই ধরনের পরিণতি হবে।

দ্যা ভিউ ফ্রম ফেজ জানিয়েছেন যে মরোক্কান বিক্ষোভকারীরা পুরো শক্তি নিয়ে বেরিয়েছিল:

সাম্প্রতিক দুই দফায় বিক্ষোভ হয়েছে, দুটোই সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়ে। গতকাল মরোক্কোর প্রধান শহরগুলোতে বিক্ষোভকারীরা অবস্থান বিক্ষোভ জানিয়েছে গাজায় ইজরায়েলে হামলার প্রতিবাদে। মরোক্কোর আর ফিলিস্তিনি পতাকা বহন করা হয়েছে, যখন হাজার হাজার বিক্ষোভকারী ফিলিস্তিনি জনগনের সাথে তাদের একাত্মতা প্রকাশ করে।

মোহাম্মাদ আল আলামি তার ব্লগে শান্তির আহ্বান করেন:

ফিলিস্তিনি মানুষেরা ভয়ঙ্করভাবে কষ্ট পাচ্ছে। ইজরায়েলীরা পুরুষ, মহিলা, শিশু হত্যা করেছে… ইজরায়েল কেন এমন করছে? তিনি তার সবকটা লক্ষ্য বুঝতে পারছেন না কারন মারামারি সংঘাতের সৃষ্টি করে। দুভাগ্যবশত: এখানে শান্তি নেই, কিন্তু হ্যা; যুদ্ধ, হত্যা, ধ্বংস আর বির্পযয়…
আমি আশা করি যুদ্ধ বিরতি হবে, কারন জনগণ গুরুত্বরভাবে ভুগছে।

আমাদের শান্তি দরকার, যুদ্ধ না, হানাহানি না, অহংবাদ না।

গাজা, আমরা তোমার সাথে আছি।

হিচাম যেমন আমাদেরকে মনে করিয়ে দেন “আমরা সবাই ফিলিস্তিনি”:
Palestine

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .