সৌদি আরব: অনশন ধর্মঘট দৃষ্টি আকর্ষন করে আটক সংস্কারকদের দুরবস্থার প্রতি

সৌদিআরবের মানবাধিকার কর্মীরা দুইদিন ব্যাপী অনশন ধর্মঘট শুরু করেছিল ১১জন সংস্কারক এবং কর্মীর দূরাবস্থার প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ করতে যারা সৌদি জেলে কোন বিচার অথবা উকিলের দারস্ত হওয়া ছাড়াই জেল খাটছে।

নভেম্বরের ৬ ও ৭ তারিখের এই ধর্মঘট এর ঘোষনা দেয়া হয়েছিল দ্যা লারজেস্ট স্ট্রাইক ইন সাউদি অ্যারাবিয়া টু ফ্রি অপিনিয়ন প্রিজনারস এন্ড ক্যাম্পেইনার ফর জাসটিস শিরোনামের একটি ফেসবুক গ্রুপে। একই ধরনের আরেকটি গ্রুপ পাওয়া যাবে ইংরেজীতে এখানে

এই পর্যন্ত আরবী গ্রুপটি ৫২৯ জন সদস্যর দৃষ্টি আকর্ষন করতে পেরেছে, ইংরেজীটা ৩০০ এর কিছু বেশী এবং তাদের কার্যক্রম পৃথিবী জুড়ে মূল ধারার তথ্য জগত এর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

প্রতিবেশী দেশগুলোর মত কর্মীরা ইন্টারনেট এবং সামাজিক অন্তর্জাল সাইট গুলো যেমন ফেসবুককে অবলম্বন করছে তাদের দেশে ফেরার সংগ্রামে বিশ্বকে কাঁধে কাঁধ মিলানোর জন্য।

কর্মীদের আন্দোলন এবং সমস্যা নিয়ে কথা বলা সৌদি সাংবাদিক আবতিহাল মুবারককে উপজিব্য করে উইটনেস দ্যা হাব নিচের ভিডিওটি পোষ্ট করে:

ক্রিস মাইকেল আরো ভিডিও পোস্ট করেছে এখানে

সৌদি জিনস এর মতে:

প্রতিরক্ষা দল সৌদি আরবের সাংবিধানিক অগ্রযাত্রা এবং সাধারণ সমাজের বন্দী মানবাধিকার কর্মীদের সংহতিপূর্ণ অনশণ ধর্মঘটের উপর তাদের পর্যবেক্ষণ ঘোষনা করেছে:
১. অধ্যাপক মাতরুক এইচ. আল-ফালেহ, রিয়াদের কিং সাউদ ইউনিভার্সিটির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক, মে ১৯, ২০০৮ তারিখে নিরাপত্তা দল কর্তৃক গ্রেফতারকৃত।
২.এটর্নি সুলিমান ইব্রাহীম আল-রেসুদি, প্রাক্তন বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক এবং মানবাধিকার উকিল, ফেব্রুয়ারী ২, ২০০৭ তারিখে গ্রেফতারকৃত।
৩. এটর্নি ডঃ মূসা মোহাম্মাদ আল-কারনী, প্রাক্তন বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক এবং মানবাধীকার কর্মী, ফেব্রুয়ারী ২,২০০৭ তারিখে গ্রেফতারকৃত।
৪. অধ্যাপক আব্দুল রাহমান মোহাম্মদ আল-সোমারী, প্রাক্তন শিক্ষা অধ্যাপক এবং মানবাধীকার কর্মী, ফেব্রুয়ারী ২,২০০৭ তারিখে গ্রেফতারকৃত।
৫. ডঃ আব্দুল আজিজ সুলায়মান আল খারেজী, মানবাধীকার কর্মী, ফেব্রুয়ারী ২,২০০৭ তারিখে গ্রেফতারকৃত।
৬. সায়ফালদীন ফয়সাল আল-শরীফ, মানবাধীকার কর্মী, ফেব্রুয়ারী ২,২০০৭ তারিখে গ্রেফতারকৃত।
৭. ফাহদ আলসকারী আল-কুরাইশী, মানবাধীকার কর্মী, ফেব্রুয়ারী ২,২০০৭ তারিখে গ্রেফতারকৃত।
৮. আব্দুল রাহমান বিন সাদিক, মানবাধীকার কর্মী, ফেব্রুয়ারী ২,২০০৭ তারিখে গ্রেফতারকৃত।
৯. ডঃ সাউদ মোহাম্মদ আল-হাশেমী, মানবাধীকার কর্মী, ফেব্রুয়ারী ২,২০০৭ তারিখে গ্রেফতারকৃত।
১০. আলী খোশীফান আল-কারনী, মানবাধীকার কর্মী, ফেব্রুয়ারী ২,২০০৭ তারিখে গ্রেফতারকৃত।
১১. মনসুর সেলিম আল-ওথা, মানবাধীকার কর্মী, ডিসেম্বর ১২,২০০৭ তারিখে গ্রেফতারকৃত।

এই ব্লগার পুনরায় যোগ করছে:

এই শান্তিপূর্ণ আচরণ এই ধরনের মধ্যে সৌদি আরবে প্রথম এবং আমি বিশ্বাস করি এটাই যতসামান্য যা আমরা ঐ লোকগুলোর জন্য করতে পারি। অনুগ্রহ করে এই আহ্বানে সাড়া দিন এবং কথা ছড়িয়ে দিন।

অন্য পোষ্টে, সৌদি জিনস তার ধর্মঘটের ঘোষনা দেয়ার পরে যে প্রতিক্রিয়া পেয়েছিলেন সে সম্পর্কে লেখেন:

যখন গত সপ্তাহে অনশণ ধর্মঘট সম্বন্ধে পোষ্ট করেছিলাম, আমি আশা করি নি যে কেউ এই সম্পর্কে কিছু বলতে সচেষ্ট হবে। কিন্তু কিছু মানুষ সত্যি সত্যি করেছিল। কেউ মনে করে এটা কোন উপযুক্ত কারন নয়; কেউ মনে করে এটা নির্দেশনাহীন এবং এ কোন ফল হবেনা; এবং কেউ কেউ আমাকে বলেছিল যে তারা ভীত কিছুটা কারন একে তারা ভাবছে অনলাইনের “আগ্রাসী জনসংযোগ” হিসেবে। তাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলি: ভুলে যাও; ব্যানারগুলো ভুলে যাও এবং ভুলে যাও সকল খবরাখবর।

তোমরা ভাবছ আমি এটা করছি মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য? আমার মিডিয়াকে আকর্ষন করার প্রয়োজন নেই। আমার প্রতি ইতিমধ্যেই মিডিয়ার আকর্ষণ আছে। আমি অনশণ ধর্মঘটকে দেখছি গ্রেফতারকৃতদের প্রতি আমার ক্ষুদ্র ব্যক্তিগত ইশারা হিসেবে। আমি জানিনা এটা তাদের কাছে অর্থ বয়ে নেবে অথবা তারা আদৌ এটা জানবে কিনা, কিন্তু এটা অবশ্যই আমার কাছে কিছু অর্থবহ। এটার অর্থ হচ্ছে আমি অবিচার মেনে নিতে পারিনা। আমি বুঝাতে চাই যে এই দেশ নিয়ে আমরা যতই গর্বিত হই, হতাশ হই এই ভেবে যে কিভাবে দ্রুততর এটি এর সর্বোচ্চ মান ধরে রাখতে অসক্ষম হচ্ছে। এর অর্থ হচ্ছে এই যে আমি বিশ্বাস করি আমরা এর চেয়ে ভাল এবং এর চেয়ে ভাল হওয়াটা আমাদের প্রাপ্য।

আরও অনেক কারন আছে, যেমন গুয়েনতানামো বে তে সৌদি আরবের ৭৫ জন বন্দী, তাদের প্রতি মনোযোগী হওয়া উচিৎ বিষয়ে সে সম্মতি জ্ঞাপন করায়, সৌদি জিনস লেখে:

যদি তুমি মনে কর এই অনশণ ধর্মঘট কোন অর্জনই ঘটাবেনা এবং সে কারনে তুমি অংশগ্রহণ করতে চাওনা সেটা ঠিক আছে, কিন্তু দয়া করে এমন কিছুতে এটাকে রূপান্তর করনা যা এটা আদৌ নয়। যদি তুমি অংশ নিতে মনস্থির করে থাক, তাহলে চিন্তা কর কেনো তুমি এটা করছ; শুধু অন্ধের মত অন্যকে অনুসরন করনা, এবং নিশ্চত হও যে তুমি এর জন্য আবরণ তৈরী করতে পারবে। সেটাই হবে আরও অর্থবহ এবং অনেক বড় প্রাপ্তির।

এই বিষয় সম্পর্কে আন্তর্জাতিক মিডিয়া কভারেজের লিংক ক্রসরোডস অ্যারাবিয়া দিয়েছে এখানে

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .