মালয়েশিয়া: জঙ্গলের ভুত

মালয়েশিয়া বেশ পুরোন, ঘন ও জনমানবহীন জঙ্গল দ্বারা পূর্ণ বলে মালয়েশিয়াবাসীরা দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গলকে সম্মান প্রদর্শন করে আসছে। এর ফলে মালয়শিয়ার বিশাল জঙ্গলকে ঘিরে অনেক কুসংস্কার তৈরি হয়েছে যা গ্রামের লোককাহিনী বা পূর্বপুরুষ থেকে শোনা কোন কল্প কাহিনী হিসেবে সমাজে বিদ্যমান।

হাংজাই.কম অনুসারে:

জঙ্গলে প্রবেশ করতে চাচ্ছেন? জায়গাটাকে সম্মান করুন আর ‘বড় বড় কথা’ বলবেন না। যেখানে সেখানে প্রস্রাব করবেন না। আপনার বন্ধুর নাম ধরে ডাকবেন না। এইসব ঐতিহ্যবাহী নিষেধাজ্ঞাগুলো ভাঙলে অদৃশ্য সব আত্মা আপনার উপর বিপদ আনতে পারে- যেমন একটা ‘আওয়াজ’ আপনার বন্ধুর গলার নাম নকল করতে পারে আর পথ থেকে আপনাকে অনেক দুরে নিয়ে যেতে পারে।

অথবা আপনি একটা অচেনা স্থানে পৌছাতে পারেন, হয়তবা একজন ভদ্র বৃদ্ধের সাথে আপনার দেখাও হতে পারে যে আপনাকে ‘জঙ্গলের’ ভিতর একটা বিশাল বাড়ীতে আমন্ত্রন জানাবে।

সাম্প্রতিক সময়ে মালয়েশিয়ার উপদ্বীপের জঙ্গলে উত্তর আমেরিকার বিগ ফুটের মতো একটা জীবের দেখা পাওয়ার পর থেকে এই ব্যাপারে আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে,। আধা বলছেন:

Ramai yang mendakwa telah terserempak dengan Bigfoot dan mereka menggambarkan makhluk itu bertubuh tegap dan besar, gigi-giginya besar, matanya berwarna merah, bulunya berwarna perang gelap atau merah kehitaman dan meliputi seluruh badan. penghuni hantu puaka rimba hutan berhantu angker batu di Malaysia hutan tropika Bigfoot dikatakan tidak menyerang manusia atau menggangu manusia sebaliknya malu jika terserempak dengan manusia malah sering berpindah kawasan setelah kewujudannya disedari oleh manusia. Ia hanya makan pucuk kayu muda dan akan menggosokkan badannya pada batang pokok untuk menghilang kegatalan pada tubuh. kejadian paranormal mengenai big foot mengenai Bigfoot makhluk tapak kaki besar Makhluk yang dikenali sebagai Mawas, Orang utan, Hantu Jarang Gigi dan Siamang di kalangan masyarakat Orang Asli Johor itu juga hidup dalam kumpulan iaitu satu keluarga yang dianggotai oleh bapak, ibu dan anak-anak… Kisah terawal tentang Big foot mula dilaporkan pada tahun 1811 apabila seorang juruukur Kanada mendakwa menemui jejak kaki luarbiasa yang besar dan dipercayai milik makhluk yang belum pernah dikenali oleh dunia di Jasper, Kanada.

লাম্বাগা হিতাম হান্তু বেরতাপাক তাপাক কাকি বেসার হান্তু তিঙ্গী হান্তু রায়া হান্তু হুতান [ ভুতের নাম]। অনেকেই দাবী করেছে যে তারা বিগ ফুটকে দেখেছে, আর জীবটার বর্ণনা দিয়েছে যে এর বড় বড় দাত আর শরীরে বাদামী লালচে কালো লোমে ঢাকা। জঙ্গলে বসবাসকারীরা বলে যে বিগ ফুট মানুষকে আক্রমণ বা বিরক্ত করেনা, বরং মানুষ দেখলে খুবই লজ্জা পায়। আর যখনই বুঝতে পারে যে মানুষ তাকে খুঁজে পেয়েছে তখন অন্য জায়গায় চলে যায়। এটা শুধু পাতা আর ঝোপ খায় আর ছোট ছোট গাছে গা ঘষে চুলকানি থামানোর জন্য। এদের অতিপ্রাকৃত আবির্ভাবগুলো যেমন অল্প- দাতের ভুত আর জোহোরের (যে জঙ্গলে বিগ ফুটকে দেখা গিয়েছিল) আদিবাসীদের মধ্যে ‘সাইমাওং’ এর দেখা পাওয়ার ফলে জানা গেছে যে এরা দলীয়ভাবে থাকে যেমন বাবা, মা আর তাদের বাচ্চা। এই জীবকে প্রথমে দেখা যায় ১৮১১ সালে যখন একজন কানাডীয় সার্ভেয়ার দাবি করে যে সে বড় পায়ের ছাপ দেখেছে যা অচেনা কোন প্রাণীর হবে।

গ্রামের লোককাহিনী বাদ দিলেও মালায়শিয়া দেশটি জঙ্গলে বাস করা ভুতের গল্পে সমৃদ্ধ। ওকফল-ফ্রিডজ তার ব্লগে ব্যাখ্যা করে পানির ভুত কাকে বলে:

হান্তু বাযু, পুকা বায়ু বা মাম্বাং বায়ু হচ্ছে পানির আত্মার মালয় ভাষান্তর। হান্তু বায়ু হচ্ছে নদী, লেক, সাগর, ডোবা এমনকি খালের বসবাসরত অদেখা বাসিন্দা। একে সংযুক্ত করা হয় মানুষের সাথে ঘটে যাওয়া খারাপ জিনিষের সাথে যেমন ডুবে মারা যাওয়া, হারিয়ে যাওয়া, বন্যা আর অনেক কিছু।

হান্তু বায়ু শুনতে ভৌতিক মনে হতে পারে মালয়দের কাছে কিন্তু এটাকে ইংরেজীতে ভাষান্তর করলে নতুন করে এর মানে বোঝা যায় যা মালায়দের সংস্কৃতিকে ঘিরে রাখে। দীর্ঘদিন ধরে মালয় দ্বীপপুঞ্জ আত্মাবাদ (আত্মায় বিশ্বাস) দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হত আর মানুষ প্রকৃতি সহ প্রায় সব কিছুকে আত্মার দুনিয়ার সাথে সংযুক্ত করতো।

কিছু মানুষ বিশ্বাস করে যে আত্মা পানির সাথে সম্পর্কিত জায়গায় ঘুরে বেড়াবে সেই সময়ে বা পরে যখন তাকে তার আগের মালিক ত্যাগ করে। এই পথপ্রদর্শক ছাড়া বা পথহারা আত্মা অচিরেই ওইসব জায়গায় ঘুরে বেড়াবে। যখন তার ক্ষুধা পাবে, তখন সে মানুষসহ যে কোন জিনিষ খাবে।
স্থানীয়দের মধ্যকার কুসংস্কার এই খারাপ আত্মার কথা বলে যা জলীয় জায়গায় বাস করে যেখানে মাঝে মাঝে সে নিজেকে বুড়ো গাছের গুড়ি, সুন্দরী নারী, মাছ বা অন্য জীবের আদল ধারন করে তার ফাঁদে নি:সন্দেহ মানুষকে ফেলার জন্য। ধরতে পারলে মানুষটাকে খেয়ে ফেলবে বা ডুবিয়ে মারবে।

বয়স্ক স্থানীয় মালয়দের মধ্যে বিশেষ করে মালয়েশিয়ার পূর্ব তীরে একটা অনুষ্ঠান এখনো জনপ্রিয় আছে যার নাম সেমাহ পান্তাই। এটা একটা অনুষ্ঠান যেখানে জেলে আর সমুদ্র যাত্রীরা সাগরের আত্মাকে সম্মান জানায় আর একই সময়ে সমুদ্রে মাছ ধরতে যাবার জন্য আশির্বাদ আর নিরাপত্তা চায়।

ভুতের ছবির উপর বিশেষজ্ঞ পেনেম্পাকান গাম্বার ফটো হান্তু ব্লগে আপনারা একটা ছবি দেখতে পারেন যেটাকে জঙ্গলে ভুতের ছবি বলা হয়, নীচেরটার মতো।

Jungle Ghost

সম্ভবত জঙ্গলের আত্মার মধ্যে সব থেকে জনপ্রিয় যেটি সেটি নাকি অন্য এক ডাইমেনসনে (অবস্থানগত মাত্রায়) থাকে যা মানুষ দেখতে পারেনা। মাঝে মাঝে এই ডাইমেনসন থেকে তারা আমাদের জগৎে চলে আসে, যা ব্যাখ্যা করে তাদের হঠাৎ দেখতে পাওয়াকে। এক্স ট্র্যাকার্স অনুসারে:

একটা ভালো উপায় হচ্ছে এই সব সত্বার সাথে জুড়ে না যাওয়া, কারন সঠিক জ্ঞান বা উপায় না জানা থাকলে আমরা নিজেদের আর আমাদের পরিবারকে বিপদ্গ্রস্ত করব। ইশ্বর চাইলে আমি অচিরেই কিছু লেখা দেব যা আমি গবেষনা থেকে লিখেছি। লেখাটির নাম ‘আত্মার নিয়ম’, যার মাধ্যমে অন্য জগত আর এর ভিতরে বসবাসকারীদের সম্পর্কে মানুষ ভালোভাবে জানতে পারবে। এর মধ্যে এমন বিষয় থাকবে যেমন ‘ভুত সম্পর্কে ভুল ব্যাখ্যা আর এদের অস্তিত্ব কি আছে?’

এর মধ্যে সাম্প্রতিক স্কুলের হিস্টেরিয়ার ঘটনাকে (বুনিয়ানেরটা সহ) ভুত দর্শনের ফল হিসাবে বলা হয়েছে। আলেম বলেছে:

এটা বিশ্বাস করা কঠিন যে কিছু মানুষ ভুতের মতো ছায়া দেখতে পায়, যেমন জীন, বুনিয়ান, জেম্বালাং (ভুতের ধরন) সহ অন্যান্য জায়গায় …এটা ইশ্বরের তরফ থেকে একটা পুরষ্কার… আপনারা কি খবর পেয়েছেন সম্প্রতি মালায়শিয়ার নতুন স্কুলে হিস্টেরিয়ার ঘটনা সম্পর্কে? (যে মেয়েটা ভবিষ্যৎদ্রষ্টা) তার মতের উপর ভিত্তি করে এই স্কুলটা আগে বুনিয়ান গ্রাম ছিল। বিশ্বাস করা কঠিন, ঠিক? আমি তার সাথে একমত কারন এটা সেই জায়গা যেখানে ভুতেরা উন্নয়নের আগে প্রতিবাদ ও যুদ্ধ করতো… কেউ সেখানে যেতে চায়নি কিন্তু বিভিন্ন কারনে ওখানে স্কুল নির্মাণ করা হয়… আরো বড় ব্যাপার হলো এটা একটা প্রাথমিক স্কুল। আপনি জানেন, বাচ্চারা অনেক কিছু দেখতে পারে… আমি জানি না, এটা আমার মত… তাই আমার কাছে অন্যান্য প্রানীদের অস্তিত্ব আছে… ইশ্বর সর্বশক্তিমান… আমাদের চিন্তার বাইরে অনেক কিছুই সম্ভব…

2 টি মন্তব্য

আলোচনায় যোগ দিন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .