বলিভিয়াঃ সরকার-পন্থী পদযাত্রার লা-পাজে আগমন

দশ সহস্রাধিক কৃষক, খনি-শ্রমিক, কোকা উৎপদানকারী এবং ইভো মোরালেস সরকারের সমর্থকরা সোমবার লা পাজে পৌঁছেছে। বলিভিয়ার কংগ্রেসের কাছে খসড়া সংবিধান অনুমোদনে গণভোট অনুষ্ঠানের দাবীকে জোড়ালো করতে যে পদযাত্রা শুরু হয়েছিল সেটা শেষমেষ আইন প্রণয়ণকারীরা সমাঝোতায় অবতীর্ণ হওয়ায় আন্দোলনটি উদযাপনে পরিণত হয়। বেশ কয়েক মাসের উত্তপ্ততা অবসানের পর দেশ এখন শান্ত মনে হলো।

এক সপ্তাহ যাবত এই জনতা দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এল আলটো শহর পেড়িয়ে লা-পাজ শহরের প্লাজা মুরিলোতে সমবেত হয়েছে। সেন্ট্র কালচারাল অটোকটোনো সারটানানি [স্প্যানিশে] এর সান্ড্রো অসংখ্য পদযাত্রীদের নানাবিধ ঘটনা বর্ণনা করেছেন:

Luciendo orgullosos sus vestimentas tradicionales, empuñando banderas tricolores y wiphalas, con bolsas de coca y con un poco de comida en sus mochilas o aguayos, miles de bolivianos y bolivianas, del campo y la ciudad, iniciaron hoy una marcha desde Caracollo (Oruro) hasta La Paz (sede de gobierno) con una sola premisa: la aprobación de una ley de convocatoria a referéndum sobre la nueva Constitución Política del Estado.

ঐতিহ্যবাদী পোষাকের গর্বিত সাজে, তেরঙ্গা পতাকা হুইপালস (আদিবাসীদের প্রতিনিধিত্বকারী পতাকা), কোকা ভর্তি ব্যাগ এবং সঙ্গের ছোট্ট আগুয়াউসে (ঐতিহ্যবাহী টেক্সটাইলের বুননে বহন করার জন্য ব্যবহৃত) কিছু খাদ্য-সামগ্রী ভরে গ্রাম ও শহরাঞ্চল থেকে হাজার হাজার বলিভিয়ার নাগরিক কারাকোলা (ওরুরো) থেকে লা পাজ (সরকারের স্থান) অভিমূখে পদযাত্রায় শামিল হয়েছে নতুন সংবিধান চালু করার পূর্বে গণভোটের আইন অনুমোদনের দাবীতে সমবেত হবার জন্য।

শহরে প্রবেশের পূর্বের ও প্রবেশকালীন ছবি তোলার জন্য অসংখ্য ব্লগার তাদের জন্য অপেক্ষায় ছিল। লা মালা পালাব্রা‘র নেলসন ভিলসার এই ছবিগুলো মহাসড়ক থেকে তোলা। আনজেল কেইডো [স্প্যানিশে]র হুগো মিরান্ডা ভিডিও ও স্থিরচিত্র তুলেছেন মহাসড়কে পদযাত্রার। তার ফ্লিকার সাইটে এমন অনেক ছবি দেখা যাবে।

মিরান্ডার ইউ টিউব চ্যানেলে আরো ভিডিও রয়েছে।

পালাব্রাস লিবরেস [স্প্যানিশে] এর মারিও ডুরান নাগরিক-সাংবাদিকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী তৎপর; ডজন ডজন ছবি তুলেছেন এবং ব্লগে ব্যক্তিগত ভাবনা তুলে ধরেছেন। তার কাছে মানুষের ঢলকে মনে হয়েছিল “সুনামী”র মত:

Fui sorprendido por la cantidad de gente en marcha, la recepcion popular, agua, refresco, comida… todo era para los marchistas. Lo otro era el rostro de los campesinos, su paso era recibido con aplausos, con vivas y con abrazos.

পদযাত্রায় শামিল মানুষের ঢল দেখে আমি হতভম্ব; উষ্ণ অভ্যর্থনা, পানি, সোডা, খাদ্য সবই ছিল পদযাত্রীদের জন্য। আরেকটা ঘটনা হচ্ছে কৃষকদের অভিভূত চেহারা, তাদের গ্রহণ করা হচ্ছিল উল্লাস ও আলিঙ্গন সহকারে।


মারিও ডুরান এর আলোকচিত্র, ক্রিয়েটিভ কমোনস লাইসেন্সের আওতায় ব্যবহৃত। পুরো এ্যালবাম দেখতে ভসে বলিভিয়ানাস (বলিভিয়ার কন্ঠ) এর ফ্লিকর সাইটটি দেখতে পারেন।

বলিভিয়া ইনডিজেনার [স্প্যানিশে] ক্রিস্টিনা কুইজবার্ট পদযাত্রীদের আগমনে-প্রতীক্ষায় উপস্থিত ছিলেন এবং প্রেসিডেন্ট মোরালস এর নেতৃত্বে পরিচালিত পদযাত্রা দেখলেন। তিনি ছবি পোস্ট করে তার অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন:

¡Evo hermano, el pueblo está contigo!, al unísono era una de las frases que salían de las voces de ciudadanos y ciudadanas que habían salido a las calles a dar la bienvenida a la gran marcha encabezada por el Presidente de la República de Bolivia, Evo Morales Ayma.
(…)
Eran aproximadamente las ocho de la mañana de este histórico 20 de octubre cuando el Presidente Morales, se unía a la marcha en el sector de Senkata, El Alto, llegando un poco antes de medio día a la Ceja a la altura del Multifuncional. Hace cientos de años atrás era ese sector también donde las huestes de nuestro líder indígena Tupac Katari se concentraban para ingresar a La Paz. A su paso por este sector, la marcha fue recibida con vítores de la multitud que se había apostado en el lugar, además de una banda de música y los aplausos que se repitieron a lo largo del recorrido que hicieron los marchistas.

“ইভো, ভ্রাতা, জনতা তোমার সাথে আছে!” রাষ্ট্রপতি ইভো মোরালস আইমার এর নেতৃত্বে বিশাল পদযাত্রাকে স্বাগতঃ জানাতে যারা রাস্তায় বেড়িয়ে আসা জনগণ ও ইউনিজনে সমবেত নাগরিদের কণ্ঠস্বর থেকে নির্গত এই একটা ধ্বনিই কেবল শোনা গেল।
(…)
ঐতিহাসিক ২০ শে অক্টোবর সকাল ৮টা হবে, রাষ্ট্রপতি মোরালস আলটো সেনকাটাতে পদযাত্রায় শামিল হলেন এবং মাল্টফাংকশনালের সন্নিকটে কেজাতে তারা পৌঁছুলো বারোটার একটু আগে। কয়েক'শ বছর আগে আমাদের আদিবাসী নেতা টুপাক কাটারির সমর্থকরা লা পাজে প্রবেশের জন্য এই স্থানে সমবেত হয়েছিল। সেই স্থান পেড়িয়ে গেলে পদযাত্রীদের সমবেত অগণিত মানুষ অভিনন্দন জানালো। এছাড়া পুরো পথ জুরে মিউজিক্যাল ব্যন্ড এবং জনতার করতালিতে মুখরিত ছিল।

যখন লা পাজ শহরে জনতা প্রবেশ করলো, এল আলটো নোটিসিয়াস [স্প্যানিশে] এর আলবার্তো মেডরানো লিখেছেন “লা পাজের কেন্দ্রস্থল হাজার হাজার পদযাত্রীতে পূর্ণ হয়ে গেল এবং সবচেয়ে বেশী মনযোগ কেড়ে নিল মিডিয়াতে সম্প্রচারিত লা পাজের উপকণ্ঠে ইভো মোরালসকে প্রদত্ত উষ্ণ সম্বর্ন্ধনার দৃশ্য।”

ওরুরুতে অনুমোদিত খসড়া সংবিধানে উল্লেখ্যযোগ্য পরিবর্তনের জন্য সমাঝোতা হলো কংগ্রেসে। “একটা শব্দও স্পর্শ করা হবে হবে না’’ সরকারের অভ্যন্তরে কারো কারো এমন শপথ উড়ে গেলে নিমিষেই। খসড়া সংবিধান এখন ভোটের জন্য প্রস্তুত এবং সংসদে সংবিধান রচয়িতাদের দীর্ঘ প্রক্রিয়ায় উত্থাপন এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। আনড্রেস পুচ্চি মনে করেন এখন স্রেফ সময়ের অপচয়:

Pero el proyecto de CPE aprobado en Oruro por la inconclusa Asamblea Constituyente es una base, mas de 100 artículos han sido modificados por el congreso, tal cual se modificaron las mayoría de las constituciones que ha tenido Bolivia, vía congresal. ¿Fueron necesarios los muertos de Sucre? No, si igual el proyecto lo modificaría el Congreso; ¿las huelgas? tampoco; ¡¿los 125 millones de Bolivianos?! Fueron tirados a la basura, 18 millones de dolares que pudieron ser usados en 18 pequeños hospitales especializados en ancianos y discapacitados.

সবচেয়ে কদর্য হচ্ছে ওরুরুতে সংসদের এক অফলপ্রসু বৈঠকে সাংবিধানিক প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে, কংগ্রেস একশর বেশী ধারা পরিবর্তন করেছে, ফলে বলিভিয়ার সংবিধানের কার্যত বেশীরভাগই পরিবর্তিত হয়ে গেছে। সাক্রিতে সংগঠিত মৃত্যুগুলো কি দরকার ছিল? না, যখন কংগ্রেস তা পরিমার্জনই করবে! ধর্মঘট? তাও অপ্রয়োজনীয়। ১২৫ মিলিয়ন বলিভিয়ান মুদ্রা নর্দমায় ফেলে হলো। ১৮ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করা যেত বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধীদের সেবার জন্য ১৮টি ছোট হাসপাতালে।

আইনগতভাবে বিষয়টির সুরাহা হয়েছে বলে মিগুয়াল সেন্টেলাস অব প্রোনটো সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন এবং “সেজন্য প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের একটা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসাবে কাজ করেছে ”। তিনি আরো উল্লেখ করেন এখন অন্যান্য পরিবর্তনগুলোর মধ্যে বিভাগীয় শায়ত্বশাষন অন্যতম। তবে বলিভিয়া এখন অসংখ্য নির্বাচনের অপেক্ষায় যার মধ্যে ২০০৯ এর ২৫শে জানুয়ারী নতুন সংবিধানের উপরে গণভোট এবং ২০০৯ এর ডিসেম্বরের সাধারণ নির্বাচন প্রণিধানযোগ্য।

1 টি মন্তব্য

আলোচনায় যোগ দিন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .