জিও-বম্বিং: ইউটিউব+গুগল আর্থ

এই গাইডটিকে পিডিএফ হিসেবে ডাউনলোড করুন:

জিও-বম্বিং

জিও বম্বিং হচ্ছে এমন একটি কৌশল যার দ্বারা আপনি আপনার ইউটিউব ভিডিওর প্রচার করতে পারবেন গুগল ম্যাপস এবং এবং গুগল আর্থের মত ম্যাপিং অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে। এখন আপনারা আপনার জিওট্যাগ করা ভিডিও গুগল আর্থ এবং গুগল ম্যাপের ভেতরেও দেখতে পারবেন। গুগল আর্থ/ম্যাপস এর ইউটিউব লেয়ার অপশন অন করা থাকলে যে কোন জিও ট্যাগ করা ইউটিউব ভিডিও সেখানে দেখা যাবে।

এই শক্তিশালি পদ্ধতি কিভাবে আপনি প্রয়োগ করবেন তার একটি সহায়িকা নিন্মে দেয়া হল:

কি করে?

১ – আপনার ভিডিওকে জিও ট্যাগ করবেন:

ইউটিউবে আপনার ভিডিও আপলোড করার সময় আপনার ভিডিওকে জিও ট্যাগ করতে পারবেন একটি স্থান দিয়ে:


যখন স্থানটি রেকর্ড হয়ে যাবে এবং ভিডিও আপলোড শেষ হবে, এটি গুগল আর্থেও চলে আসবে।

২ – কিভাবে জিও ট্যাগ করা ইউটিউব ভিডিও গুগল আর্থে দেখা যাবে?

গুগলের ইউটিউব লেয়ার চালু করতে গুগল আর্থ প্যানেলের বাম দিকের “লেয়ার্স” মেনুতে যেতে হবে। লেয়ার্স ট্রির গ্যালারী নোডে গেলে ইউটিউব লেয়ারটি উন্মুক্ত হবে। ইউটিউব শিরোনামটির বাম পাশের বক্সে টিক চিহ্ন দেয়ার পরে ম্যাপের অনেক স্থানেই ইউটিউব আইকনটি দেখা যাবে।

জিও বম্বিং প্রযুক্তির সফল প্রয়োগ

নাওয়াত.অর্গ (শেকড়) নামক গ্রুপ ব্লগের তিউনিশিয়ান অ্যাক্টিভিস্টরা এই প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে যার মাধ্যমে তারা তাদের দেশের রাজনৈতিক বন্দীদের এবং মানবাধিকার কর্মীদের জবানবন্দীর ভিডিওগুলোকে গুগল আর্থের তিউনিশিয়ার রাষ্ট্রপতির প্রাসাদের সাথে সংযুক্তি ঘটিয়েছে। এখন, আপনি যদি গুগল আর্থে গিয়ে তিউনিশিয়ার রাষ্ট্রপতির প্রাসাদটি পর্যবেক্ষণ করেন তাহলে দেখতে পাবেন যে এটি ভরে রয়েছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংক্রান্ত প্রতিবাদের ভিডিও দিয়ে যেগুলো রাষ্ট্রপতি বেন আলী তিউনিশিয়ানদের দেখতে দিতে চান না ইউটিউব আর ডেইলি মোশনের মত ভিডিও ওয়েবসাইটকে ব্লক করে রেখে।

দেখুন গুগল আর্থে তিউনিশিয়ার রাষ্ট্রপতির প্রাসাদে অন্তর্জালিক প্রতিবাদ: আপনি এই গুগল আর্থের কেএমজেড (কিহোল মার্কআপ জিপ) ফাইলটি ডাউনলোড করতে পারেন যা গুগল আর্থ চালু করবে (আপনার কম্পিউটারে এটি ইনস্টল করা থাকতে হবে) এবং আপনাকে কার্থেজ রাষ্ট্রপতি প্যালেসে উড়িয়ে নিয়ে যাবে।

ডাউনলোড করুন তিউনিশিয়ার রাষ্ট্রপতির প্রাসাদে অন্তর্জালিক প্রতিবাদ (ডাউনলোড করুন)

প্রচার মাধ্যমে এর সমালোচনা:

তিউনিসিয়ার অ্যাক্টিভিস্ট এবং তাদের শুভাকাঙ্খীরা একটি “অন্তর্জালিক প্রতিবাদ” এর আয়োজন করেছে গুগল আর্থে তিউনিশিয়ার রাষ্ট্রপতির প্রাসাদটির ছবির উপর বেশ কিছু ভিডিওর সংযোজন ঘটিয়ে। এভাবেই অজানা মানবাধিকার লঙ্ঘনে সংক্রান্ত প্রতিবাদ একটি ফ্যাশন সচেতন বৈশ্বিক ক্যাম্পেইনে পরিনত হলো।

দি ইকোনমিস্ট: স্বৈরাচাররা ব্লগারদের জেলে বন্ধ করে রাখতে পারেন কিন্তু তাদের বুদ্ধির কাছে তাদের হারতেই হয়।

এটি বেশ লক্ষ্যনীয় যে গুগল আর্থ বম্বিং খুবই কম ব্যবহৃত হয়েছে, যদিও এই অ্যাপ্লিকেশনটি বেশ জনপ্রিয়(..)। তাই এখন সময় এসেছে “গুগল জিওবম্বিং” বা “গুগল আর্থ বম্বিং” কে সংজ্ঞায়িত করার। যদিও সেই সংজ্ঞা একটু কম রসালো হবে কিন্তু অস্বীকার করার উপায় নেই যে “গুগল জিওবম্বিং” স্বল্পখরচে গণসংযোগের একটি মাধ্যম হিসেবে দাড়িয়েছে।

ওগল আর্থ: মুক্ত তিউনিশিয়ার জন্যে “গুগল আর্থ বম্বিং”

এই অনলাইন ক্যাম্পেইন শুধু ভিডিও শেয়ারিং সাইটগুলোর উপর সরকারী বিধিনিষেধকেই উপেক্ষা করে না বরং এটি সেইসব বিদেশীদের কাছেও এই বার্তা পাঠাতে সক্ষম হয় (যারা অন্যভাবে হয়ত জানত না) যে তিউনিশিয়াতে মানবাধিকারের লঙ্ঘন হচ্ছে। এই প্রথম বারের মত তিউনিশিয়ার অন্তর্জালিক পর্যটকরা ঐতিহাসিক স্থান এবং সুন্দর সমুদ্র সৈকতের পাশাপাশি দেশের এক কলন্কময় দিকও দেখতে পাবে।

ক্রাইম রিপোর্ট: তিউনিশিয়ার রাষ্ট্রপতির প্রাসাদে ভার্চুয়াল প্রতিবাদ

এডভোকেসী ২.০ গাইড: ডিজিটাল অ্যাডভোকেসীর জন্যে বিভিন্ন টুল এ আরও রয়েছে

জিও-বম্বিং: ইউটিউব+গুগল আর্থ

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .