মিশরঃ জিহাদী হ্যাকার

জিহাদ কি জমিন থেকে এখন ভার্চুয়াল জগতে রক্তক্ষরণ শুরু করেছে? মিশরীয় ব্লগার মারওয়া রাখা এখানে (এবং এখানে) লিখেছেন ইন্টারনেট মিশরে কিভাবে ধর্মনিরপেক্ষ ও ইসলামবাদী বিতর্কের ক্ষতি সাধন করছে।

তিনি লিখেছেনঃ

এটা এমন কোন গোপনীয় বিষয় নয় যে মিশরের একটা ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হওয়া উচিত এমন বিশ্বাসকারীর সংখ্যা ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রধানতঃ তাত্ত্বিক দ্বিভাষিক ও সুশিক্ষিত মানুষেরা বুঝতে পেরেছেন যে আন্তঃবিশ্বাসীয় কোন্দল দেশকে পশ্চাতপদ করে রেখেছে।

এবং এমন ধর্মনিরপেক্ষ ও ধার্মিক মিশরীয়ওরা তাদের বিতর্ক ও সংগ্রামের উপস্থিতি বজায় রেখেছেন ব্লগস্ফিয়ার এবং ফেসবুক গ্রুপে। রাখা ব্যাখ্যা করেছেনঃ

অপরপক্ষে, ইসলামী মৌলবাদী এবং মুসলিম ব্রাদার্সের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাদের জিহাদী পদ্ধতি তরবারী, বোমা, ব্যানার, স্ট্রিকার এবং টেপ থেকে বিকশিত হয়ে এখন ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবে আগ্রাসন চালাচ্ছে।

এবং এটা নিশ্চিতভাবে বলা যায় যে ইন্টারনেটের যুদ্ধক্ষেত্রে যুক্তিতর্ক এবং আলোচনা ছাড়া এমন আরো অস্ত্র আছে যা উভয়পক্ষ ব্যবহার করতে পারে। রাখা বিশদ বলেছেনঃ

ফেসবুকের উদার রাজনৈতিক কর্মীরা হ্যাকারদের আক্রমনের প্রধান লক্ষ্য। হ্যাকাররা এদের একাউন্ট দখলে নেয়, মালিকের নাম পরিবর্তন করে তার বন্ধুদের মেসেজ পাঠায়, একাউন্ট মুছে ফেলে এবং তার গ্রুপে নাশকতা চালায়। ব্যক্তির ভাবমূর্তি সম্পূর্ণ বিনষ্ট করতে অশ্লীল ছবি ওবং শব্দ ব্যবহার করে।

যে গ্রুপগুলো হ্যাকিং এর শিকার হয় সেখান থেকে প্রশাসকদের নিয়ে অশালীন মেসেজ পোস্ট হতে থাকে। প্রশাসকরা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে এবং হ্যাকারা আরো মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পরে যারা মিশরকে একটা ইসলামী দেশ হিসাবে বিশ্বাস করে না। হ্যাকিং ছাড়াও তারা উদারপন্থী লেখক ও রাজনৈতিক কর্মীদের অনুকরণ করে ভুয়া একাউন্ট তৈরী করে।

একজন রাজনৈতিক কর্মী বলেছেন, “আমার একাউন্ট হ্যাক হয়েছিল যা সত্যিই দুঃখজনক। বিশেষতঃ একটা নেটওয়ার্কে যোগ দেবার পরে যখন আমার সমস্ত কনটেন্ট হারিয়ে গেলো তখন আমাকে আবার নতুন করে সব শুরু করতে হয়েছিল।”

আরেকজন রাজনৈতিক কর্মী বলেছেন, “আমি ব্যক্তিগতভাবে গ্রুপের প্রশাসকদের পরামর্শ দেবো একই সাথে সবসময় একটা ব্যাকআপ একাউন্ট এবং প্রশাসক রাখার জন্য; আমি এই টিপস শিখেছি অন্য একটা গ্রুপের মালিকের কাছে। আমার নিজের জন্য ব্যবহার না হওয়ার বিষয়টা আমার পছন্দ নয়। আমি আমার মধ্যে থাকতে চাই, যদি কিছু অসুস্থ্য মানুষ থাকে এটা তাদের সমস্যা। ফেসবুক আমাদের একে অপরকে ভদ্রভাবে একত্রিত হতে এবং স্বাভাবিকভাবে পরিচিত হবার সুযোগ দেয়; কিন্তু আমাকে যদি এতসব ঝামেলা পোহাতে হয় তবে এর চেয়ে উত্তম হবে এসব ব্যবহার না করা।”

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .