এএনসির প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমা সম্প্রতি শিরোনামে উঠে এসেছিলেন যখন অন্যান্য জিনিষের মধ্যে দূর্নীতির জন্য তার বিরুদ্ধে মামলা আদালত বাতিল করে দেয়। এটি অনেক দক্ষিণ আফ্রিকাবাসীর মনোবেদনা সৃষ্টি করে কিন্তু তার লাখ লাখ সমর্থক, বিশেষ করে এএনসি দলের শরিকরা এতে আনন্দ প্রকাশ করে। জোনাথন শাপিরো বা জাপিরো নামক দক্ষিন আফ্রিকার শীর্ষ রাজনৈতিক কার্টুনিস্ট জুমাকে নজরে রেখেছিলেন এবং সানডে টাইমসে একটি বিতর্কিত কার্টুন ছাপান (ওয়েইটিং ইন ট্রানজিট ব্লগের সৌজন্যে):
আর এই কারনে আমি জাপিরোর এতো বড় ভক্ত।
এই কার্টুন দেখে জুমা প্রকাশ্যে এটাকে তিরষ্কার করেছে আর ভয় দেখিয়েছে যে সে জাপিরোর বিরুদ্ধে মামলা করবে। জাপিরো মনে হয় জুমার মন্তব্যে দমে যাবে না। ওয়েটিং ইন ট্রানজিট এ নিয়ে আর একটা পোস্ট দিয়েছে – “জুমার উপর আবারো জাপিরোর দংশন” নামে যেখানে জাপিরোর দ্বিতীয় কার্টুন সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে যা বেশীরভাগ মিডিয়া কাভার করেনি…
গ্লাস পার্ল মার্কেটিং জাপিরোর জন্য তাদের সমর্থন দেখিয়েছে…
ইন দ্যা নিউজ একটা মজাদার দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে দেখেছে ব্যাপারটা…
মনে হচ্ছে জুমা আর জাপিরোর মধ্যে এবারের এই ঝগড়া আদালত পর্যন্ত গড়াবে। কার্টুন প্রকাশের পর জাপিরো এগিয়ে এসে বলেছে, ”আমি কার্টুনের পাশে দাড়াচ্ছি আর আমি ক্ষমা চাইব না। যদি সে আমাকে অভিয়ুক্ত করতে চায় তাহলে আমি লড়ব।”
যদি আপনি কার্টুনটা না দেখে থাকেন এখানে ক্লিক করে দেখতে পারেন আর আমদেরকে জানান যে আপনি কি মনে করেন। এই কার্টুন কি ভুল? জাপিরোকে এর জন্য কি অভিযুক্ত করা উচিত? এএনসি কি ঠিক বলছে যে এই কার্টুন ভুল? অনেক প্রশ্ন উঠছে। আপনাদের কাছ থেকে শোনা যাক।
পিয়েরে দে ভস বলেছেন ধর্ষণের রুপকটা ব্যবহার করা যথাযথ হয়নি:
কিন্তু আমি অবিশ্যই চিন্তা করি যে ধর্ষণের রুপক ব্যবহার করে, জাপিরো ধর্ষণের বিভীষিকাকে সস্তা করে ফেলছেন না- আমাদের গভীরভাবে পিতৃতান্ত্রিক আর যৌননির্ভর সমাজের প্রেক্ষিতে- আমাদেরকে এই আঘাত থেকে অনুভুতিহীন হতে সাহায্য করছে না। এমন সমাজ যেখানে অনেক পুরুষ নারীকে এখনো দখলের জিনিষ মনে করে, আমি চিন্তা করি যে হয়তো এই ধরনের কার্টুন তেমন পুরুষদেরকে ইঙ্গিত দেবে যে ধর্ষণ খুব একটা খারাপ কিছু না।
আর একজন কার্টুনিস্ট, দ্যা পেপার বয়, তার নিজের একটা আকর্ষনীয় কার্টুন দিয়েছে যেখানে জুমা আর জাপিরোর মধ্যকার দ্বন্দ্ব তুলে ধরা হয়েছে (এবং বলেছেন):
ঘটনার আর এক দৃষ্টিভঙ্গী হচ্ছে যে সব সময় নিম্নমানের কার্টুনিস্টরা জনগণের কাছে পরিচিতি পায় না যেমন পায় সরকারী উচ্চপদস্থ কর্মচারীদের (পড়েন রাজনীতিবিদদের) কাছ থেকে, … দৃষ্টিকটু কার্টুনটি এখানে দেখেন।
… পরিশেষে, আই লাভ এস এ, বাট… সম্প্রতি একটা লেখায় মন্তব্য করেছেন এই কার্টুন কিভাবে সরকারের মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রনের চেষ্টাকে বাড়িয়ে দিয়েছে…
এরা এমন লোক যারা ঘৃণা ছড়ায় আর হত্যার ভয় দেখায় কিন্তু কেউ একটা বোকার মত কার্টুন আকলে বা তাদেরকে অপমান করে কিছু লিখলে তারা দু:খিত হয়। হঠাৎ করে তারা চিৎকার করে ‘আমাদের সেন্সরশীপ দরকার!’
খুবই খারাপ যে আমরা একটা বিল পেতে পারিনা যাতে অল্পবুদ্ধির লোক জনগনের সামনে কথা না বলতে পারে তা রোধ করা যায়। দেশটা কিছু নিস্তব্ধতা কাজে লাগাতে পারতো।